রোমিলা থাপারকে সরানোর চক্রান্ত তীব্র নিন্দা এআইডিএসও–র

দিল্লির জে এন ইউ কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রোমিলা থাপার সহ ১২ জন এমিরিটাস অধ্যাপককে তাঁদের সি ভি (যোগ্যতা জ্ঞাপক প্রমাণপত্র) জমা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে৷ এআইডিএসও–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড অশোক মিশ্র ২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এর তীব্র নিন্দা করেছেন৷ অধ্যাপক থাপার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি সিভি জমা দেবেন না৷ অবসরের পর খ্যাতনামা অধ্যাপকদেরই এমিরিটাস অধ্যাপক হিসাবে সম্মানজনকভাবে নিয়োগ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়৷ এমিরিটাস অধ্যাপকরা তাঁদের যোগ্যতা, দক্ষতা, শিক্ষাগত উৎকৃষ্টতা দিয়ে কাজ করে থাকেন৷ তাঁদের এ ধরনের চিঠি পাঠানো চূড়ান্ত অসম্মানজনক৷ বর্তমানে ৮৭ বছর বয়সেও তিনি সক্রিয়ভাবে গবেষণা, শিক্ষাদান, বই লেখা, বহু ওয়ার্কশপ পরিচালনা যোগ্যতার সাথে করে যাচ্ছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাঁর যোগ্যতা নথিভুক্ত রয়েছে৷ কর্তৃপক্ষ চাইলেই তা দেখতে পারে৷ তা সত্ত্বেও সি ভি দেওয়ার ফরমান কেন?

বিবৃতিতে অশোক মিশ্র বলেছেন, অধ্যাপক থাপার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষার বেসরকারিকরণের নীতির ঘোরতর বিরোধী৷ বিজেপি–আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষমতা অপব্যবহার করে যেভাবে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে তিনি তার তীব্র সমালোচক৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার হরণের বিরোধী৷ গেরুয়া শিবিরের অপকর্মের সামনে তিনি এক বলিষ্ঠ প্রতিবাদ৷ এঁদেরকে সরিয়ে দেওয়াই বিজেপির হীন মতলব৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য কমরেড মিশ্র আহ্বান জানিয়েছেন৷

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ৭ সংখ্যা)