কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সুপারভাইজার শূন্য পদ রয়েছে। ব্লক স্তরে সিডিপিও বা চাইল্ড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার পদেও শূন্যস্থানের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ তৃতীয়। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ৪৭৭৯টি সুপারভাইজারের অনুমোদিত পদের মধ্যে ৩৪৩৩টি পদ শূন্য, অর্থাৎ ৭২ শতাংশ পদ শূন্য। সিডিপিও-র ক্ষেত্রে ৫৭৬টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ১৯৩টি শূন্য পড়ে রয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে শেষ নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ তৃণমূল শাসনে কোনও নিয়োগই হয়নি।
এআইইউটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা মাধবী পণ্ডিত ক্ষোভের সাথে বলেন, রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বহুবার শূন্যপদে সুপারভাইজার ও সিডিপিও নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলনের চাপে সুপারভাইজার নিয়োগের পরীক্ষা হলেও, নিয়োগ এখনও হয়নি। ফলে এই প্রকল্পের কাজ ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেন্টারগুলো করোনা ও লকডাউনে বন্ধ থাকায় শিশুরা পরিষেবা পারছে না। সংগঠনের দাবি ১) অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদে সুপারভাইজার ও সিডিপিও নিয়োগ করতে হবে। ২) যানবাহন সচল রেখে সমস্ত সেন্টার খুলে, রান্না করা গরম খাবার দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। ৩) ২০১৪ সাল থেকে বসে যাওয়া কর্মীদের সরকার ঘোষিত ৩ লাখ টাকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।