ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের অবহেলায় ত্রিপুরার স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এক অসহনীয় বিপর্যয় নেমে এসেছে। একদিকে করোনা অতিমারি, অন্য দিকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাকর্মী ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে করোনা সহ অন্যান্য রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে না। পরিযায়ী, নির্মাণ ও পরিবহণ শ্রমিক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ অনেক বেসরকারি কর্মচারী রোজগারহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এদিকে প্রতিদিন পেট্রোল, ডিজেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। পেট্রোপণ্যে আমদানি-মূল্যের চেয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি। রাজ্যে প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, চুরি, ডাকাতি বেড়েই চলছে। সাংবাদিক সহ প্রতিবাদী মানুষের উপর চলছে সংগঠিত আক্রমণ। পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে কিছু মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।
এই অবস্থায় এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল নানা দাবিতে ২৮ জুন আগরতলার সিটি সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ ধরনা সংগঠিত করে। দাবি ছিল– ১) পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ট্যাক্স কমাতে হবে, ২) কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে অধিক অর্থ আদায় করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, ৩) নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে, ৪) রোজগারহীন প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ৭০০০ টাকা অনুদান দিতে হবে, ৫) সকল মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে, ৬) যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সকল জনসাধারণের বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে, ৭) রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতে প্রয়োজন অনুসারে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
ধরনায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক অরুণ ভৌমিক।