বিশ্বে প্রতি মাসে অনাহারে মারা যাচ্ছে ১০ হাজার শিশু

পুঁজিবাদী শোষণের স্বাভাবিক নিয়মে অর্ধাহার, অনাহার, অপুষ্টিতে মৃত্যু চলছিলই। করোনা সংক্রমণ এসে তা আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেল। বর্তমানে বিশ্বে ১০ হাজার শিশু প্রতি মাসে মারা যাচ্ছে শুধু না খেতে পেয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় ৩৭ কোটি শিশু স্কুল থেকে খাবার পাচ্ছে না। দারিদ্রের কারণে বাড়িতেও এদের অনেকের খাবার জোটে না। স্বাভাবিকভাবেই ন্যূনতম পুষ্টি হচ্ছে না, টিকাকরণ হচ্ছে না এই শিশুদের। ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও গড়ে উঠছে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নাগরিক এই শিশুরা অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভয়ঙ্করভাবে। পড়াশোনা, খেলাধূলার কোনও সুযোগ নেই, শিশুমনে চাপ পড়ছে ব্যাপক। ঘরের চার দেওয়ালের গণ্ডিতে আটকে থাকায় কল্পনাপ্রবণ শিশুমন অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানসিকভাবেও। এই সময় সংকট নিরসনে দেশে দেশে ক্ষমতাসীন সরকারগুলির যে তৎপরতা দরকার ছিল, তা সীমাবদ্ধ রয়েছে অনলাইন ক্লাস বা টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু শুকনো উপদেশ দানের মধ্যে।

বিশ্বের সমস্ত শিশুর ক্ষেত্রে কি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে? না। করোনাতে ধনী-গরিব বৈষম্য আরও বেড়েছে। সমাজের ১০ শতাংশ অতি ধনী পরিবারের শিশুরা প্রাচুর্যের মধ্যেই রয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ মধ্যবিত্ত-গরিব পরিবারের শিশুদের ভয়াবহ পরিস্থিতি পুঁজিবাদী এই সমাজের আর্থিক অসাম্যকে আরও প্রকট করে দিয়েছে।

 

(ডিজিটাল গণদাবী-৭৩ বর্ষ ৯ সংখ্যা_১৭ অক্টোবর, ২০২০)