সিবিসিএস–সেমেস্টার জটিলতার দায় ছাত্রদের উপর চাপানো চলবে না

কলেজে কলেজে সিবিসিএস–সেমেস্টার পদ্ধতির জটিলতার জন্য উদ্ভূত হাজিরা সমস্যা সম্পর্কে অল ইন্ডিয়া ডিএসও–র রাজ্য সম্পাদক কমরেড সৌরভ ঘোষ ৩ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন,

‘সিবিসিএস পদ্ধতির অঙ্গ সেমেস্টার সিস্টেমে ৬ মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাস করানো, প্রশ্নপত্র তৈরি করা, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা, প্রজেক্ট ওয়ার্ক, টিডটোরিয়াল ক্লাসের মতো সমস্ত কিছু সময়ের মধ্যে করে উঠতেই শিক্ষকেরা হিমসিম খাচ্ছেন৷ এমনিতেই অসংখ্য শিক্ষকপদ শূন্য৷ স্থায়ী শিক্ষক পদ না থাকার সমস্যা তো আছেই৷ ফলে জ্ঞান চর্চার লক্ষ্যে প্রকৃত পড়াশুনাটাই শেষ হতে বসেছে৷ পাশাপাশি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বিরাট সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকেই পড়াশুনার সঙ্গে অন্য কাজেও নিযুক্ত থাকতে হয়৷ তাদের পক্ষে বাধ্যতামূলক ৬০ শতাংশ হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয় না৷

নিয়মিত ক্লাস করা, পঠনপাঠনে দায়িত্বশীল হওয়া ছাত্রদের কর্তব্য৷ কিন্তু সিবিসিএস–এর নিয়মে কলেজে হাজিরার অযৌক্তিক কড়াকড়িতে রাজ্যের বহু কলেজের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী বিপাকে পড়েছেন৷ এই পদ্ধতির ফলে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাতে ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাপিয়াসী দলের ছাত্র সংগঠনগুলি শিক্ষানীতির মূল সমস্যা সমাধানের দাবিতে টুঁ শব্দটিও না করে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও শিক্ষাবিরোধী দাবি উত্থাপন করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে, যা নিন্দনীয়৷ উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানে সরকার ও কর্তৃপক্ষকেই ইতিবাচক উদ্যোগ নিতে হবে৷ সিবিসিএস–সেমেস্টার বাতিলের দাবিতে সকলকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷’

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ১৭ সংখ্যা)