ভারতকে স্বাধীন করার জন্য আপসহীন মহান বিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজের বিরুদ্ধে অসমসাহসী সংগ্রাম করে৷ বিদেশের মাটিতে তৈরি হয় ‘আজাদ হিন্দ সরকার’৷ পোর্টব্লেয়ারের জিমখানা গ্রাডন্ডে সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ সরকারের স্বাধীন পতাকা প্রথম উত্তোলন করেছিলেন ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷
এই দিনটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরতে পোর্টব্লেয়ারের ভাতু বস্তিতে ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন ধরে আন্দামানের ‘এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন’–এর উদ্যোগে স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়৷ সকাল ৬টায় নেতাজির প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে নেতাজির ব্যাজ পরানো হয়৷ সকাল ১০টায় পোর্টব্লেয়ারের মেরিনা পার্কে নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান করা হয় এবং বিকাল ৪টায় নেতাজির সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা সভা হয় ভাতু বস্তির সভা মঞ্চে৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্দামান এবং নিকোবরের কৃষি বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর এ কে বিশ্বাস, প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী মনোরঞ্জন হালদার৷ সংগঠনের কাজের নানা দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন অর্গানাইজেশনের সহ সভাপতি বিপুল কুমার মণ্ডল, নেতাজির জীবন সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে হিন্দি ভাষায় আলোচনা করেন অর্গানাইজেশনের সম্পাদক বিজন কুমার মণ্ডল, মূল আলোচক ছিলনে সংগঠনের উপদেষ্টা বলরাম মান্না৷ স্থানীয় ‘নবীন কালচারাল গ্রুপ’ এবং রবীন্দ্রবাংলা স্কুলের শিক্ষকগণ দেশাত্মবোধক নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন৷
অনুষ্ঠান থেকে প্রথমত, ২০১৭–২০১৮ বর্ষকে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের ‘প্লাটিনাম জুবিলি’বর্ষ হিসাবে পালন করা, দ্বিতীয়ত, শুধু আন্দামান নয়, সারা ভারতবর্ষে স্বাধীনতা পতাকা উত্তোলন দিবস হিসাবে ৩০ ডিসেম্বরকে ঘোষণা করা, তৃতীয়ত, নেতাজির জীবন সংগ্রাম ও আজাদ হিন্দ সেনাবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম স্কুল ও কলেজের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পোর্টব্লেয়ারের নাম পরিবর্তন করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পোর্ট হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়৷