Breaking News

আমেরিকার ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানালদক্ষিণ এশীয় ছাত্র সংগঠনগুলি

গাজায় ইজরায়েলি হানাদারির বিরুদ্ধে আমেরিকা জুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন দমন করতে কর্তৃপক্ষ বহু ক্ষেত্রে নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিচ্ছে।কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে ও তাঁদের গ্রেফতার করেছে। দেশজোড়া এই ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আচরণকে ধিক্কার জানিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ২৯ এপ্রিল একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিপুল আশা নিয়ে আমরা তাকিয়ে রয়েছি আমেরিকার ছাত্র আন্দোলনের দিকে।ইজরায়েল রাষ্ট্র এবং যে সব কোম্পানি প্যালেস্টাইনে যুদ্ধ ও গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নানা সরঞ্জাম জোগান দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ এপ্রিল যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তা এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আসা ছাত্রছাত্রী, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শত শত প্রগতিশীল ইহুদি ছাত্রছাত্রীরাও, কর্তৃপক্ষের অপরিসীম নিপীড়ন অগ্রাহ্য করে এই আন্দোলনের পিছনে অটল দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আনন্দের সঙ্গে আমরা এও লক্ষ করছি, এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমর্থনে শত শত শিক্ষক-অধ্যাপকও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে আমরা আমেরিকার এই ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও সংহতি জানাচ্ছি। মাসের পর মাস ধরে আমেরিকার রাস্তায় রাস্তায় যে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে যা এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসেও ছড়িয়ে পড়েছে, তা ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আজ প্রতিরোধের এই কণ্ঠস্বর শুধু যে সাম্রাজ্যবাদী-ফ্যাসিবাদী যুদ্ধচক্রের বুকে কাঁপন ধরাচ্ছে তাই নয়, গোটা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের মনে আশা ও যুদ্ধবিরোধী সংকল্পের ঢেউ তুলছে।

বিবৃতিতে সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে দাবি করা হয়েছে, আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর হামলা করা চলবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশ ও মিলিটারি হস্তক্ষেপ চলবে না এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলতে হবে। বস্তুগত ও মেধাগত যা কিছু যুদ্ধ ও গণহত্যায় সাহায্য করে তার বিরুদ্ধে এই বিবৃতিতে গোটা বিশ্বের সমস্ত শান্তিপ্রিয় ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে নিচের সংগঠনগুলি–

ভারত            : এআইডিএসও, এআইএসএ, এআইএসবি, এআইএসএফ এবং পিএসইউ।

বাংলাদেশ        :  বিসিএফ, বিএসইউ, ডিএসসি, এইচএসসি, আরএসইউ, আরএসওয়াইএম, এসএফবি এবং এসএসএফ।

নেপাল            :  এএনএনআইএসইউ(আর) এবং এএনএসইউ(এস)।

পাকিস্তান         :  ডিএসএফ, এনএসএফ এবং পিএসসি।

শ্রীলঙ্কা         :     আইইউবিএফ, আইইউএসএফ এবং আরএসইউ।