স্বীকৃতির দাবিতে গ্রামীণ চিকিৎসকরা পথে

নন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের সরকারিভাবে নাম নথিভুক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে স্বীকৃতি এবং সরকারি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবিতে ৭ মার্চ প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (পিএমপিএআই)–এর আহ্বানে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট গণ ডেপুটেশনের কর্মসূচি পালিত  হয়৷ ’৮০–র দশক থেকে রাজ্যের নন–রেজিস্টার্ড চিকিৎসকরা ধারাবাহিক আন্দোলন করে চলেছেন৷ সংগঠনের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা এবং পূর্বতন সাংসদ ডাঃ তরুণ মণ্ডল পার্লামেন্টের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য থাকাকালীন ১৮–৮–২০১১ তারিখে এমসিআই আইনের সংশোধনী প্রস্তাব রেখে এই গ্রামীণ চিকিৎসকদের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় নাম নথিভুক্ত করার দাবি রাখেন৷

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতবর্ষের ৪০ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নন–রেজিস্টার্ড চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন, প্রকৃত সংখ্যা এর অনেক বেশি৷ ধারাবাহিক আন্দোলনের চাপে বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর একটি সার্কুলারে, নং (344-HF/o/PHP/2T-03/2015) তাঁদের নাম নথিভুক্তিকরণ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলেও গত দুই বছরে সামান্য কিছু নাম নথিভুক্তিকরণ এবং কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন প্রশিক্ষণ হলেও তা গ্রামীণ চিকিৎসকদের প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য৷

এমতাবস্থায় রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে প্রায় তিন হাজার গ্রামীণ চিকিৎসক ওই দিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হন৷ সেখান থেকে ট্যাবলো সহকারে এক সুসজ্জিত মিছিল ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে যায়৷ সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁদের দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ডাঃ তরুণ মণ্ডল, ডাঃ বিশ্বনাথ পাড়িয়া, হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ অশোক সামন্ত, মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি, সভাপতি যুগল পাখিরা প্রমুখ৷

পরে এক প্রতিনিধি দল নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁদের দাবিসনদ পেশ করেন এবং অপর এক প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যভবনে ডেপুটি হেল্থ সেক্রেটারি এবং ন্যাশনাল হেল্থ মিশনের ডাইরেক্টরের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন এবং গ্রামীণ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন৷