৫ জুলাই একটি সংবাদপত্র লিখেছিল, শহিদ সুধাংশু জানার স্ত্রী, মৈপীঠ পঞ্চায়েতে এস ইউ সি আই (সি) দলের অন্যতম জয়ী সদস্য গীতা জানা বলেছেন, কমরেড সুধাংশু জানা কর্মীদের বাঁচাতে না পেরে হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন৷ তৃণমূল দুষ্কৃতীরা, যারা কমরেড সুধাংশু জানাকে খুন করে গলায় দড়ি বেঁধে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারাও চাইছিল এটাই প্রচার করতে৷ এই সংবাদ দেখে প্রবল শোকের মধ্যেও কমরেড গীতা জানা সিদ্ধান্ত নেন এই অপপ্রচার রুখতে হবে৷ ওই দিনই তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কিছু খবরের কাগজ যেভাবে কিছু কথা আমার মুখে চাপিয়ে দিয়েছে তাতে আমি অবাক হয়েছি৷ আমার এই চরম দুঃখের দিনে তারা এটা না করলেই পারত৷ ৩ তারিখ থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ির সামনে মারধোর ভাঙচুর করছিল৷ ৪ তারিখ সকালে তৃণমূল নেতা গণেশ মণ্ডল চারটি চার চাকার গাড়ি অনেক মোটর বাইক ও সমাজবিরোধী নিয়ে আমাদের এলাকায় ঢোকে৷ এরপর তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের বাড়িতে ঢোকে৷ ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ কয়েকজন আমাকে ঘরের বাইরে টেনে নিয়ে যায়৷ মারধর করার ভয় দেখাতে থাকে৷ ঘরের ভিতরে আমার স্বামীকে আগুনে ফেলে দেয়৷ জ্বলন্ত কাঠ দিয়ে প্রচন্ড মারধর করে৷ তারপর আমাকে ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়৷ দেখি আমার স্বামীকে মেরে তার গলায় শাড়ি জড়িয়ে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে৷ তৃণমূলের পিন্টু প্রধানরা আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বলে, বল তোর স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ এই রকম পরিস্থিতিতে স্বামীর ঝুলন্ত মৃতদেহের কাছে দাঁড় করিয়ে তারা বারবার চাপ দিতে থাকে৷ আমি তাদের বলি আমি এই কথা বলতে পারব না৷’’