হাওড়ায় শ্যামপুর থানার গোবিন্দপুরে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবা মদ্যপ দুষ্কৃতীদের হামলায় মারা যান৷ অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার, সমস্ত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ওই এলাকা সহ শ্যামপুরের সর্বত্র মদের দোকান উচ্ছেদের দাবিতে এসইউসিআই(সি)-র নেতৃত্বে ২৫ জানুয়ারি এলাকার মানুষ শ্যামপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান৷ বিক্ষোভ সমাবেশে মদের ঢালাও প্রসারে রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন দলের হাওডা গ্রামীণ জেলার সম্পাদিকা মিনতি সরকার৷ চার সদস্যের এক প্রতিনিধিদল থানায় স্মারকলিপি দেন৷ ২৯ জানুয়ারি দলের প্রবীণ নেতা অলক দলপতির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন৷
সিপিডিআরএস ও নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটির প্রতিবাদঃ ২৬ জানুয়ারি নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি ও সিপিডিআরএস-এর প্রতিনিধিদল আক্রান্তের বাড়ি যান এবং শ্যামপুর থানায় ডেপুটেশন দেন৷
প্রতিনিধিদলে ছিলেন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথ, অ্যাডভোকেট আহমেদ শাহরুখ জিয়া, অধ্যাপক জয়ন্ত বসু, অধ্যাপক ইমন কল্যাণ, অপর্ণা দাস, কল্পনা দত্ত, অধ্যাপক তরুণ দাস ও পম্পা সরকার৷
তাঁরা মেয়েটির সঙ্গে ও তার মা-ঠাকুমা সহ পরিবারের অন্যান্যদের সাথে কথা বলেন৷ থানার আধিকারিকের সাথে দেখা করে তদন্ত দ্রুত শেষ করে দুষৃক্তীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান প্রতিনিধিদল৷ আইসি প্রতিশ্রুতি দেন, দ্রুত তদন্ত করে ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় চার্জশিট দেবেন এবং এলাকা থেকে মদের ঠেক তুলে দেওয়া সহ সবরকম সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধের উদ্যোগ নেবেন৷