১৮ জুলাই অল ইণ্ডিয়া ডি ওয়াই ও এবং আন এমপ্লয়েড ইয়ুথ স্ট্রাগল কমিটি (প্রস্তুতি)-র উদ্যোগে অনলাইনে বেকারি বিরোধী জাতীয় যুব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হল। সভাপতিত্ব করেন অল ইণ্ডিয়া ডি ওয়াই ও সর্বভারতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রতিভা নায়ক এবং মুখ্য বক্তা ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড আলদালি রামানজানাপ্পা। ২৪টি প্রদেশ থেকে প্রায় ১৬ হাজার যুবক-যুবতী কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। কনভেনশন উদ্বোধন করে পূর্বতন অ্যাডভোকেট জেনারেল আনন্দ মোহন মাথুর বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করছে। পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিকে বেসরকারিকরণ করে চাকরির নিশ্চয়তাকে কেড়ে নিচ্ছে। করোনা অতিমারিকে ঢাল করে একের পর এক জনবিরোধী নীতি প্রণয়ন করছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রেল, ব্যাঙ্ক, কৃষি সহ সকল সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বক্তারা বলেন, একের পর এক কলকারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে নতুন করে লাখ লাখ শ্রমিক কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি কোটি কোটি যুবক-যুবতী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কোনও ভাবে চাকরি পাচ্ছেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাখ লাখ সরকারি বিভাগে শূন্যপদ পড়ে আছে। সেগুলো পূরণ করছে না। এমনকি যারা নিয়োগ পরীক্ষায় বসেছিলেন বছরের পর বছর তাদের নিয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ না করে ঝুলিয়ে রেখেছে। অবিলম্বে এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্বার যুব আন্দোলন গড়ে তোলার শপথ গ্রহণ করা হয়। কনভেনশন থেকে আগামী ৯ আগস্ট ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিবসে দাবি দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কনভেনশনে কন্ট্রাকচুয়াল শিক্ষক, ডেলিভারি বয়, ওলা-উবের-রেপিডো অপারেটার্স, শ্রমিক, যুবক-যুবতী প্রাইভেট টিউটর প্রভৃতি ক্ষেত্রের মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। বেকারি বিরোধী আন্দোলন তীব্র করার উদ্দেশ্যে কনভেনশনের মধ্য দিয়ে গঠিত হল অল ইণ্ডিয়া আনএমপ্লয়েড ইয়ুথ স্ট্রাগল কমিটি, যার সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কুমার (দিল্লি) এবং সর্বভারতীয় সভাপতি এম উমাদেবী (কর্ণাটক) সহ চব্বিশটি প্রদেশের সংগ্রামী যুব নেতৃবৃন্দ নিয়ে গঠিত হয়েছে কমিটি।