
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে সদ্য অনুষ্ঠিত ‘ব্রিকস’ সম্মেলনে কিংবা ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্টে্রলিয়া নিয়ে গড়ে ওঠা চতুর্দেশীয় কোয়াড-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেওয়া যৌথ বিবৃতিতে পহেলগামের জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করা হয়েছে। ব্রিকস থেকে ঘোষিত বিবৃতিতে জঙ্গি হামলার নিন্দার পাশাপাশি সন্ত্রাস প্রসঙ্গে ‘শূন্য সহনশীলনতা’-র নীতির কথা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে রাষ্ট্রগুলির সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা উচিত বলে বলা হয়েছে। কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ কিংবা চিনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কোঅপারেশন সম্মেলনে পহেলগাম কাণ্ডের বিরোধিতা করে কোনও বিবৃতি দেওয়ানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পর এই দুটি বিবৃতিতে পহেলগামের উল্লেখকে বিজেপি সরকার এক বিরাট কূটনৈতিক জয় বলে প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই ঘোষণার মধ্যে ভারতের নতুন করে জয় হল কোথায়? পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা তো ঘটনার পর সব দেশই করেছিল। নিরীহ, নিরস্ত্র ২৬ জন পর্যটককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার নিন্দা করবে না, এমন আচরণ কোনও দেশের পক্ষেই সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ, ব্রিকস এবং কোয়াড বিবৃতিতে পুরনো নিন্দার কথাই নতুন করে উচ্চারিত হয়েছে মাত্র। পহেলগাম হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের বিষয়টির আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিন্দার জন্য সরকারের মন্ত্রী-আমলারা হন্যে হয়ে যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, সেই পাকিস্তানের কোনও উল্লেখ কোনও বিবৃতিতেই নেই। তাই এর মধ্যে কূটনৈতিক বা অন্য কোনও ধরনের জয়ই নেই। প্রশ্ন হল, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা কারা, তাদের পরিচয় কী, কারা তাদের মদতদাতা– এই প্রশ্নগুলির উত্তর বিশ্বের সামনে স্পষ্ট করে ভারত এখনও পর্যন্ত রাখতে পেরেছে কি? যদি তা পেরে থাকে তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে সহমত করানো গেল না কেন? কেন এই প্রশ্নে ভারত কোনও বন্ধুরাষ্ট্র খুঁজে পেল না? এর দায় কার?
পহেলগাম ঘটনার পরেই ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট) নামে এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, যেটি পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতপুষ্ট। পক্ষান্তরে পাকিস্তানকেই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে সরকার।
পহেলগামের ঘটনায় গোয়েন্দা দফতর এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ দেশের মানুষের প্রবল ক্ষোভের সামনে পড়ে দিশাহীন সরকার পাকিস্তানের উপর সামরিক আক্রমণ চালায়। বলা হয়, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়স্থলগুলি গুঁড়িয়ে দিতেই এই আক্রমণ। পাশাপাশি এই আক্রমণের লক্ষ্য রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানেকেও বিশ্বের সামনে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা বলে চিহ্নিত করে ‘একঘরে’ করে দেওয়া।
ভারত-পাকিস্তান আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ তিন দিন ধরে চলার পর হঠাৎ গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও রকম শর্ত ছাড়াই দুই দেশের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দেন। ভারত সরকারও চুপচাপ তা মেনে নেয়। পহেলগামে হত্যাকারী সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করা, তাদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া, পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া অন্য সন্ত্রাসবাদীদেরও ভারতের হাতে তুলে দেওয়া, ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের আর মদত না দেওয়ার কথা ঘোষণা করা– এ সব কোনও কথাই ভারত সরকার যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসাবে তুলতে ভুলে গেল। নিদেন পক্ষে এতগুলি মানুষের নৃশংস হত্যার জন্য পাকিস্তানের নিন্দেটুকুও ট্রাম্প সাহেবের থেকে দাবি করতে পারল না। কেন পারল না? কেন সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে এমন সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করল সরকার? তবে কি ট্রাম্প যে কথা বলছেন– বাণিজ্যের চাপেই ভারত যুদ্ধবিরতি মানতে বাধ্য হয়েছে, এটাই সত্যি? তবে কি বাণিজ্যের স্বার্থ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার থেকে বড় হয়ে উঠল?
এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার দেশের মানুষের তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়ল যে, যুদ্ধে তা হলে ভারত কী করল অর্জন? যে ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বন্ধু বলে দাবি করে এসেছেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরার ছবি মার্কিন ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসাবে দাখিল করে এসেছেন সেই ট্রাম্পের আমেরিকা তো বটেই, এমনকি অন্য কোনও দেশই কেন ভারতের সমর্থনে পাকিস্তানের নিন্দায় এগিয়ে এল না? কেন বিশ্ব খুঁজেও কোনও সমর্থক পেলেন না ‘বিশ্বগুরু’?
অন্য দিকে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের ভিতরে বিজেপি এবং আরএসএস বাহিনী, তাদের আইটি বাহিনী যে তীব্র মুসলিম বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি করে হিন্দুত্বের জিগির তুলল, বিরোধী দলগুলিও সেই জোয়ারে ভেসে গেল এবং কার্যত শাসক বিজেপিকে সন্ত্রাস মোকাবিলার নামে যা-খুশি করার ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়ে বসল। এই সুযোগ হাতছাড়া করল না ধুরন্ধর শাসক বিজেপি। তারা পরিস্থিতি বোঝাতে দেশে দেশে সর্বদলীয় সাংসদ দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করল এবং বিরোধী দলগুলি বিনা বাক্যব্যয়ে তা মেনে নিল। ৫৯ জন সাংসদকে সাতটি দলে ভাগ করে বত্রিশটি দেশে পাঠাল সরকার। এবং তাঁরা বিদেশে গিয়ে কী বক্তব্য রাখবেন তা-ও সরকারের পক্ষে থেকে ঠিক করে দেওয়া হল। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তাঁরা জনগণের করের টাকায় বিশ্বভ্রমণ করে ফিরে এলেন। ফল কী হল? কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে কিংবা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ চিনে অনুষ্ঠিত ২০টি দেশের সাংহাই কোঅপারেশন সম্মেলনে উপস্থিত থেকেও যৌথ প্রস্তাবে পাকিস্তানের নিন্দার কথা ঢোকাতে পারলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এতবড় একটি হত্যাকাণ্ড, যার জন্য পাকিস্তান দায়ী ঘোষণা করে ভারত সে দেশে সামরিক আক্রমণ চালাল, বিশ্বের কোনও দেশ (ইজরায়েল ছাড়া) কেন তবে পাকিস্তানের নিন্দা করল না? তা হলে সংসদীয় দলগুলি এই সব দেশগুলিতে গিয়ে কী বুঝিয়ে এল? বাস্তবে এই সংসদীয় দলগুলি বিদেশে গিয়ে যে কেবল শূন্যেই তরোয়াল ঘুরিয়ে ফিরে এসেছেন এবং তাঁদের পিছনে খরচ করা কোটি কোটি টাকা যে কার্যত জলে গিয়েছে তা আজ বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না। বিদেশমন্ত্রী নিজেও তো বেশ কয়েকটি দেশে সফর করে এলেন। তিনিই বা কী বোঝালেন? প্রধানমন্ত্রী তো দেশে দেশে ঘোরা এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের জড়িয়ে ধরায় বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। তা তিনিই বা এত দিন কেমন সম্পর্ক তৈরি করলেন যে প্রয়োজনে কোনও দেশকেই পাশে পাওয়া গেল না? এর জন্য দায়ী কি সরকারের অপদার্থতা, তার নীতিপঙ্গুত্ব, নাকি অন্য কিছু?
অন্য দিকে ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও আইএমএফ পাকিস্তানকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ মঞ্জুর করে দিল। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বিশেষ প্যাকেজ মঞ্জুর করল। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস দমন কমিটির সহ-সভাপতির পদ পেয়ে গেল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা কংগ্রেস আমল থেকেই ছিল। এই বৈরিতা দুই দেশের শাসক শ্রেণি তাদের সংকীর্ণ স্বার্থেই জিইয়ে রেখেছে। পুঁজিবাদী শাসকদের অপশাসনে জনগণের বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠলে দুই দেশের শাসকরাই জনগণের ক্ষোভ থেকে নিজেদের আড়াল করতে একে অপরকে শত্রু খাড়া করে। বাস্তবিক বিজেপি ক্ষমতায় বসার পর এই বৈরিতা আরও বেড়েছে। প্রতিবেশী প্রায় সব দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হয়েছে। কোনও একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে হয়তো সেই দেশের দায় বলা যায়। কিন্তু সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে তো নিজের ত্রুটিটা আগে খুঁজতে হয়। কিন্তু সেই কাজটি বিজেপি সরকারকে কেউ কখনও করতে দেখেনি। বরং তার বৃহৎ শক্তিসুলভ আধিপত্যবাদ, তার শক্তিমত্ত দম্ভ, হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জিগির কখন তাকে প্রতিবেশী দেশগুলির থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে শাসক রাষ্ট্রনেতারা তা টেরও পাননি। ভারতীয় একচেটিয়া মালিকদের স্বার্থে যে আধিপত্যবাদ ভারতীয় শাসকরা প্রতিবেশী দেশগুলির উপর চাপিয়ে দিয়েছে তার বিরুদ্ধে সেই সব দেশে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়েছে। সেই সুযোগ নিয়েছে আর এক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি চিন। তারা এর সুযোগে এই সব দেশে প্রভাব বাড়াতে পেরেছে।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে গিয়ে ভারত সরকার মার্কিন ফাঁদে পা দিয়েছে। বন্ধুত্বের নাম করে চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে আমেরিকা শুধু ব্যবহারই করেছে, বন্ধুত্ব যে ঠুনকো, সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি আমেরিকা যে কারওরই বন্ধু হতে পারে না, দ্বিতীয় বার জিতে আসা ট্রাম্পের ভারতের উপর শুল্ক বোঝা চাপানোর হিড়িক দেখে কিংবা ভারতীয় অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী দেশগুলির নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সমন্বয় সবটাই নির্ধারিত হয় নিজ নিজ দেশের পুঁজিপতিদের সামগ্রিক স্বার্থের নিরিখেই। এই দ্বন্দে্ব কখনও একটু সুবিধাজনক পরিস্থিতি আসে, কখনও নয়। এই নিরিখেই বিষয়টি দেখা দরকার।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের কথা বলা হলেও এবং সে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ও অস্ত্র আমদানি করলেও, কিংবা যে ফ্রান্সের থেকে অত্যন্ত চড়া দামে কেনা রাফাল বিমানই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করেছে সেই ফ্রান্স– কেউই পহেলগাম হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করতে রাজি হয়নি।
ভারত প্রথম থেকেই প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতার পক্ষে থেকেছে। অথচ বিজেপি সরকার হঠাৎই প্যালেস্টাইনের থেকে সেই সমর্থন তুলে নিয়ে দেশের একচেটিয়া পুঁজির ব্যবসায়িক স্বার্থে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে শুরু করেছে। গাজায় তীব্র মানবিক সঙ্কট তৈরি হলেও রাষ্ট্রপুঞ্জে প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ থামাতে ইজরায়েল-বিরোধী প্রস্তাবকে সমর্থন করেনি। যা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ভারত বিরোধী মনোভাবকেই বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
ভারত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরোধিতা না করে রাশিয়া থেকে সস্তা তেল সহ অন্যান্য সুবিধা নিয়েছে। আর মুখে বলেছে, এখন যুদ্ধের সময় নয়, বা যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়। আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতিই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েল-আমেরিকার হামলার বিরোধিতা না করে ভারত কূটনীতি এবং আলাপ-আলোচনার কিছু শুকনো কথা শুনিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। সেই ভারতই পাকিস্তানের প্রশ্নে কূটনীতির রাস্তায় না গিয়ে, সন্ত্রাসবাদে মদতের বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরে তাকে একঘরে করার সময়সাপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার অপেক্ষাকৃত কঠিন কাজটি এড়িয়ে গিয়ে সামরিক হামলা চালাল। অর্থাৎ প্রতিবেশী হোক বা অন্য কোনও রাষ্ট্র, কোথাওই বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা কোনও নির্দিষ্ট নীতিতে স্থির থাকতে পারেননি। বাস্তবে দেশের একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ দেখতে গিয়ে তাঁরা নীতির সাথে আপস করেছেন। বাস্তবিক বিশ্বজুড়ে আজ সংকীর্ণ স্বার্থই রাষ্ট্রগুলির প্রধান পরিচালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করছে। তাই তারা বাস্তবে যেমন কেউ কারও বন্ধু নয়, তেমনই কোনও দেশের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায়কে অন্যায় বলতেও তাদের এই সংকীর্ণ স্বার্থই পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থায় বিশেষ কোনও সংকটে পাশে দাঁড়ানোর মতো বন্ধু খুঁজে পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। সব মিলিয়ে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বে ভারত আজ নিজেই একঘরে হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ডুবন্ত মানুষের খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মতো ব্রিকস বা কোয়াড সম্মেলনে পহেলগাম সন্ত্রাসের নিন্দাকেই বিরাট সাফল্য হিসাবে তুলে ধরতে হচ্ছে সরকারকে।