২৪ এপ্রিল হাওড়া কোর্টের ভিতরে পুলিশ ও RAF বাহিনী আইনজীবী, ল–ক্লার্ক এবং সাধারণ মানুষের উপর যে নজিরবিহীন আক্রমণ নামিয়ে এনেছিল, লাঠিচার্জ এবং টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়েছিল, তা দেখে সাধারণ মানুষ ও আইনজগৎ স্তম্ভিত৷ ঘটনার পরদিনই পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন ঘটনার প্রতিবাদে কর্ম বিরতির ডাক দেয়৷ পশ্চিমবঙ্গের বার কাউন্সিলও এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্ম বিরতির ডাক দেয় এবং ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতিও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন৷ লিগ্যাল সার্ভিস সেন্টার শুরু থেকেই এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং হাওড়া সহ কলকাতায় যে ক’টি মিছিল এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি হয় তাতে সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়৷
১৫ মে লিগ্যাল সার্ভিস সেন্টার এবং সিপিডিআরএস বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হাওড়া আইএমএ হলে একটি নাগরিক কনভেনশনের ডাক দেয়৷ উক্ত কনভেনশনে হাওড়া কোর্ট সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব কোর্ট থেকেই আইনজীবী, ল–ক্লার্ক এবং আইনের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন৷ কনভেনশনের প্রথমেই ১৪ মে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে প্রস্তাব পাঠ করেন অধ্যাপিকা সুচন্দ্রা চৌধুরী এবং বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়৷
বহু আইনজীবী সহ লিগ্যাল সার্ভিস সেন্টারের সম্পাদক প্রবীণ আইনজীবী ভবেশ গাঙ্গুলী (হাইকোর্ট), বিজয়শঙ্কর অগ্রহরী (হাওড়া কোর্ট), উদয় ঘোষ (হাওড়া কোর্ট), কার্তিক রায় (হাইকোর্ট),প্রীতম পণ্ডা (আলিপুর কোর্ট), সমীর রায় (পশ্চিম মেদিনীপুর কোর্ট), পদ্মলোচন সাউ (হাওড়া কোর্ট), চিন্ময় ভৌমিক (পূর্ব মেদিনীপুর কোর্ট) এবং সিপিডিআরএস–এর রাজ্য সম্পাদক অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷ সমাপ্তি ভাষণে কনভেনশনের সভাপতি আইনজীবী তনয়া মিত্র কনভেনশনের মূল প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন এবং পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত আইনজীবীদের নেতৃত্বে যে ঐতিহাসিক আন্দোলন চলছে তার পাশে সক্রিয়ভাবে থাকার অঙ্গীকার করেন৷