এ আই এম এস এসের সপ্তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ১০ মার্চ কলকাতার শ্যামবাজারের বীরেন্দ্র মঞ্চে৷ সম্মেলনের শুরুতে গণআন্দোলন ও নারীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ মূল প্রস্তাব, সাংগঠনিক প্রস্তাবের পর সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ এআইএমএসএসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড কেয়া দে বলেন, মার্কসবাদ–লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের শিক্ষার ভিত্তিতে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলাই নারী মুক্তি অর্জনের একমাত্র পথ৷ সমাপ্তি ভাষণে এস ইউ সি আই (সি) দলের রাজ্য সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, ইতিহাসে কোনও সংগ্রামই নারীদের বাদ দিয়ে সফল হয়নি৷ নারীকে ব্যক্তিত্ব নিয়ে সমাজে বাঁচতে হবে৷ তিনি আহ্বান জানান, যাঁরা মা হয়েছেন তাঁদের রামপ্রসাদ বিসমিল, ভগৎ সিংয়ের মায়েদের মতো হয়ে ওঠার সংগ্রাম করতে হবে৷ সম্মেলন থেকে কমরেড সুজাতা ব্যানার্জীকে সভাপতি এবং কমরেড কল্পনা দত্তকে সম্পাদক করে ৬৫ জনের রাজ্য কমিটি গঠিত হয়৷
৯ মার্চ হাজরার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে ক্রমবর্ধমান নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে, অবাধ মদের লাইসেন্সের প্রতিবাদে, নারী ও শিশু পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নারীর সুরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় কনভেনশন৷ কনভেনশনে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে সহস্রাধিক মহিলা যোগ দেন৷ হল ছাপিয়ে জমায়েত বাইরে চলে আসে৷ কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত, অধ্যাপিকা ডাঃ মালবিকা মিশ্র, অধ্যাপিকা আফরোজা খাতুন এবং এআইএমএসএসের সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড ছায়া মুখার্জী৷ সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক কমরেড সুজাতা ব্যানার্জী৷ কনভেনশন শেষে বিশাল মহিলা মিছিল হাজরা থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত যায়৷