Breaking News

ত্রাণের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা জুড়ে এসডিও অভিযান

২৭ মে আমপান পরবর্তী ত্রাণ এবং কৃষি ও কৃষিজীবীদের সুরক্ষা সম্পর্কিত ১২ দফা দাবি নিয়ে এস ইউ সি আই (সি) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির উদ্যোগে বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার ও কাকদ্বীপ এসডিও অফিসে গণবিক্ষোভ ও ডেপুটেশন হয়। বারুইপুর রেল ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল এসডিও দপ্তরে পৌঁছায় ও দাবি সনদ সহ স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এসডিও-র তরফে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষাৎ করেন। তিনি দাবিগুলির সঙ্গে একমত হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন বিধায়ক কমরেডস তরুণকান্তি নস্কর ও জয়কৃষ্ণ হালদার এবং সুবীর দাস, আনসার সেখ ও গৌর মিস্ত্রী। ক্যানিং-এ ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড বাদল সরদার ও জেলা কমিটির সদস্য কমরেড ইয়াহিয়া আখন্দ। কাকদ্বীপে নেতৃত্বে ছিলেন কমরেডস প্রতিভা মিশ্র, অমিয় শাসমল, রামচন্দ্র সাহু, সুজিত পাত্র প্রমুখ এবং ডায়মন্ডহারবারে নেতৃত্বে ছিলেন কমরেডস রেনুপদ হালদার, গুণসিন্ধু হালদার, বিশ্বনাথ সরদার, শ্যামল প্রামাণিক, বিজন হাজরা, জ্ঞানতোষ প্রামাণিক ও মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। বারুইপুরের মিছিলে এবং ক্যানিংয়ের বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল।

দাবিগুলি হল, ১। ভয়াবহ আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নিতে হবে, ২। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি-দলবাজি বন্ধ করতে হবে। পঞ্চায়েত সহ প্রশাসনের সর্বস্তরে সর্বদলীয় কমিটি গঠন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও ত্রাণ বণ্টন করতে হবে, ৩। আমপানকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করতে হবে, ৪। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ ও জলের পরিষেবা চালু করতে হবে, ৫। অবিলম্বে ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধগুলি মেরামত ও আসন্ন বর্ষার আগেই দুর্বল বাঁধগুলি সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলি মেরামতি করতে হবে, ৬। নোনা জল সরিয়ে দ্রুত প্লাবিত জমিগুলি চাষযোগ্য করতে হবে, ৭। ভয়াবহ আমপান ঝড়ে দূষিত পুকুরের জলকে দূষণমুক্ত এবং এলাকায় ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম পাঠিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, ৮। মৃত ও আহত পরিবারগুলির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, ৯। পান সহ কৃষিজাত ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উপযুক্ত অনুদান দিতে হবে, ১০। অ্যাসবেস্টস সহ ঘর সংস্কারের সরঞ্জামে কালোবাজারি ও মূল্যবৃদ্ধি রুখতে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে, ১১। আম, সবেদা, কাঁঠাল, লিচু, কলা,পেয়ারা প্রভৃতি চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ১২। আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহ নির্মাণে আর্থিক অনুদান দিতে হবে।