এআইডিওয়াইও-এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে কলকাতার হাজরা মোড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে অতর্কিতে তৃণমূল সরকারের বিশাল পুলিশবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয়।
ছাত্রী ও যুব মহিলা কর্মীদের সাথে অশালীন আচরণ করে পুলিশ। অল ইন্ডিয়া ডিওয়াইও-অল ইন্ডিয়া ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক মলয় পাল ও মণিশঙ্কর পট্টনায়ক সহ ৩৪ জনকে বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। উভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের পুলিশের এই গণআন্দোলন বিরোধী ভূমিকার তীব্র নিন্দা করা হয়।
তাঁরা বলেন, দেশজোড়া প্রবল বেকারি সত্ত্বেও সরকারি ক্ষেত্রে নতুন পদ তৈরির পরিবর্তে ক্রমাগত স্থায়ী পদের বিলোপ ঘটানো হচ্ছে, অস্থায়ী করে দিচ্ছে। ‘অগ্নিপথ’ সেই রকমই একটি প্রতারণামূলক প্রকল্প। এই সিদ্ধান্ত বেকার যুব সমাজের স্বার্থ বিরোধী। আমরা চাই সবক্ষেত্রেই স্থায়ী নিয়োগ। দেশের সর্বত্র বিজেপি সরকার ছাত্র-যুবকদের বিক্ষোভকে দমন করার নামে যে বর্বরতায় লাঠি-গুলি-টিয়ারগ্যাস নিয়ে আক্রমণ করছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। ইতিমধ্যেই পুলিশি এই আক্রমণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শত শত ছাত্র-যুবক আহত। এই বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামকে কুর্নিশ জানিয়ে তারা এই স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বত্র সংগঠিত ছাত্র-যুব আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে ১৯ জুন সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।
এআইইউটিইউসি-র প্রতিবাদঃ যুবসমাজের এই আন্দোলনের সঙ্গে হাত মেলাতে দেশের শ্রমজীবী মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত।