রেশন-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা-করোনা পরীক্ষার দাবিতে ৩০ এপ্রিল সারা বাংলা দাবি দিবসে সামিল হলেন হাজার হাজার মানুষ

প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের নেতৃত্বে কুলতলির বি়ডিওকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

সকলের জন্য রেশন, ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষার দাবিতে

৩০ এপ্রিল সারা বাংলা দাবি দিবসে সামিল হলেন হাজার হাজার মানুষ

এস ইউ সি আই (সি)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির আহ্বানে ৩০ এপ্রিল দাবি দিবসে সাড়া দিয়ে লকডাউনের মধ্যেই সোস্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁরা দাবি সম্বলিত পোস্টার লিখে তার ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন।

৩০ এপ্রিল এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির আহবানে ‘দাবি দিবসে’ দাবি সম্বলিত পোস্টার তুলে ধরেছেন দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও কলকাতা জেলা সম্পাদক সুব্রত গৌড়ী।

রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও দফতর, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর, কর্পোরেশনের বরো চেয়ারম্যান, মেয়র সহ প্রশাসনিক দফতরগুলিতে প্রতিনিধি ডেপুটেশনের মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে ১৪ দফা দাবি পেশ করা হয়।

রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য জানান, রেড ও কনটেনমেন্ট জোনে অনলাইনে দাবি সনদ পাঠিয়ে ফোনে কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মূল দাবি ছিল, কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট, পিপিই সহ রেশনে প্রতিশ্রুত খাদ্যবস্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে পাঠাতে হবে। শ্রমিকদের কাজের সময় ৮ থেকে ১২ ঘন্টায় বৃদ্ধি করা চলবে না।

বিধাননগরের ৩ বরো অফিস

রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে, চাষিদের ফসলের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, বাড়িতে নয় হাসপাতালেই সংক্রামিত কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, ইত্যাদি। দাবি করা হয়, উৎসবের সময় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে যেমন চিনি সহ অতিরিক্ত রেশন দেওয়া হয়, সেভাবেই দীর্ঘ লকডাউনের কথা বিবেচনা করে রমজান মাসেও তার বরাদ্দ করতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছেও স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

দমদম পুরসভা

কলকাতা : ৩০ এপ্রিল ১১ দফা দাবিতে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরো কমিটির চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুরসভার মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র-ইন কাউন্সিল (স্বাস্থ্য)-র কাছে অনলাইনে ডেপুটেশন দেওয়া হয়, মেয়র ও ডেপুটি মেয়রকে সরাসরিও ইমেলে স্মারকলিপি পাঠানো হয়। হটস্পট ও কনটেনমেন্ট এলাকায় অনলাইনে ডেপুটেশন দেওয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি বরো অফিসে দলের কর্মীরা সরাসরি গিয়ে ডেপুটেশন দেন। একইভাবে কলকাতা সংলগ্ন বরানগর, বিধাননগর, দমদম, রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার এবং বজবজ ১ ও ২ নম্বর ব্লকে ডেপুটেশন দিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সারা রাজ্যের মতো কলকাতাতেও দলের কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষ দাবি দিবসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দাব তুলে ধরেন।

তেহট্ট

 নদীয়া : জেলায় অন্যান্য দাবির সাথে চাষিদের সবজি পরিবহণের ব্যবস্থা সরকারকে নেওয়ার দাবি তোলা হয়। জেলাশাসক দফতর সহ করিমপুর-১, তেহট্ট-১ এবং ২, নাকাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, চাপড়া, কৃষ্ণনগর-১, হাঁসখালি, রানাঘাট-১ এবং ২, ও শান্তিপুর ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তেহট্ট মহকুমা অফিস ও রানাঘাট মহকুমা অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। করিমপুর দু’নম্বর ব্লকে বিডিওর দেওয়া সময়মতোই কর্মীরা ডেপুটেশন দিতে গেলে তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন এবং ডেপুটেশন গ্রহণ করেননি।

দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের কাছে অনলাইনে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সহজ ও সরলভাবে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্প পুনরায় চালু করা, লকডাউনের সময় শ্রমিক ছাঁটাই না করা ও বন্ধ কল-কারখানাগুলির শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকাদের বেতন নিয়মিত দেওয়া, রেশনের মাধ্যমে খাদ্যশস্য ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা ও রেশন নিয়ে দলবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ সহ ১১ দফা দাবিতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মী-সমর্থকরা পোস্টার সম্বলিত দাবিপত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করেন।

বাঁকুড়া : লকডাউন জনিত সংকটময় পরিস্থিতি ছাড়াও কালবৈশাখীর তাণ্ডব, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতিতে জেলার কৃষক সহ সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ সহ নানা দাবিতে জেলার বাঁকুড়া, শালতোড়া, ছাতনা, বড়জোড়া, সোনামুখী প্রভৃতি ১৫টি ব্লকে বিডিওতে ডেপুটেশন দিয়ে আধিকারিকদের কাছে দাবিগুলি তুলে ধরা হয়।

জলপাইগুড়ি ডি এম ডেপুটেশন