ব্রিটেনের কৃষকরা দাঁড়ালেন ভারতের কৃষক আন্দোলনের পাশে

‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’, শ্রমিক আন্দোলনের একটি সর্বজনগ্রাহ্য স্লোগান। এবার স্লোগান উঠছে দুনিয়ার কৃষক এক হও। উঠবেই। কারণ, বিশ্বজুড়েই কৃষিতে নেমে আসছে দেশি-বিদেশি বহুজাতিক পুঁজির আক্রমণ। তার বিরুদ্ধে লড়াইও তাই আন্তর্জাতিক চরিত্র নেবে। এক দেশের শোষিত মানুষ আরেক দেশের শোষিত মানুষের সংগ্রামের পাশে দাঁড়াবে। একেই বলে শোষিত শ্রেণির সহমর্মিতা।

দিল্লিতে কৃষকমারা ও কর্পোরেটমুখী তিনটি কালা কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল-২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তার প্রতি সংহতি জানিয়ে আন্দোলনে নামলেন ব্রিটেনের কৃষকরা। হাতে কোদাল-কাস্তে-বেলচা ও অন্যান্য কৃষি-উপকরণ নিয়ে তাঁরা খেতের মধ্যে নেমে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দেশের নানা প্রান্তে।

প্রবল শীতে, নানা রোগে এবং পুলিশের আক্রমণে দিল্লিতে ইতিমধ্যেই দেড় শতাধিক কৃষক শহিদের মৃত্যু বরণ করেছেন। কৃষকদের অনমনীয় দৃঢ়তার কাছে হার মেনেছে সরকারের সমস্ত ঘৃণ্য কারসাজি, প্রতারণা। বিজেপি সরকারের ন্যক্কারজনক আচরণে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন ব্রিটেনে আন্দোলনরত কৃষকরা।

এ দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা ব্রিটেনের কৃষকরাও কৃষিতে কর্পোরেট মালিকের চরম শোষণে বিপদগ্রস্ত হাজার হাজার কৃষকের দিল্লিতে ট্রাক্টর প্যারেড দেখে প্রবল উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। সোশাল মিডিয়াতে আন্দোলনের ছবি পোস্ট করে তাঁরা এই আন্দোলনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছেন। ব্রিটেনে হাজারেরও বেশি ক্ষুদ্র এবং মধ্যচাষি ও খেতমজুর এই আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে তিনটি কৃষি আইনের ক্ষতিকর দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। উভয় সরকারই যাতে ক্ষুদ্র চাষিদের কথা ভুলে গিয়ে কর্পোরেট মালিকদের হাতে কৃষিকে পুরোপুরি ছেড়ে না দেয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

(সূত্র : স্ক্রোল.ইন, ২৬ জানুয়ারি, ‘২১)