
সরকারি ডাক্তারদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তী এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস ২৬ অক্টোবর এক বিবৃতিতে বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলির তৈরি ওআরএসএল নামক যে পানীয় এখন বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে সুগার এবং অন্যান্য পদার্থের় মাত্রা অত্যধিক বেশি। তা ছাড়া নানা ধরনের ফ্লেভার এবং প্রিজারভেটিভ কার্যত ওআরএস-এর গুণাবলিকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে। এটি বন্ধ করার জন্য ডাঃ শিবরঞ্জনী সন্তোষ মামলা করেন। দীর্ঘ আট বছর লড়াইয়ের ফলে ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড কন্টে্রাল অথরিটি এই ধরনের পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মানব কল্যাণে এ এক ঐতিহাসিক জয়। কিন্তু এই জয় মুনাফাসন্ধানী কোম্পানিগুলি মানতে নারাজ। তারা এই নিষেধাজ্ঞার উপর স্থগিতাদেশ আনতে দিল্লি হাইকোর্টে আপিল করেছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট এই সব পানীয় বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদেশের কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি নেই। কেবল মাত্র ওইসব কোম্পানির মুনাফার স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখেই এই স্থগিতাদেশ হয়েছে। এর ফলে ওইসব পানীয় যদি বাজারে চলে থাকে, তা হলে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হোক। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, তারা যেন বহুজাতিক কোম্পানির বিজ্ঞাপনে প্রতারিত না হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত ওআরএস-ই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহার করেন। না হলে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।