Breaking News

কেন যেতে হবে ৫ আগস্টের সমাবেশে

পুরুলিয়া জেলার এক প্রান্তে দামোদর নদ ঘেঁষা গ্রাম। বৃষ্টিভেজা এক বিকেলে পঞ্চাশ-ষাটজন মানুষ জড়ো হয়েছেন গাছের ছায়াঘেরা এক প্রাঙ্গণে। আছেন কোল ওয়াশারি, ডিভিসির ঠিকাকর্মী, আছেন কৃষকরা। আলোচনা চলছে, সামনে আসছে ৫ আগস্ট, যেতে হবে কলকাতার সমাবেশে।

কলকাতার ট্যাংরা অঞ্চলে রাবার কারখানার এক ঘরে দেখা গেল এমনই এক সভা। যেমন দেখা গিয়েছিল গত সপ্তাহে উচ্চবিত্তের মনোরম বাড়ির পাশেই ছোট্ট পার্কে বিধাননগরের পরিচারিকা কর্মীরা সামান্য অবকাশের মাঝে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সেরে নিচ্ছেন আলোচনা। গভীর মনোযোগে তাঁরা বুঝতে চাইছেন খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে ৫ আগস্ট দিনটির তাৎপর্য। গত এক মাস ধরে ঠিক এমন দৃশ্যেরই দেখা মিলছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নানা এলাকায়, কলে-কারখানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন কোনও ঘরে, পার্কে এমনকি বাসস্ট্যান্ডেও।

দেহের কষ্ট, দিনের রোজগার, চাষের কাজ, পরিবারের নানা অসুবিধা উপেক্ষা করেও এই সমাবেশে যেতেই হবে। কেন? রাজনৈতিক সমাবেশ তো অনেক হয়, তাতে দলে দলে মানুষ যোগও দেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে এমন করে গভীর মনোযোগে তার তাৎপর্য উপলব্ধি করতে চাইছেন শ্রমিক, কৃষক, অফিস কর্মচারী, পরিচারিকা, ছাত্র, গবেষক, চিকিৎসক সহ সব স্তরের, সব পেশার মানুষ– এমনটা তো অন্য ক্ষেত্রে ঘটে না! সেখানে নেতারা ডাকেন, মানুষ যোগ দেন। এ ক্ষেত্রে ডাকটা যে ছুঁয়ে যাচ্ছে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলির অন্তরকে!

১৯৭৬-এর ৫ আগস্ট, জীবনাবসান হয়েছিল এই যুগের বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী চিন্তানায়ক সর্বহারা শ্রেণির মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষের। তারপর এক এক করে ৫০টা বছর চলে গেছে, ৫ আগস্ট দিনটা ফিরে এসেছে বারবার। তাঁকে স্মরণ করতে গিয়ে একদিকে গভীর ব্যথা, অন্য দিকে তাঁর চিন্তাধারার সার্থক রূপায়ণের মাধ্যমে শোষণের শৃঙ্খল ছিন্ন করার কর্ম যজ্ঞে আত্মনিয়োগের প্রেরণা মথিত করেছে অসংখ্য মানুষের হৃদয়। মানুষের জীবনে সংকট বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। অর্থনৈতিক সংকট, কাজ পাওয়ার সংকট এমন হরেক সংকটের সাথে যোগ হয়েছে পরিবারের মধ্যেকার সম্পর্ক, সন্তানকে মানুষ করার প্রশ্নে সংকট। এই সংকট থেকে রেহাই পাওয়ার রাস্তা কোথায়? আজকের সামাজিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংকটের মূল উৎস যে পুঁজিবাদী সমাজ ও তার শোষণ– এই সত্যটা দেখিয়েছে বৈজ্ঞানিক দর্শন মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ। কিন্তু শুধু এই সত্য জানলেই তো হয় না, তাকে বিশেষ দেশে বিশেষ সময়ের প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট করে বোঝা এবং সফলভাবে প্রয়োগ করার কাজটা না করলে চলে না। সেই কাজটা রাশিয়াতে করে দেখিয়েছিলেন লেনিন। তাঁর পরবর্তী সময়ে এই ভূমিকা নিয়েছেন স্ট্যালিন, চিনে এই কাজ করেছেন মাও সে তুঙ। তার মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজের দেশের শুধু নয় বিশ্বের সর্বহারা শ্রেণিকে শক্তি দিয়েছেন এগিয়ে চলার রাস্তা খুঁজে নেওয়ার। তাঁদেরই সুুযোগ্য উত্তরসাধক শিবদাস ঘোষ এই কাজটাই করেছেন ভারতে।

কমরেড শিবদাস ঘোষ এই দেশের বুকে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের বিজ্ঞানকে প্রয়োগ করে একটা নতুন জাতের পার্টি, জাতবিপ্লবী হওয়ার মতো উন্নত চরিত্রের একদল নেতা-কর্মী গড়ে তোলার কাজে প্রথম নজর দেন। রাজনীতি যে একটা উচ্চ হৃদয়বৃত্তি এবং বিপ্লবী রাজনীতি যে উচ্চতর হৃদয়বৃত্তির কারবার, কথাটা এই দেশের রাজনীতির ময়দানে প্রথম তুলে ধরলেন তিনি। তাঁর হাতে গড়া দল এস ইউ সি আই (সি)-র মধ্যে তিনি এর চর্চা নিয়ে এলেন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে। রাজনীতির আদর্শটা উন্নত হলে তার সংস্পর্শে আসা মানুষগুলোও উন্নত মূল্যবোধ, উন্নত সংস্কৃতির আধারে গড়ে উঠতে বাধ্য। না হলে বুঝতে হবে রাজনীতির নামে যত বড় বড় কথাই বলা হোক না কেন, সেই রাজনীতিটা শেষপর্যন্ত মানুষের সর্বনাশই ডেকে আনে, এই ছিল তাঁর শিক্ষা। আজকের দিনের রাজনীতিবিদ হিসাবে যাদের ছবি রোজ কাগজে ছাপা হয় তাদের সাথে মিলিয়ে দেখলে একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায় এই কথাগুলো।

আজ সাম্প্রদায়িকতার বিষ সারা দেশেই বহু মানুষের মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে। এই সাম্প্রদায়িক সমস্যার মূল কারণ এবং তার সমাধানের রাস্তা তুলে ধরে ১৯৬৪-তে কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখিয়েছিলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বামপন্থী আন্দোলনে সামাজিক বিপ্লবের কর্মসূচিকে যথাযথভাবে গ্রহণ করে তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলা সম্ভব। স্বাধীনতা লাভের পর সিপিআই-এর নেতারা যখন ভারতীয় পুঁজিপতি শ্রেণির নবগঠিত রাষ্ট্রটির সঠিক চরিত্র বুঝতে অক্ষম হয়ে তার নানা রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, নিজেদের মনগড়া ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করতে মার্ক্স লেনিনের উদ্ধৃতি খুঁজে হয়রান হচ্ছেন, সেই সময় মার্ক্সবাদের সঠিক উপলব্ধির ভিত্তিতে এই রাষ্ট্রব্যবস্থাটির প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরেছিলেন কমরেড শিবদাস ঘোষই। তিনি সিপিআই নেতৃত্বের বিভ্রান্তিকে স্পষ্ট করে তুলে দেখিয়েছিলেন ভারতবাসী রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেলেও আসেনি গণমুক্তি। ফলে পুঁজিবাদের শোষণ থেকে ভারতের শ্রমিক, কৃষক সহ সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির প্রয়োজনে আজ আর একটা লড়াই পরিচালনা করতে হবে এ দেশের বুর্জোয়া শ্রেণির বিরুদ্ধে। তিনি দেখিয়েছেন ভারতীয় বুর্জোয়া শ্রেণি একচেটিয়া পুঁজির জন্ম দিয়েছে অনেক আগেই এবং সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র অর্জন করেছে স্বাধীনতা লাভের প্রায় পরে পরেই। তিনি তুলে ধরেছিলেন, এই পুঁজিবাদী শোষণের প্রকৃত রূপ। দেখিয়েছিলেন শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য বিপ্লবী লড়াইয়ের সুনির্দিষ্ট রাস্তা। এই বিপ্লবের প্রয়োজনের সাথে তাঁর সমস্ত সত্তা হয়ে উঠেছিল এক এবং অভিন্ন।

আজকের ভারতে সমস্ত স্তরের সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাগুলি সমাধানের দাবিতে গণআন্দোলনের সাথে কমরেড শিবদাস ঘোষের হাতে গড়া দলটির নাম এক হয়ে গেছে। এই মহান নেতা গণআন্দোলনের সঠিক পথ নিরূপণ করেছিলেন বলেই আজ তা সম্ভব হয়েছে। আজকের ভারতে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন, সাধারণ মানুষের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে শুরু করে যে কোনও গণআন্দোলনকে সঠিক দিশায় পরিচালিত করা, তাকে ভোট-রাজনীতির চক্করে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে শাসকশ্রেণির প্রকৃত স্বরূপ চিনতে সাহায্য করার কাজটা কেমন করে করতে হয়, তার সন্ধান আছে কমরেড শিবদাস ঘোষের শিক্ষাতেই। তিনি দেখিয়েছিলেন, আজ পরিবারের মধ্যে সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মানুষ আক্ষেপ করে। কিন্তু এই সম্পর্ককে সুন্দর রাখতে যে স্বার্থপরতা-মুক্ত মন প্রয়োজন তা আজকের সমাজপরিবেশে গড়ে তুলতে পারে কারা? এ কাজ একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা এই অসুস্থ সমাজ পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়তে এগিয়ে আসবে, সমাজের সামগ্রিক স্বার্থের সাথে ব্যক্তি-স্বার্থকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করবে। এই সংগ্রামকে এড়িয়ে আজ কোনও মানুষই একা একা যথার্থ শান্তির জীবন যাপন করতে পারে না।

বর্তমান সময়ে শাসক দল বিজেপি নতুন করে ভারতের বুকে যুদ্ধ উন্মাদনার জিগির তুলছে, জনগণের সমস্ত সমস্যাকে চাপা দিতে তাদের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধাস্ত্র তৈরি আর সামরিক প্রয়োজনকেই একমাত্র জরুরি বলে মানুষের সামনে তুলে ধরছে। আর একদিকে ভাষা এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিদ্বেষ ছড়িয়ে মানুষের ওপর নামিয়ে আনছে অত্যাচার। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শাসন কায়েমের জন্য তারা সমস্ত দিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আবার শরণাপন্ন হতে হয় কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তার কাছে। এ দেশের স্বাধীনতার কিছু দিন পরেই তিনি ফ্যাসিবাদের স্বরূপ আজকের দিনে কী, তা সুনির্দিষ্ট করে তুলে ধরেছেন। শুধু স্বৈরাচার আর গায়ের জোরের শাসনকে দেখিয়ে ফ্যাসিবাদকে ব্যাখ্যা করা যায় না। সংস্কৃতি, শিক্ষা ক্ষেত্র, মানসিক জগতে যে আক্রমণ ফ্যাসিবাদ নামিয়ে আনে তাকে সঠিকভাবে চেনা দরকার। তিনি দেখালেন, ‘‘ফ্যাসিবাদ হল অধ্যাত্মবাদ ও বিজ্ঞানের এক অদ্ভূত সংমিশ্রণ। এতে জাতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামে একই সঙ্গে থাকে ফ্যাসিবাদী ‘রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলার স্বার্থে বিজ্ঞানের কারিগরি দিককে গ্রহণ করার কর্মসূচি এবং সমস্ত রকম অবৈজ্ঞানিক ধর্মীয় উন্মাদনা ও ভাববাদী ভোজবাজিকে (idealistic jugglery) শোষণমূলক পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং বর্তমান সমাজের আনুষঙ্গিক কুফলগুলি থেকে পরিত্রাণের সর্বরোগহর ঔষধ হিসাবে পরিবেশন করার চেষ্টা’’ (সময়ের আহ্বান, নির্বাচিত রচনাবলি দ্বিতীয় খণ্ড)। শাসক শ্রেণির অর্থনীতির সামরিকীকরণের পরিকল্পনাকে তুলে ধরে তিনি দেখিয়েছেন, ‘‘মিলিটারি খাতে ব্যয়বৃদ্ধি করে সঙ্কুচিত অভ্যন্তরীণ বাজারের কৃত্রিম তেজিভাব বজায় রাখার এবং ভারতবর্ষের সামরিক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলার প্রয়োজনেই ভারতীয় বুর্জোয়া শ্রেণি যত দীর্ঘ সময় সম্ভব চিনের সাথে সীমান্ত সমস্যা, পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সমস্যা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সাথে তার নানা বিতর্কিত বিষয়কে জিইয়ে রাখার পথে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক যে অর্থনীতির সংকট যত তীব্র হবে, জনসাধারণের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দিতে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে শাসক শ্রেণি তত বেশি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে হইচই করবে’’।

জ্ঞান জগতের পরিমণ্ডলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে তিনি মার্ক্সবাদী বিজ্ঞানের আলোকে নতুন পথনির্দেশ রেখে গেছেন, যা আগামী দিনে বিজ্ঞানের সুস্পষ্ট ধারণার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে বহু কাল। ব্যক্তির মুক্তি, ব্যক্তিত্বের সমস্যা ইত্যাদি যে বিষয়গুলি নিয়ে বর্তমান বুর্জোয়া সমাজ সংকটে, সমাজমুক্তির সংগ্রামে ব্যক্তির ভূমিকা এবং তার স্বাধীনতার সীমারেখা ঠিক কোথায় এই প্রসঙ্গে সঠিক গাইডলাইন দিয়েছেন তিনি।

কমরেড শিবদাস ঘোষ যে দিন ভারতের বুকে একটি সঠিক কমিউনিস্ট দল গঠনের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, তখন তিনি বয়সে তরুণ। সাথে মুষ্টিমেয় আরও কয়েকজন যুবককে নিয়ে তাঁর পথচলা শুরু। সে দিন আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট নেতৃত্বের স্বীকৃতি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাট দল সিপিআই। ছিল আরও কিছু দল ও তাদের নামডাকওয়ালা নেতারা। সে দিন শিবদাস ঘোষ ও তাঁর সঙ্গীরা ছিলেন সহায় সম্বলহীন, আশ্রয়হীন, অখ্যাত। তাঁদের একটিই সম্বল– মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের সঠিক উপলব্ধি। এর জোরেই বিজ্ঞান, সমাজ সহ মানবজীবনের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে তিনি অবদান রাখেননি। তিনি বলতেন, ‘‘এই লড়াই করতে গিয়ে যদি না খেতে পেয়ে রাস্তায় আমি মারাও যাই, আমি মাথা উঁচু করে মরব– আমাকে গুলি করে মারা যাবে কিন্তু আমাকে কেনা যাবে না।’’ সমাজবিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত এই মহান নেতা বলতেন, ‘‘আমার বেঁচে থাকার একটিই মানে, আমি বিপ্লবী হিসাবে বেঁচে আছি’’। এই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তিনি ভারতের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী কর্মপ্রচেষ্টার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। বলেছিলেন, কিছু না পারি বিপ্লবের জন্য একটা ইট গেঁথে রেখে যাব, যদিও তিনি গড়ে দিয়ে গেছেন এস ইউ সি আই (সি) নামে বিপ্লবী দলটির ইমারত। ৫ আগস্ট এই মহান নেতার ৫০তম স্মরণ দিবসে তাই দেশ জুড়ে শপথ নেবেন হাজার হাজার মুক্তিকমী মানুষ। তাঁর আহ্বান ছিল–‘‘মনে রাখবেন, … মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা বা মৃত্যুকে বরণ করার একটাই মাত্র নিশ্চিত পথ রয়েছে। তা হল, সমাজের আমূল পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের যে বিপ্লবী সংগ্রাম তাতে নিজেকে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত করা।’’ রাজ্যে রাজ্যে সমবেত মানুষ শপথ নেবেন – হৃদয়ের গভীর আবেগ ও বেদনাকে শক্তিতে পরিণত করে আমরা কমরেড শিবদাস ঘোষের এই অমোঘ আহ্বানের মূল্য দেব।