স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সরকার বহু বিপ্লবীকে আন্দামানে দ্বীপান্তর করেছিল৷ বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্মৃতি বিজড়িত সেই আন্দামানে ১১ আগস্ট শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবস তিনটি দ্বীপে মোট চারটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়৷ পোর্ট ব্লেয়ারের অনুষ্ঠানে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সহ সভাপতি ডাঃ অশোক সামন্ত প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই আলোচনা করেন৷ লিটল আন্দামানে রামকৃষ্ণপুর সবজি বাজারে এবং বিবেকানন্দপুর বাজারে ক্ষুদিরাম স্মারক ব্যাজ পরানো হয়৷ মূল অনুষ্ঠানটি হয় হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগরের ট্যুরিস্ট বাজারে৷ উচ্চশিক্ষিত স্থানীয় যুবক ক্ষুদিরাম ব্যাপারী ও তাঁর বন্ধুদের উদ্যোগে হ্যাভলকে এই প্রথম শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর স্মরণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান দ্বীপের মানুষজন৷ এডুকেশন্যাল অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা বলরাম মান্না ক্ষুদিরাম বসুর জীবন সংগ্রাম ও শিক্ষণীয় দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেন৷ সমাজে নৈতিক অধঃপতনের নানা বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনীষীদের জীবন থেকে আমাদের পাথেয় সংগ্রহ করতে হবে৷ অনুষ্ঠানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়৷
ওই সংগঠনের উদ্যোগে ভারতের রেনেসাঁস আন্দোলনের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল লিটল আন্দামানের বিবেকানন্দপুর বাজারে৷ এই অনুষ্ঠানের জন্য দীর্ঘ চার মাস ধরে গানের চর্চা হয় এবং বড়মানুষদের জীবনী চর্চার প্রয়োজন নিয়ে চলে নানা ধরনের ছোট ছোট আলোচনা সভা৷ এ দিনের অনুষ্ঠানে সভাপতি এবং অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও অসমঞ্জু হালদার৷ বিবেকানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মহিলারা এই অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন৷ বিদ্যাসাগর শিক্ষা প্রণালীতে কীভাবে চরিত্র গঠনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা বলরাম মান্না৷
(৭১ বর্ষ ৮ সংখ্যা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)