বৃত্তি পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র–ছাত্রীদের কেন্দ্রীয় সংবর্ধনা

২৪ মার্চ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরোজিও হলে ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ আয়োজিত চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সফল ছাত্র–ছাত্রীদের সম্বর্ধনা এবং বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল কুমার মুখোপাধ্যায়৷ এছাড়া বক্তব্য রাখেন বোর্ডের কর্মকর্তা অধ্যাপিকা মীরাতুন নাহার, বিশিষ্ট আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক প্রদীপ দত্ত, অজিত হোড়, অধ্যাপক তরুণ কান্তি নস্কর, পর্ষদ সম্পাদক রতন লস্কর এবং কোষাধ্যক্ষ তপন সামন্ত প্রমুখ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বিশ্বপতি মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ রতিকান্ত ত্রিপাঠী৷

এবছর প্রথম হয়েছে কলকাতার এ ডি ব্লক প্রাইমারি স্কুলের সাবর্ণ গুচ্ছাইত৷ সাবর্ণ পেয়েছে সুশীল মুখার্জী স্মৃতি পদক,  স্বর্ণ পদক, ১২০০ টাকার বৃত্তি এবং অভিধান৷ ২য় স্থানাধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের বারবাহারপোতা পল্লীপ্রাণ প্রাইমারি স্কুলের অনুস্মিতা খান পেয়েছে রৌপ্য পদক, ১২০০ টাকার বৃত্তি এবং অভিধান৷ এবছর মোট ৮২ জন পডুয়াকে ১২০০ টাকার রাজ্য বৃত্তি এবং ৭১৫ জনকে ৬০০ টাকার জেলা বৃত্তি প্রদান করা হয়৷

সুরঞ্জনবাবু তাঁর বক্তৃতায় আজকের দিনে শিক্ষার মানোয়ন্নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার সাফল্য কামনা করেন৷ পার্থসারথিবাবু শিশুদের কেবল ভাল ফল করা নয়, ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান৷ অমলবাবু তাঁর বক্তব্যে পূর্ববর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে যে বৃত্তি পরীক্ষা ও পাশ ফেল তুলে দেওয়া হয়েছে তার সমালোচনা করেন৷ কিন্তু পরিবর্তিত সরকার এখনও কেন পাশ ফেল চালু করতে পারল না তাতে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন৷ অন্য সকল বক্তা অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা ও পাশ ফেল চালুর দাবি জানান৷

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা)