ভাষার বাধা পেরিয়ে আদর্শগত ঐক্যের সুর

 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চ যেন মিনি ভারতবর্ষ

১৭ নভেম্বর মহা সমাবেশের পর ১৮ নভেম্বর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচি৷ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের মাঠে খোলা আকাশে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছে থাকলেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি বাধ্য করেছিল মাঠের উপর ত্রিপলের ছাউনি দিতে৷

৪০ ফুট মঞ্চের সামনে সকাল ১১টাতেই সহস্রাধিক দর্শক৷ বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গীত, নৃত্য, নাটক, মূকাভিনয় মঞ্চস্থ হবে জেনে প্রবল আগ্রহ দর্শকদের মধ্যে৷ বিভিন্ন ভাষায় এই সব অনুষ্ঠান কেমন হবে, তা জানার উৎসাহের সাথে উৎকণ্ঠাও ছিল৷ বেলা ১১ টায় শুরু হয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা অনুষ্ঠান শেষে এক অপূর্ব তৃপ্তির চিহ্ণ সকলের চোখে মুখে৷ দর্শক সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে, ছাউনি দেওয়া জায়গা ছাপিয়ে ভিড় ছড়িয়েছে, ক্রমে তা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছায়৷ পূর্বের সিকিম থেকে উত্তরের উত্তরাখণ্ড, আসাম, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও সর্বোপরি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের চারণ সঙ্গীত গোষ্ঠী৷ এভাবে বহু ভাষা ও বর্ণে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পরিণত হয়েছিল যেন এক মিনি ভারতবর্ষে৷

সর্বশেষে মঞ্চস্থ হল ‘ইমন’ গোষ্ঠীর মূকাভিনয় মহান নভেম্বর বিপ্লব৷ ৪০ জন অভিনেতার মূকাভিনয়ে যেভাবে নভেম্বর বিপ্লবের মূল ইতিহাস তুলে ধরা হল, তা দেখে করতালিতে ফেটে পড়ল অনুষ্ঠান স্থান৷ একের পর এক অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ ঘন্টা  সময় কীভাবে যে শেষ হয়ে গেল তা ভেবেই দর্শকরা বিস্মিত৷ ভাষা ভিন্ন, কিন্তু আদর্শ ও চিন্তা একটাই, এখানেই আছে মূল ঐক্য৷