আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আর্সেনিক আক্রান্ত মানুষের নানা সমস্যা নিয়ে বহু বছর ধরে আন্দোলন চলছে৷ সেই আন্দোলনের ধারায় ১২ মার্চ গাইঘাটা বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ও পরিচয়পত্র প্রদান এবং পরিবার প্রতি মাসে ১২ কেজি চাল, পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা, উপযুক্ত চিকিৎসা ইত্যাদি দাবিতে স্মারকপত্র দেওয়া হয়৷ বিডিও প্রথমোক্ত দুটো দাবি পূরণের আশ্বাস দেন৷
সেই মতো ১৩ মার্চ আর্সেনিক আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শনে যান মেডিকেল টিম সহ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক৷ এই পরিদর্শনের সময় আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় অবিলম্বে এখানে স্পেশাল মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে আর্সেনিক আক্রান্তদের চিহ্ণিত করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য৷ শেষপর্যন্ত ১৯ মার্চ গাইঘাটার বিষ্ণুপুরে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের ওষুধপত্র এবং সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ ২০ মার্চ বিডিও অফিস থেকে আর্সেনিক রোগীদের চালের কুপন দেওয়া হয়৷ পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম আর্র্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হল৷ কমিটির সম্পাদক অশোক দাস বলেন, এটা লাগাতার আন্দোলনের জয়৷ তিনি দাবি করেন, রাজ্যের সমস্ত আর্সেনিক আক্রান্তদের অবিলম্বে চিহ্ণিত করে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের সুচিকিৎসা এবং বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে৷ আর্সেনিক আক্রান্ত অঞ্চলে অবিলম্বে আর্সেনিক রোগীদের চাল, ডাল সহ পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং আর্সেনিক বিষ ক্রিয়ায় মৃত পরিবারকে পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য করতে হবে৷ এই দাবিতে তিনি, আন্দোলন তীব্র করার আহ্বান জানান৷