
প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের নামে স্মার্টফোন ও সিমকার্ড দিলে তবেই পোষণ ট্র্যাকার অ্যাপসের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি এবং ফেস ক্যাপচারের কাজ করা হবে– এই দাবিতে হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আন্দোলন চলছিল।
চাঁপদানি অঙ্গনওয়াড়ি প্রজেক্টের ৩০ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই কাজ না করায় তাদের বিনা নোটিসে সাম্মানিক ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাম্মানিক ভাতা অবিলম্বে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দপ্তরের আধিকারিক (সিডিপিও)-কে চিঠি দেন। কিন্তু আধিকারিকরা কোনও প্রত্যুত্তর দেননি। এর পর ওয়েস্ট বেঙ্গল অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেল্পার্স ইউনিয়নের হুগলি জেলা সম্পাদক রীতা মাইতি অঙ্গনওয়াড়ি দপ্তরের জেলা আধিকারিককে এবং এআইইউটিইউসি-র জেলা সম্পাদক কমরেড তপন দাস হুগলি জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে ওই ৩০ জন কর্মীর সাম্মানিক ভাতা অবিলম্বে দেওয়ার দাবি জানান। কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় ১৫ অক্টোবর চাঁপদানি সিডিপিও দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর পরেও আধিকারিক দেখা না করায় ভদ্রেশ্বর স্টেশন রোড তেমাথা মোড়ে অবরোধ করা হয়। তখন পুলিশ বাধ্য হয় আধিকারিকের সাথে ইউনিয়নের মিটিংয়ে বসার ব্যবস্থা করতে।
১৬ অক্টোবর বেলা ১২টায় চাঁপদানি অঙ্গনওয়াড়ি প্রজেক্টের অফিসে জেলা সম্পাদিকা সহ উক্ত প্রকল্পের নেতৃবৃন্দ সিডিপিও-র সাথে মিটিংয়ে বসেন। কর্তৃপক্ষ ৩০ জন কর্মীর বকেয়া সাম্মানিক ভাতা মিটিয়ে দিতে বাধ্য হন।