বিষমদে মৃত্যুঃ সমস্ত মদের ঠেক বন্ধের দাবি

হাওড়ার গজানন বস্তিতে ১৮ জুলাই বিষমদের প্রকোপে একে একে ২৫ জন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকে। প্রতিবাদে এস ইউ সি আই (সি)-র হাওড়া জেলা কমিটির নেতৃত্বে এলাকার মানুষ ২১ জুলাই মালিপাঁচঘড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান, ওসি-কে ডেপুটেশন দেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এলাকার মানুষের আপত্তি সত্ত্বেও রেললাইনের ধারে পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনেই দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি দেশি মদের ঠেক চলছে। ঠেকগুলি বন্ধের কোনও ব্যবস্থা হয়নি। পরিণতিতে গরিব শ্রমজীবী পরিবারের এতগুলি মানুষের প্রাণ গেল। উপযুক্ত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ ও অসুস্থদের সরকারি খরচে চিকিৎসা এবং অবিলম্বে সমস্ত মদের ঠেক বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।

এআইডিওয়াইও-র প্রতিবাদঃ এআইডিওয়াইও-র রাজ্য সম্পাদক মলয় পাল ২০ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এআইডিওয়াইও মদ নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন করে চলেছে। কিন্তু সরকার নিষিদ্ধ করা দূরে থাক, ‘দুয়ারে মদ’ প্রকল্প চালু করে মদের ব্যাপক প্রসার ঘটাচ্ছে। হাওড়ার ঘটনা এরই পরিণাম। মদ নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন তীব্র করার আহ্বান জানান তিনি।

সিপিডিআরএস-এর বিক্ষোভঃ মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস-এর পক্ষ থেকে ২৩ জুলাই স্থানীয় থানায় ডেপুটেশন দিয়ে নিরাপদে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সদস্যরা বিষমদে মৃত ও অসুস্থদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন।