মেদিনীপুরে বস্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে অবস্থান

মেদিনীপুর শহরের নিবেদিতা পল্লীর গ্লোবাল মার্কেট সংলগ্ন কিছু পরিবারকে হঠাৎ করেই উচ্ছেদ করতে চলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা৷ এর প্রতিবাদে পরিবারগুলির সদস্যরা পৌরসভার সামনে ২৬ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন৷ তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে এমনকী কেউ কেউ ওই জায়গায় ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন৷ তাঁরা পৌরসভার ট্যাক্স দেন এবং পৌরসভা এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে হোল্ডিং নম্বরও দিয়েছে৷ গত বছর ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে পৌরসভা তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে দেয়৷ বিগত এক বছর ধরে তাঁরা সেখানে চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে ত্রিপল টাঙিয়েই কষ্টের মধ্যে বসবাস করছেন৷ পৌরসভার চেয়ারম্যান বারবার তাঁদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও ২৬ ডিসেম্বর হঠাৎ মাইকে ঘোষণা করা হয় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জায়গা না ছাড়লে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে সমস্ত বাড়িঘর৷ অসহায় বস্তিবাসী মায়েরাও দুধের শিশু কোলে পৌরসভা অফিসে ছুটে আসেন৷ শুরু থেকেই এই অসহায়দের পাশে দাঁড়ান সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ সম্পাদিকা ভবানী চক্রবর্তী৷ দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চললেও চেয়ারম্যান এমনকী কোনও আধিকারিক দেখা করেননি বলে অভিযোগ করেন শিখা কর্মকার, বিউটি বেগম, কাজল কূইতি, সরস্বতী দাসরা৷ দাবি ওঠে, পুনর্বাসন না দিয়ে কোনও ক্রমেই উচ্ছেদ করা চলবে না৷ যতক্ষণ পর্যন্ত চেয়ারম্যান দেখা  না করে  পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলেও তাঁরা জানান৷ ইতিমধ্যে দফায় দফায় পৌরসভা ও জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ ডেপুটেশন হলেও কোনও ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন৷ নেতৃবৃন্দ বলেন, শাসক দলের নেতারা নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য যেখানে সেখানে বস্তি গড়ে তুলছে আর প্রয়োজন ফুরালেই উচ্ছিষ্টের মতো ফেলে দিচ্ছে এই অসহায়দের৷