শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতার মাহাত্ম্য প্রচার কী উদ্দেশ্যে?

বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ছাত্ররা গীতা পাঠ বাদ দিয়ে ফুটবল খেলুক। এতে দেহ মন সবল হবে। সেই বিবেকবাণীকে উপেক্ষা করে সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইআইইএসটি) দেখা গেল উলটপুরাণ। প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে গীতা ও হিন্দুধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করতে দেখা গেল। এর কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন তুলেছে হাওড়া জেলা সেভ এডুকেশন কমিটি। কমিটির বক্তব্য, গীতার বাণী যারা ধারণ করতে চান, করুন ব্যক্তিগত পরিসরে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে তা কেন?

২০ ডিসেম্বর ইনস্টিটিউটের মেইন গেটে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় কমিটির সম্পাদক প্রবীণ শিক্ষক চণ্ডীচরণ মাইতি বলেন, যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাঠ নিতে এসেছে সেখানে গীতার মাহাত্ম্য প্রচার আসলে প্রযুক্তি ও অধ্যাত্মবাদের সংমিশ্রণের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী চিন্তাভাবনার পথকে প্রশস্ত করা। বিজেপি সরকারের শিক্ষানীতির অন্যতম লক্ষ্য হল শিক্ষার গৈরিকীকরণ করা। অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন পরিচালনা করছে। শিবপুর আইআইইএসটি-তে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই শিক্ষানীতিরই একটি অঙ্গ।

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ২১ সংখ্যা ৩১ ডিসেম্বর ২০২১