রামপুরহাটে গণহত্যার প্রতিবাদে কলকাতা ও সিউড়িতে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৩৯

রামপূরহাটে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিক কালে পরপর রাজনৈতিক কর্মী হত্যার প্রতিবাদে ২৩ মার্চ দুপুর দেড়টায় এস ইউ সি আই (সি)-র শতাধিক কর্মী রাজ্য বিধানসভার উত্তর গেটে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। যেভাবে পুলিশের পরিকল্পিত নিষ্ক্রিয়তায় এই হত্যার ঘটনাগুলি ঘটল তার প্রতিবাদ করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করা হয়। পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও টেনে হিঁচড়ে গ্রেপ্তার করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক সুব্রত গৌড়ী, যুব সংগঠন এআইডিওয়াইও-র রাজ্য সম্পাদক মলয় পাল ও ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র রাজ্য সভাপতি শামসুল আলম সহ ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এঁদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা।

২৩ মার্চ এস ইউ সি আই সি-র নেতৃত্বে এক মিছিল সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ জোর করে বিক্ষোভ ভাঙতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ সময় সেখানেই অবস্থান করেন। পরে পুলিশ জোর করে কর্মীদের সরিয়ে দেয়। জেলা সম্পাদক কমরেড মদন ঘটকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল বগটুই গ্রামে যান এবং মৃতদের আত্মীয়-পরিজনদের সাথে কথা বলেন। তাঁরা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

দলের রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ২৩ মার্চ এক বিবৃতিতে পরদিন ২৪ মার্চ সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালনের় আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ওইদিন রাজ্যের সমস্ত স্থানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি পালন করা হবে।