আপনাদের দলকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না

বাঁদিক থেকে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী রামকুমার মণ্ডল, যাদবপুর কেন্দ্রের কল্পনা নস্কর দত্ত, মথুরাপুর কেন্দে্রর বিশ্বনাথ সরদার, দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের জুবের রব্বানি ও জয়নগর কেন্দ্রের নিরঞ্জন নস্কর।

দলের কয়েক জন নেতা ও কর্মী বাঁকুড়ার একটি বাজারে নির্বাচনী প্রচার করছিলেন। বিভিন্ন জনকে দলের নির্বাচন সংক্রান্ত বই এবং লিফলেট দিচ্ছিলেন। সিপিআইএম দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য যিনি জেলায় বামপন্থী নেতা হিসাবে বিশেষ পরিচিত, কর্মীদের কাছে এসে বললেন, আপনারা ভালই প্রচার চালাচ্ছেন। বিশেষ করে আপনাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের ‘অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগে বিচার করুন’ বইটি বিভিন্ন বামপন্থীদের মধ্যে, এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। আপনারা সারা দেশে অনেক আসনে লড়ছেন।

কর্মীদের একজন তাঁকে বলেন, আপনারা কংগ্রেসের সাথে জোট করছেন, কংগ্রেসকে সেকুলার তকমা দিচ্ছেন। এর দ্বারা তো বামপন্থীদের জোট গঠনেই বাধা তৈরি হচ্ছে। অথচ আমরা এ রাজ্যের ৪২ আসনে এবং সারা দেশে ১৫১ আসনে লড়ছি। তিনি বলেন, সেটা জানি, আমরা সারা দেশে মাত্র ৫০ আসনে লড়ছি।কর্মীটি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সে কী! কিন্তু আপনাদের তো শক্তি কম নেই।

তিনি বলেন, সে কথা ঠিক, কিন্তু দলের মধ্যেও বহু কর্মী-সমর্থক উপরতলার নেতাদের তৈরি এই জোট মানতে পারছেন না দেখা যাচ্ছে। এখন তাঁরা আপনাদের দলের বই, পত্রপত্রিকা পড়তে, চর্চা করতেই আগ্রহী দেখতে পাচ্ছি। আমাদের নিচের তলা আপনাদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।আপনাদের দলকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

আপনাদেরই খুঁজছিলাম

উত্তর কলকাতার সিমলা এলাকায় প্রচার করছিলেন দলের কর্মীরা।একটি বাড়িতে দরজা খুললেন এক প্রবীণ ভদ্রলোক। দলের নাম শুনেই হাসিমুখে বললেন, তোমাদের প্রার্থী ডাক্তারবাবুর পোস্টার দেখেছি।বলতে বলতেই বাড়িতে ঢুকলেন তাঁর ছেলে।লিফলেটটি হাতে নিয়ে বললেন, আপনারা বাড়িতে এসেছেন খুব ভাল হয়েছে। আপনাদেরই খুঁজছিলাম।যদিও পারিবারিক ভাবে আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাদের প্রার্থীকেই ভোট দেব। কারণ এখানে একমাত্র আপনাদের প্রার্থীই আছেন যাঁকে ভোট দেওয়া যায়।দলের তহবিলে সাহায্য করে বললেন, এ বার থেকে আপনাদের কাগজটা দিয়ে যাবেন।

আপনাদের সঙ্গেই থাকতে চাই

দক্ষিণ কলকাতায় টালিগঞ্জে দলের এক কর্মী এক বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন।সেখানে কিছু সরকারি আধিকারিকও ছিলেন।দলের কর্মী হিসাবে পরিচয় পেয়ে তাঁদের একজন হাত মিলিয়ে বললেন, সঠিক পার্টিই বেছে নিয়েছেন।আমরা এই পার্টিকে খুবই শ্রদ্ধা করি। দলের নিষ্ঠাবান কর্মীদের দেখলে স্যালুট করি। কথায় কথায় দলের প্রয়াত নেতা সুবোধ ব্যানার্জীর কথা উঠলে তিনি মৃত্যুর সময়েও যে বিপ্লবী দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা শুনে এই আধিকারিকরা গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করলেন।একজন বললেন, অবসরের পর মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে চাই। তার জন্য আপনাদের সঙ্গেই থাকতে চাই।

আর একজন আধিকারিক বললেন, আমারও অবসর কিছুদিনের মধ্যেই।তারপর আমি আপনাদের বিদ্যুৎ গ্রাহক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।কর্মীটি তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন।

আপনাদেরই তো সামনে আসা উচিত

দমদম কেন্দ্রের কেষ্টপুর বাজারে কর্মীরা দোকানে প্রচার করছিলেন।একটি দোকানে ক্রেতা এক ভদ্রমহিলা নিজের থেকে লিফলেটটি চেয়ে নিয়ে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে চাঁদা দিলেন।বললেন, আপনারা ছাড়া আর কাউকে দেখছি না যাদের উপর ভরসা করা যায়।পাশের দোকানে যেতেই আর এক ক্রেতা ভদ্রলোক বলে উঠলেন, আপনাদেরই তো সামনে আসা উচিত।প্রচারের ঝড় তুলুন। সমাজ মাধ্যমে আরও প্রচার করুন।কর্মীরা অনুরোধ করলেন, আপনিও পরিচিতদের বলবেন। বললেন, অবশ্যই, আমি তো বলতে শুরু করেছি।