বামপন্থী ও কমিউনিস্ট আন্দোলনে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মর্মবস্তুকে অবহেলা করা হয়েছে

জন্মশতবর্ষে কমরেড শিবদাস ঘোষের অমূল্য শিক্ষা

মনে রাখতে হবে, শুধু না খেয়ে হাত-পা ছুঁড়লেই বা বিক্ষোভের জন্য একটা ঘৃণা বা আক্রোশের দ্বারাই বিপ্লবের জন্ম হয় না। বিপ্লবের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য দরকার হয় এবং বিপ্লবের জন্য একটা নৈতিক বল দরকার হয়। এই সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং নৈতিক বল বিবর্জিত বিক্ষুব্ধ জনতার যত মারমুখী আন্দোলনই হোক না কেন, বারবার তা মুখ থুবড়ে পড়বেই। তাই সমস্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীদের এবং নেতাদের, তাঁরা যে মতেই বিশ্বাস করুন– যদি তাঁরা বিপ্লব চান, লড়াই চান, তা হলে তাঁদের রাজনীতির মধ্যেও নৈতিকতার প্রশ্নটিকে কোনও মতেই গৌণ করে ধরলে চলবে না। পুঁজিবাদ এবং বুর্জোয়ারা জাতির যে নৈতিক মেরুদণ্ডকে ভাঙতে চাইছে, আমাদের সেই নৈতিক মেরুদণ্ডকে খাড়া করতে হবে আমাদের নিজেদের ব্যবহার, আচার, রুচি, শালীনতার দ্বারা। একটা কথা আপনারা ভেবে দেখবেন। রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আমরা যদি সঙ্কীর্ণ দলীয় স্বার্থে মিথ্যা কথা বলাকে উৎসাহিত করি, চাটুকারদের নেতা করে তুলি, মোসাহেবকে নেতা বানাই, তা হলে অবস্থাটা কী দাঁড়ায়? দাঁড়ায় এই যে, নেতৃত্বের মান নেমে যায়। তারা নেতা হয় ঠিকই এবং লোকে তাদের বত্তৃতা শুনে নেতা বলে মনেও করে, কিন্তু তাদের চরিত্রের কোনও ভিত্তি নেই, নিজস্ব রাজনৈতিক কোনও একটা বিশ্বাস বা ভিত্তি নেই। তারা শুধু নিজেদের কেরিয়ার তৈরির জন্য যা দরকার তাই করে। আজ একে তোষামোদ করে, কাল তাকে তোষামোদ করে, অথবা কাপুরুষোচিত আক্রমণের প্রবণতা এবং মিথ্যা বলার ঝোঁককে প্রশ্রয় দেয়। দলের কোনও কর্মী যদি মিথ্যা বলেও অপরকে ঘায়েল করে দিয়ে আসতে পারে, তা হলে দলের নেতা এদের তারিফ করে। এসব জিনিস বামপন্থী আন্দোলনে প্রশ্রয় দিলে আন্দোলন ভিতর থেকে খেয়ে দেবে। মনে রাখতে হবে, বুর্জোয়ারা শুধু রাষ্ট্রশক্তির সাহায্যে বাইরে থেকে বিপ্লবী আন্দোলনকে আঘাত করে না, বুর্জোয়া সমাজের অপসংস্কৃতি, আচার-আচরণ, তার অবক্ষয়িত নীতি-নৈতিকতার ধারণা এই চোরাগলির পথে অভ্যাসের রূপে ভিতরে গিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনকে নষ্ট করে দেয়, নীতিভ্রষ্ট এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট করে দেয়। কাজেই এই জিনিসটির প্রতি আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।

এই প্রসঙ্গে যে বিষয়টা প্রশ্ন হিসাবে আপনাদের অনেকের মধ্যে দেখা দিয়েছে–অর্থাৎ আমাদের দেশের রেনেসাঁস আন্দোলন সমাজজীবনে বেশিদূর পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কেন, তা নিয়ে আমি খানিকটা আলোচনা করে যেতে চাই – যদিও এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা এখানে সম্ভব নয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় বহু মানুষের আত্মত্যাগ, অনেক আদর্শ চরিত্রের আবির্ভাব, ক্ষুদিরামের উদাহরণ ইত্যাদি আমাদের সামনে থাকা সত্ত্বেও এইসব জিনিসের প্রভাব আজ জনজীবনের উপর, সমাজের উপর তেমন প্রভাব বিস্তার করে নেই। সাময়িকভাবে খানিকটা দূর পর্যন্ত এইসব মনীষীদের কার্যকলাপ সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল, কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেনি। কেন? এর কারণ, আমাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের, মানবতাবাদী আন্দোলনের মূলধারার মধ্যেই ছিল প্রধান দুর্বলতা। ইউরোপের মানবতাবাদী আন্দোলন সেকুলার মানবতাবাদের ভিত্তিতে ধর্মের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম পরিচালনা করে গড়ে উঠেছিল বলে সেখানে যেমন জাতীয় চরিত্রের একটা সূদৃঢ় ভিত্তি গড়ে উঠেছিল, আমাদের দেশের মানবতাবাদী আন্দোলন তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মানবতাবাদী আন্দোলন ছিল ধর্মভিত্তিক, তা ধর্মের সঙ্গে আপস করেছে, ভাববাদের সঙ্গে আপস করেছে, জাতপাতের সঙ্গে আপস করেছে। ফলে, এদেশের বুর্জোয়াদের জাতীয় চরিত্র একটা সুদৃঢ় ভিত্তি নিয়ে গড়েই উঠতে পারেনি। এই কারণেই যুগ যুগ ধরে পুরনো ব্রাহ্মণ্য অনুশাসনে, জাতপাতের ধারণায় এবং কু-আচারে, কুসংস্কারে ধসে যাওয়া, কুঁকড়ে যাওয়া, বেঁকে যাওয়া জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে ফেলে একটা নতুন তেজে তাকে খাড়া করতে আমাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মানবতাবাদী আন্দোলন সক্ষম হয়নি। হয়নি বলে অর্ধপথে কিছু দূর কিছু মানুষকে তারা এগিয়ে দিয়েছিল। তারপরে বুর্জোয়ারা ক্ষমতা পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের দুর্বলতার জন্য, আমাদের রেনেসাঁসের ভাবধারা গভীরে আঁচড় কাটতে পারল না বলে পুরনো অর্থহীন, মেরুদণ্ডহীন যে বৈশিষ্ট্যগুলো জাতির জীবনে থেকেই গিয়েছিল, সেই দোষগুলিই সমাজের মধ্যে আজ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং বুর্জোয়ারাও তাকে সুকৌশলে কাজে লাগাচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা যারা সমাজবিপ্লব সংগঠিত করতে চাই, তারা যদি এগুলোর বিরুদ্ধে একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে না তুলি, বর্তমান সমাজবিপ্লবের পরিপূরক সংস্কৃতির সুরটা প্রতিদিনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে একই সঙ্গে না মেলাতে পারি এবং তার দ্বারা সমাজের এই অবক্ষয়িত ধারাকে যদি খানিকটা প্রতিহত না করতে পারি, তা হলে কি আমরা বিপ্লবের উপযুক্ত নৈতিক বল সমাজের মধ্যে সৃষ্টি করতে পারি? আর, তা যদি আমরা না পারি, তা হলে অর্থনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে দু-চার দিনের মারমুখী লড়াই হয়তো আমরা পরিচালনা করতে পারি, কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে একটা দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম– যেমনভাবে ভিয়েতনামের মানুষরা লড়ছে, যে ধরনের সংগ্রাম পুঁজিবাদী রাষ্ট্রকে উচ্ছেদ করতে হলে এখানে করা দরকার হবে– অর্থাৎ জনগণের রাজনৈতিক শক্তির অভ্যুত্থান বলতে আমরা যা বুঝি, তা আমরা গড়ে তুলতে পারি নাকি? শুধু স্লোগান দিয়ে তা গড়া যাবে না, হাজার বার মার্কসবাদের মন্ত্র জপলেও গড়া যাবে না।

সমস্ত আদর্শেরই মর্মবস্তু নিহিত থাকে তার সংস্কৃতিগত মানের মধ্যে

মনে রাখবেন, মার্কসবাদ-লেনিনবাদই হোক, আর যে কোনও আদর্শবাদই হোক, শুধু কতকগুলো কথার মধ্যে কোনও আদর্শের মর্মবস্তু নিহিত থাকে না। যে কোনও আদর্শের আসল পরিচয় বা মর্মবস্তু নিহিত থাকে তার সংস্কৃতিগত, নীতিগত এবং রুচিগত মানের মধ্যে। না হলে বই পড়ে বড় বড় রাজনীতির কথাগুলো যে কোনও ‘মিডিওকার’ পর্যন্ত আয়ত্ত করতে পারে এবং সেগুলো বলতে পারে। তাই মার্কস থেকে শুরু করে লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সে-তুঙ পর্যন্ত বা যাঁরাই হাতেকলমে বিপ্লব করেছেন, সকলেই একটা কথার উপর জোর দিয়েছেন, তা হচ্ছে, কোনও আদর্শ বড় হলেই তাকে বাস্তবে রূপায়িত করা যায় না, যদি সেই আদর্শকে রূপায়িত করবে যে মানুষগুলো তারা সেই আদর্শকে রূপায়িত করবার মতো বড় মানুষ এবং উন্নত চরিত্রের না হয়। তাই মার্কসবাদী আন্দোলনে ডি-ক্লাসড রেভোলিউশনারি বা প্রফেশনাল রেভোলিউশনারি গড়ে তোলবার প্রয়োজনীয়তার প্রতি তাঁরা এত গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই মাও সে-তুঙকে বলতে শুনি– কেউ মার্কসবাদ বুঝেছেন কি না এবং তত্ত্ব ও কর্মের সংযোজন ঠিকমতো করতে পেরেছেন কি না, তার প্রমাণ তিনি কত বই পড়েছেন বা কত বই লিখেছেন তাতে নেই বা তার প্রমাণ কত স্লোগান তিনি দিয়েছেন এবং কত জেল তিনি খেটেছেন তাতেও নেই। তার একমাত্র প্রমাণ হচ্ছে, তিনি উন্নত সংস্কৃতি এবং উন্নত নৈতিক বলের অধিকারী হয়েছেন কি না। ইয়েনানের স্কুলে পার্টির নেতা ও কর্মীদের কাছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই কথা বলেছেন। বলেছেন, কারওর মধ্যে মার্কসবাদের উপলব্ধি ঠিকমতো ঘটেছে কি না, তা বোঝবার এইটিই একমাত্র কষ্টিপাথর। অথচ আমাদের দেশের মার্কসবাদী আন্দোলনে এই কষ্টিপাথরটির উপরে আমরা একেবারে জোর দিই না। বামপন্থী আন্দোলন এবং কমিউনিস্ট আন্দোলন এ দেশে দীর্ঘদিন শুরু হওয়া সত্ত্বেও এমনভাবে তা যে বিপথগামী হল, তা যে বারবার নানা ধরনের সুবিধাবাদ, সংস্কারবাদ এবং শোধনবাদের খপ্পরে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পড়ছে, এক ধরনের শোধনবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে আর এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে, বা এক ধরনের বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে আর এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে, তার একটা প্রধান কারণ, মার্কসবাদ-লেনিনবাদের এই মর্মবস্তুর দিকটিকে এখানে অবহেলা করা হয়েছে।

এ দেশের অনেক তথাকথিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদীদের এমন কথাও বলতে শুনেছি যে, নীতিনৈতিকতা, আদর্শবাদ এগুলো সব নাকি বুর্জোয়াদের কুসংস্কার। তাদের বক্তব্য, মার্কসবাদী-লেনিনবাদী এবং দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নাকি নীতিনৈতিকতা, আদর্শবাদ বলে কোনও জিনিস নেই। আমি কিন্তু এমনভাবে মার্কসবাদ বুঝিনি। মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এমন বুঝলে আমি বহুদিন আগেই তা পরিত্যাগ করতাম। আমি বুঝেছি, মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হচ্ছে এ যুগের সবচেয়ে উন্নত মানের আদর্শবাদ। এর মধ্যেই রয়েছে এ যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নীতিনৈতিকতার ধারণা, এর চেয়ে বড় আদর্শবাদ নেই। বুর্জোয়া মানবতাবাদের সঙ্গে, ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে, বুর্জোয়া মানবতাবাদ বা ধর্মীয় মূল্যবোধে নীতিনৈতিকতার একটা শাশ্বত কাঠামো আছে– আর, মার্কসবাদ-লেনিনবাদে যে নীতিনৈতিকতার ধারণা, জীবনসংগ্রামের দ্বারা তার রূপ ক্রমাগত পাল্টায়। বাস্তব অবস্থা এবং মানুষের যথার্থ প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর নীতিনৈতিকতার ধারণা পাল্টাতে থাকে। মানুষের এই যে যথার্থ প্রয়োজন, এটা কারও ব্যক্তিগত প্রয়োজনবোধ নয়। পরিবর্তনের যেটা যথার্থ প্রয়োজন, তার দিকে লক্ষ রেখে এর নীতিনৈতিকতার ধারণাগুলোরও ক্রমাগত পরিবর্তন ঘটে। যেমন করে সমাজ পাল্টাচ্ছে, উৎপাদন ব্যবস্থা পাল্টাচ্ছে, মানুষের প্রয়োজনের উপলব্ধি বা প্রয়োজনবোধ পাল্টাচ্ছে, সংগ্রামের প্রক্রিয়া পাল্টাচ্ছে, শ্রেণিসংগ্রামের রূপ পাল্টাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে এক স্তর থেকে আর এক স্তর পর্যন্ত, তেমনি এর নীতিনৈতিকতার ধারণাও পাল্টাচ্ছে।

মার্কসবাদ-লেনিনবাদে নীতিনৈতিকতার ধারণা রয়েছে বৈকি এবং সেটা খুব উন্নত ধারণা, বুর্জোয়া মানবতাবাদের চেয়েও উন্নত ধারণা। তাই দেখবেন, মার্কস কমিউনিজমের কথা কেন বলেছেন, তা নিয়ে একদল তাঁকে একসময় প্রশ্ন করেছিলেন। কারণ, তাঁরা মনে করতেন, মানবতাবাদের চাইতে উন্নত আদর্শবাদ কিছু নেই। মার্কস তার উত্তরে তাঁদের বলেছিলেন, তাঁরা যে মানবতাবাদের কথা বলছেন, তা আসলে বুর্জোয়া মানবতাবাদ। আর, তিনি যে কমিউনিজমের কথা বলছেন, তাও মানবতাবাদই। কিন্তু কমিউনিজম হচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে মুক্ত মানবতাবাদ। এই ব্যক্তিগত সম্পত্তি কথাটা শুধু বস্তুগত অর্থে তিনি বোঝাতে চাননি। অর্থাৎ বাড়ি-ঘর, টাকা-পয়সা, আরাম-আয়েস, স্ত্রী-পুত্র-পরিবার, এই যে ব্যক্তিগত সম্পত্তির আধার, এটাকেই তিনি শুধু বোঝাননি। যারা তাঁর কথা ঠিকভাবে বুঝেছে, তারা জানে যে, তিনি এর দ্বারা এতদূর পর্যন্ত বলতে চেয়েছেন যে, এই ব্যক্তিগত সম্পত্তি যখন চলে যাবে বা কেউ ছেড়ে দেবে, তখনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে গড়ে ওঠা যে মানসিক ধাঁচা থেকে যাবে– অর্থাৎ ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা বা প্রফেশনাল ইগোসেনট্রিসিজম-এর মধ্যে যার রূপ আমরা দেখতে পাই, তার থেকেও নিজেকে মুক্ত করতে পারে যে মানবতাবাদ, সেই মানবতাবাদ হচ্ছে কমিউনিজম। তা হলে ভারতবর্ষে এই সমস্ত তথাকথিত কমিউনিস্ট পার্টির যাঁরা নেতা, তাঁরা নিজেরা আগে কমিউনিস্ট হলে এবং এই কমিউনিস্ট নীতিনৈতিকতার অধিকারী হলে তবে তো অপরকে নেতৃত্ব দেবেন। তা এই সমস্ত তথাকথিত কমিউনিস্ট নেতাদের অনেকেই বস্তুগত অর্থেও ব্যক্তিগত সম্পত্তি যেখানে আজও ছাড়তে পারেননি, সেখানে তাঁরা ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে উদ্ভুত মানসিক ধাঁচা থেকে নিজেদের মুক্ত করবেন কী করে? বিষয়টা এত সোজা নয়।

(‘বর্তমান পরিস্থিতি এবং গণআন্দোলনে প্রধান বিপদ’ শিবদাস ঘোষ নির্বাচিত রচনাবলি, চতুর্থ খণ্ড)