হাসপাতালে ২৮৩ রকম ওষুধ বন্ধ করল তৃণমূল সরকার

সম্প্রতি রাজ্য সরকার যেভাবে হাসপাতালে ওষুধের তালিকায় ছাঁটাই করেছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জনিয়ে এস ইউ সি আই (সি) রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ১৬ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে বলেছেন, ‘‘সম্প্রতি এক নির্দেশনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর মহকুমা ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করে দিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় যেখানে ৬৪৪টি ওষুধ সরবরাহ করা হত সেখানে এখন থেকে তা কমিয়ে ৩৬১ করা হয়েছে। এই তালিকা থেকে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একাধিক ওষুধ এবং একই ওষুধের বিভিন্ন মাত্রা লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

২০২১-এর নভেম্বরে তৃণমূল সরকার এক প্রস্থ ওষুধ ছাঁটাই করেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে একইভাবে সরবরাহ করা ওষুধের তালিকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে ওষুধের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তু হবে এবং শহরের রেফারেল হাসপাতালগুলিতে আরও চাপ বাড়বে।

ক্ষোভের সাথে কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলির চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী সহ বেড, ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার অপ্রতুলতায় মুমূর্ষু রোগী এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতলে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়, না হলে বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মারা যায়। এমতাবস্থায় মহকুমা স্তর থেকে সাব-সেন্টার পর্যন্ত জীবনদায়ী সহ সমস্ত আবশ্যকীয় ওষুধ কমানোর সরকারি নির্দেশ চূড়ান্ত জনবিরোধী। অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। প্রসঙ্গত পূর্বতন সিপিএম সরকারও ১৯৯৯ সাল থেকে একাধিকবার হাসপাতালে ওষুধ ছাঁটাই করেছিল। যার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল এসইউসিআই (সি)।

গণদাবী ৭৪ বর্ষ ২৩ সংখ্যা ২১ জানুয়ারি ২০২২