এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ ১৫ আগস্ট এক বিবৃতিতে বলেন,
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সুপ্রিম কোর্ট তার নিজের ন্যায়পরায়ণতা ও নৈতিকতার উপর এতটাই আস্থা হারিয়ে ফেলেছে যে, একজন খ্যাতনামা আইনজীবীর করা দু’লাইনের একটি মন্তব্য (টুইট)-কে সুপ্রিম কোর্টের মান-মর্যাদার ওপর আঘাত হিসাবে গণ্য করছে। যখন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা হরণের অসংখ্য জরুরি মামলা দীর্ঘ দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হয়ে পড়ে আছে, সেই অবস্থায় তিন বিচারপতির বেঞ্চ যে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় এই স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়ো মোটো) আদালত অবমাননা মামলার শুনানি করে রায় ঘোষণা করেছে, তা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বদলে বহু প্রশ্ন তুলেছে।
বস্তুত, শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রশান্তভূষণ বেশ কয়েক বছর আগেই এই অভিযোগ তুলেছেন এবং আদালতও তাতে কোনও বিদ্বেষমূলক আচরণ খুঁজে পায়নি। তাহলে এখন কেন পাচ্ছে? তা কি এই কারণে যে, এই সৎ ও নির্ভীক আইনজীবী প্রতিটি অবিচারের ঘটনার সুবিচারের জন্য লড়াই করে চলেছেন এবং প্রতিবাদের কণ্ঠ তুলে ধরছেন? আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বর্তমানে যেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করা হচ্ছে এবং ফ্যাসিবাদী কায়দায় বাকস্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় স্বৈরাচারের শক্তিকেই বলবান করবে।
আমরা প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার এই রায় প্রত্যাহারের দাবি করছি এবং মনে করি, তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়াই উচিত নয়।