প্রায় দু’বছর ধরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। অনলাইনে পড়াশুনা অল্প কিছু সংখ্যকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অনলাইনে ক্লাস করার জন্য স্মার্টফোন খুবই জরুরি। বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য ঘটি-বাটি বিক্রি করে বা গয়না বন্ধক দিয়েও ফোন কিনে দিতে বাধ্য হন। দেখা যায়, কিছু দিন যেতে না যেতেই তাদের় আদরের সন্তান অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ‘পাবজি’ ও ‘ফ্রি ফায়ার’– মূলত এই দুটি গেমেই তারা সব সময় বুঁদ হয়ে থাকে। ডাকলে সাড়া পাওয়া যায় না, স্নান-খাওয়া ভুলে যায়, বিপদ-আপদে, সুখ-দুঃখে, এমনকি শোকের সময়ে, অন্যের অসুস্থতার সময়েও এই খেলা ছাড়তে পারে না তারা। ফোন কেড়ে নিলে বা লুকিয়ে রেখে দিলে, অথবা ফোনে টাকা না ভরে দিলে ছেলেমেয়েদের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
কিন্তু এর জন্য কি শুধু এই ছেলেমেয়েরাই দায়ী? সরকারি নেতা-মন্ত্রীদের কি এ সব অজানা? নাকি তাঁরা চান আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাক! তারা আকৃতিতে মানুষ, চরিত্রে অমানুষ হয়ে থাক! এতে বোধহয় তাদের অবাধে শোষণ চালাতে সুবিধা হবে। ফোন কোম্পানিগুলি টাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে থেকেই নেট বন্ধ করে দেয়, টাকা ভরার জন্য ফোন করতে থাকে, মেসেজ করে বারবার। টাকা ভরলেও সঙ্গে সঙ্গে নেট দেয় না। কোথাও অভিযোগ জানানোর উপায় নেই। এ ব্যাপারে সব কোম্পানিই সমান। তারা শুধু বোঝে মুনাফা। ছোট ছাত্রছাত্রীরাও আজ ওদের হাতে ক্রীড়নক। সমস্যাটা তীব্র রূপ নিচ্ছে স্কুল বন্ধ থাকায়।
বিদ্যুৎ সীট
জগদল্লা, বাঁকুড়া