চিটফান্ডে প্রতারণা চলছেই, ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনের ডাক

ফাইল ফটো

চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি রূপম চৌধুরী ২৪ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারকে বারবার সতর্ক করেছি যে, চিটফান্ড কোম্পানিগুলো নতুন কায়দায় রাজ্যের মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে। ২০১৩ সালে হঠাৎই সারদা গ্রুপ কোম্পানি ঝাঁপ বন্ধ করার সাথে সাথে এই রাজ্যে আনুমানিক ১৫৪টি চিটফান্ড কোম্পানি এক মাসের মধ্যে ঝাঁপ বন্ধ করে দেয়। এই রাজ্যে আনুমানিক ৫ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।

দেশের চিটফান্ড কোম্পানিগুলোর ৭০ শতাংশ এই রাজ্যে কাজ করছিল। তারা রাজ্য থেকে আনুমানিক ৪ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছে। কিছুদিন এই চিটফান্ড কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকার পর ২০১৪ সাল থেকে আবারও নানা নামে প্রকল্প খুলে লোভনীয় ফাঁদ পেতে তারা হাজার হাজার মানুষকে নতুন করে নিঃস্ব করেছে।

ইদানিং মাইক্রো ফিনান্স নাম নিয়ে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লোভনীয় অফারের লোভ দেখিয়ে দৈনিক অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। এ ভাবে তারা বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর থানার আকাইপুরে একটি মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানি হাজার হাজার মানুষকে প্রতারিত করে, রাতের অন্ধকারে অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে। রাজ্য সরকার এবং তাদের নিযুক্ত ইকোনমিক অফেনস উইং পুরোপুরি নীরব দর্শক। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

সংগঠন দাবি করেছে, অবিলম্বে এই সব অবৈধ সংস্থাগুলোর পরিচালন কমিটির সকলকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এই সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সংগঠনের অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগণা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অভিযোগ করা সত্ত্বেও তারা আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব। রাজ্যের মানুষের কাছে সংগঠন আহ্বান জানিয়েছে, এই প্রতারণার চেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলুন। তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, প্রতারিত মানুষদের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।