শিলিগুড়িতে ছাত্রীর নৃশংস খুন জেলা জুড়ে তীব্র বিক্ষোভ

এ রাজ্যে মহিলাদের, এমনকি নাবালিকাদেরও নিরাপত্তা বলতে যে কিছু নেই, তা আবারও প্রকাশ্যে এল শিলিগুড়ির নৃশংস ঘটনায়।

৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির অমিয় পালচৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। নাবালিকার মা থানায় অপহরণের অভিযোগ জানালেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে। এর ৯ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর সুকনা ফরেস্টের কাছে স্কুল ড্রেস পরা ওই ছাত্রীর পচা-গলা বিকৃত দেহ পাওয়া যায়। এই নৃশংস ঘটনায় স্থানীয় মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধাননগর থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। ওই দিন দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এসইউসিআই(সি) লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে কোর্ট মোড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তারপরেও পুলিশের পক্ষ থেকে গড়িমসি চলতে থাকে। এরপর মহকুমা শাসককে ডেপুটেশন দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, পুলিশ সক্রিয় হলে ওই নাবালিকাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারত।

ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি টহল এবং এমন ঘৃণ্য অপরাধ যাতে আর না ঘটে সেই দাবিতে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকার জনসাধারণ সাহুডাঙ্গিতে শেষকৃত্যের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকানপাট বন্ধ রাখেন।

ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও সুশ্রুতনগরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ধিক্কার জানিয়ে এবং সমস্ত মহিলার নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে ২০ ডিসেম্বর নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ শিলিগুড়ির মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি দেয়। জেলা জুড়ে এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

এসইউসিআই(সি) রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।