জয়নগর থানায় গণবিক্ষোভ

জয়নগরে মিথ্যা অভিযোগে যুবকর্মীকে গ্রেপ্তার করে লকআপে অত্যাচার

থানায় গণবিক্ষোভ

২১ফেব্রুয়ারি রাজাপুর-করাবেগ অঞ্চলে এসইউসিআই (সি) দলের যুবকর্মী গোপাল মালিকে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১৪ দিন থানায় আটক করে নৃশংস অত্যাচার করে। প্রায় ২০ দিন আগে তার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে এক অপরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া যায়, যাকে এলাকার লোক চেনে না, পুলিশও শনাক্ত করতে পারেনি। একজন বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যের লিখিত বয়ান যাতে কোনও ব্যক্তির নামে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ নেই তাকে ভিত্তি করে পুলিশ কমরেড গোপাল মালিকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দেয়। লকআপে দিনের পর দিন অত্যাচার চালানো হয়। আই সি নিজে এবং থানার আর একজন অফিসার এই অত্যাচার চালায়। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য বন্দিকে অত্যাচারের কোনও অধিকার পুলিশের নেই এবং তা বেআইনি হলেও পুলিশ তা করে।

কমরেড গোপাল মালি দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ও ডিওয়াইও-র জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, দুর্নীতির প্রতিবাদ, মদ-জুয়া-সাট্টা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকেন তিনি। এর ফলে শাসক দলগুলির ও কায়েমি স্বার্থের কাছে তিনি চক্ষুশূল। তাই তারা পুলিশকে দিয়ে তাঁর উপর এই নগ্ন আক্রমণ নামিয়ে এনেছে এবং সুবিধা ও প্রমোশনলোভী পুলিশও শাসক দলগুলির চাটুকার বৃত্তি করতে গিয়ে এই চক্রান্তে সামিল হয়েছে। ৮ মার্চ দলের জেলা দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি এই অভিযোগ করেন কমরেড তরুণ নস্কর, অজয় সাহা প্রমুখ জেলা নেতৃবৃন্দ। এই পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি এসইউসিআই (সি) ইতিমধ্যে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিতভাবে এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিককে জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ৭ মার্চ মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস আইসি-র এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থানায় ডেপুটেশন দেয়। ১০ মার্চ বেলা ১টায় জয়নগর থানায় দলের নেতৃত্বে গণবিক্ষোভ হয় (ছবি) ।

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ৩২ সংখ্যা)