আসামের ওদালগুরি জেলার বৃহত্তর টংলা অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে টংলাস্থিত ৩০ শয্যার হাসপাতালকে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সিভিল হাসপাতালে উন্নীত করার দাবিতে টংলার মানুষ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। আন্দোলনের চাপে দাবি মানতে বাধ্য হল বিজেপি পরিচালিত আসাম রাজ্য সরকার। ২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। আন্দোলনের এই সাফল্যে টংলার সংগ্রামী জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে এস ইউ সি আই (সি) দলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, হাসপাতালের দাবিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২১-এর ১৯ ডিসেম্বর এক গণকনভেনশনে ‘টংলা সিভিল হাসপাতাল দাবি কমিটি’ গঠন করা হয়। সেই কমিটির নেতৃত্বে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্মারকপত্র দেওয়া হয় ও পানেরির বিধায়ক তথা অসম বিধানসভার অধ্যক্ষকে স্মারকপত্র দেওয়া হয়। তিনি এই দাবির যৌক্তিকতা অস্বীকার করতে না পেরে তা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাছাড়াও প্রায় একমাস ধরে জনমত সৃষ্টি করে বিশ হাজারেরও বেশি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে টংলা বিডিও-র মারফত স্মারকপত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে পাঠানো হয়। গ্রামাঞ্চলে গণসমাবেশ করা হয়। টংলাবাসীর এই তীব্র আন্দোলনের চাপে শেষপর্যন্ত দাবি আদায় হল।
টংলা গ্রামীণ হাসপাতালের সীমানায় ১৪ বিঘা অব্যবহৃত জমি থাকা সত্তে্বও স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষের প্ররোচনায় এই হাসপাতালকে শহর থেকে বহু দূরে যাতায়াতের সুব্যস্থাহীন ননৈ নদীর তীরে দুর্গম অঞ্চলে স্থাপন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে হাজার হাজার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আন্দোলনকে তীব্রতর করে তোলেন।
৪ এপ্রিল টংলা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার শত শত মানুষ শহরে সমবেত হয়ে একটি মিছিল করেন (ছবি)। শেষে টংলা চৌমাথায় দাবি-কমিটির সভাপতি শ্যামল সরকার, সহসভাপতি জীতেন্দ্র চলিহা, সমাজকর্মী ললিত বাগলারী এবং সম্পাদক স্বর্ণলতা চলিহা জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলনই একমাত্র রাস্তা।