১৮ ফেব্রুয়ারি এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের নেতৃত্বে ২৫ হাজার আশাকর্মীর বিক্ষোভ কলকাতার রাজপথে আছড়ে পড়েছে। এই মহাসমাবেশ উভয় সরকারকেই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আশাকর্মীদের প্রশ্ন, সরকারের তাঁদের নিয়োগ করেছে। তা হলে সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দেওয়া হবে না কেন? এ দিন আশাকর্মীরা ১৫ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবন, নবান্ন এবং রাজভবনে ডেপুটেশন দেন। নবান্নের প্রতিনিধি স্বাস্থ্যভবনে দেখা করেন। আন্দোলনের চাপে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয়েছেন আশাকর্মীদের প্রাপ্য টাকা আর ৮ ভাগে পাঠানো হবে না। আগের নিয়মেই পাঠানো হবে। জনসমীক্ষার বরাদ্দ টাকা দেওয়া হবে, অ্যান্ডে্রায়েড মোবাইল এবং সেই মতো রিচার্জ খরচ দেওয়া হবে, কোনও মহিলা নার্সিংহোমে ডেলিভারির জন্য চলে গেলেও সেখানে আশাকর্মীর প্রাপ্য কী ভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে নীতি নির্ধারণ করা হবে, কোভিড আক্রান্তদের টাকা ধীরে ধীরে দেওয়া হবে, সমস্ত বকেয়া ইনসেনটিভ মিটিয়ে দেওয়া হবে, কোভিড আক্রান্তদের এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, পোলিও প্রথম দিন বুথ করেই খাওয়ানো হবে এবং এ সংক্রান্ত অর্ডার শীঘ্রই দেওয়া হবে। প্রতিনিধিদের জানানো হয় ইতিপূর্বে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো সব অর্ডার আকারে বের করা হবে।
আর বেতন বৃদ্ধির প্রশ্নে সরাসরি কথা তাঁরা দেননি। এই বেতন বঞ্চনার বিরুদ্ধে নেতৃবৃন্দ আন্দোলন তীব্র করার আহ্বান জানান। সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি উত্তরকন্যা, শিলিগুড়িতে হাজার হাজার আশা কর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে সমবেত হবেন।