Breaking News

আন্দোলন তীব্র করার ডাক গণকনভেনশনে

গণকনভেনশনে বিপুল নাগরিক সমাবেশ

অভয়ার ধর্ষণ-খুন ও তার সমস্ত তথ্য-প্রমাণ লোপাটের মামলায় মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ৯০ দিন পরেও সিবিআই চার্জশিট না দেওয়ায় তাঁরা যে ভাবে জামিন পেয়ে গেলেন তা জনমনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল ২৩ ডিসেম্বর শ্যামবাজারে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম, নার্সেস ইউনিটি ও ১৩০টি নাগরিক সংগঠনের ডাকে আয়োজিত গণকনভেনশনে। জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের নেতৃবন্দ ছাড়াও সমাজের নানা স্তরের বিপুল সংখ্যক নাগরিক, মেডিকেল ছাত্রছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তাররা কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের নেতা অনিকেত মাহাত, দেবাশীষ হালদার, কিঞ্জল নন্দ, আসফাকুল্লা নাইয়া, অগ্নিবীণ কুণ্ডু। বক্তব্য রাখেন ডাঃ তরুণ মণ্ডল, ডাঃ অশোক সামন্ত, ডাঃ দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তী, ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র, ডাঃ সজল বিশ্বাস, সিস্টার ভাস্বতী মুখার্জী ও নাগরিক আন্দোলনের পক্ষে সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী। এ ছাড়াও বিভিন্ন পেশা ও নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখা হয়।

শ্যামবাজারে গণকনভেনশনের মঞ্চে উপস্থিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ। ২৩ ডিসেম্বর

বক্তারা বলেন, সিবিআইয়ের চার্জশিট না দেওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা জনমনে যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকে সঠিক পথ ও দিশা দেখাতেই এই গণকনভেনশনের আয়োজন। তাঁরা বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনের গণচরিত্র দেখে ভীত। তাই নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই সিবিআইকে চার্জশিট দিতে তারা বাধা দিয়েছে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, হাসপাতালের সেমিনার রুম খুন-ধর্ষণের ঘটনাস্থল হতে পারে না। তেমন কোনও চিহ্ন সেখানে নেই। বলা হয়েছে, যে জায়গা দিয়ে সেমিনার রুমে যেতে হয় তাতে বাইরে থেকে কারও পক্ষে সবার চোখ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা বলেন, এই বাংলা যদি রবীন্দ্রনাথের বাংলা, শরৎচন্দ্র, নেতাজি, নজরুলের বাংলা হয়, যদি ক্ষুদিরামের বাংলা হয়, তবে অভয়ার জন্য ন্যায়বিচার ছিনিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব তাঁদের উত্তরসূরি হিসাবে আমরা চিকিৎসকরা এবং আপনারা সাধারণ মানুষ যাঁরা আন্দোলনের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের সকলেরই। বক্তারা বলেন, আন্দোলনের জয় ছিনিয়ে আনতে আন্দোলনকে তীব্ররূপ দিতে হবে, প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে এবং সর্বত্র জনগণের নিজের সংঘশক্তি গড়ে তুলতে হবে। উল্লেখ্য, কনভেনশনের মঞ্চ তৈরি করতে পুলিশ বাধা দিলে সেই বাধা অতিক্রম করেই মঞ্চ তৈরি হয় এবং বিপুল জনসমাগমে কনভেনশন সফল হয়।