লজ্জিত চিকিৎসক (পাঠকের মতামত)

আইএমএ কলকাতা শাখার নির্বাচন ঘিরে বিগত ১৫-২০ দিন ধরে যা তরজা চলল, তাতে একে নির্বাচন না বলে প্রহসন বলাই ভালো। সকলেই বলছে, ডাক্তার সমাজের এই ভোট পৌরসভা-পঞ্চায়েত ভোটকেও হার মানায়। এই নির্বাচনের ভোট প্রচারে একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে বলা হয়েছে–ধর্ষক, অপর পদপ্রার্থীকে বলা হয়েছে কুকুরের ডায়ালিসিসের হোতা, টসিলিযুমার চোর। কোনও সুস্থ প্রচার, ডাক্তারদের গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য এরা কেউ রাখলেন না। শুধু কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলল, যা আদ্যোপান্ত নোংরামি।

আসলে এটা তৃণমূলের দুই যুযুধান গোষ্ঠীর লড়াই। এটা পশ্চিমবঙ্গের আপামর ডাক্তার সমাজের প্রতিনিধিত্ব বা চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন নয়।

পরাধীন ভারতে আইএমএ-এর শুরুর দিনগুলোতে কিছুটা প্রগতিশীল ভূমিকা ছিল, যদিও ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরেই তারা কাজ করত। কিন্তু স্বাধীনোত্তর ভারতে আইএমএ (হেডকোয়ার্টার) কেন্দ্রীয় সরকারের তোষামোদ করেছে, তেমনি রাজ্যভিত্তিক আইএমএ বডিগুলো নিজ নিজ রাজ্য সরকারের তোষামোদে ব্যস্ত। তাই আইএমএ সর্বভারতীয় সংগঠন হলেও আপামর ডাক্তার সমাজের চিন্তাভাবনা বা দাবি-দাওয়া তুলে ধরার মঞ্চ হিসেবে গড়ে ওঠেনি।

তাই সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে অনুরোধ এই আইএমএ, কলকাতা শাখার এই নির্বাচনকে ডাক্তার সমাজের নীচতা বা পঙ্কিলতা হিসাবে না ধরে দক্ষিণপন্থী তৃণমূল রাজনীতির গোষ্ঠীকোন্দলের অংশ হিসাবেই গ্রহণ করবেন।

ডাঃ কবিউল হক

কলকাতা