৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের অফলাইন ক্লাস চালুর দাবিতে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে প্রথম বর্ষের কয়েকশো ছাত্রছাত্রীর স্বাক্ষর সহ স্মারকলিপি জমা দেয় এ আই ডি এস ও। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। কিছু মেডিকেল কলেজে অফলাইনে ক্লাস শুরু হলেও কলকাতার প্রায় সবগুলি এবং বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে অনলাইন ক্লাস চলছে। ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষ অফলাইন ক্লাসের যৌক্তিকতা স্বীকার করে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবুও অফলাইন ক্লাস চালু করা হয়নি। এই অবস্থায় এ আই ডি এস ও বিভিন্ন কলেজে প্রিন্সিপাল, ডিরেক্টর অফ মেডিকেল এডুকেশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ নীরব। একই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একই কোর্স অফলাইন ও অনলাইন দুই ধরনের পদ্ধতিতে ক্লাস হওয়ায় বহু ছাত্রছাত্রী সমস্যায়। বিশেষত অ্যানাটমির মতো বিষয়ের সঠিক ধারণা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই নীতি বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক। কোভিড প্যান্ডেমিকের কারণে ইতিমধ্যে শিক্ষাবর্ষ কমে ১১ মাস হয়েছে। তার উপর অনলাইন ক্লাস অত্যন্ত দায়সারা ভাবে করানো হচ্ছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। মেডিকেল সায়েন্সের মতো মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করা একটি বিষয়ের পঠনপাঠন কখনও দায়সারা ভাবে করানো উচিত নয়। অথচ অতিমারির সময় থেকেই ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ব্যাপারে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত উদাসীনতা ও অপদার্থতা বার বার দেখা যাচ্ছে। জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রেও যেমন এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু করা হচ্ছে না, একই ভাবে মেডিকেল শিক্ষাতেও হাতে কলমে শিক্ষার সুযোগ নষ্ট করা হচ্ছে। এগুলি সবই মেডিকেল শিক্ষাকে কোচিং ইন্ডাস্ট্রি নির্ভর এবং সার্বিক বেসরকারিকরণের পরিপূরক করে তোলার যে চক্রান্ত এনএমসি নিয়ে এসেছে তারই বাস্তব রূপ।