বিশ্বে ২০০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত, খাদ্য ব্যবসায় নিষ্ঠুর মুনাফায় ছাড় নেই

কোনওমতেই খাদ্য এবং কৃষিতে ভরতুকি মানতে রাজি নয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদীরা৷ আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার কিছু দেশ খাদ্য ও কৃষিপণ্যে সরকারি ভরতুকির পক্ষে দাঁড়ালেও প্রবল বিরোধিতা করে মার্কিন প্রতিনিধি দল৷ তাদের বাধায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লুটিও)–র সদস্য দেশগুলির মন্ত্রীগোষ্ঠীর একাদশতম সম্মেলনে খাদ্য ও কৃষিপণ্যে ভরতুকির ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধানের জন্য কোনও সিদ্ধান্তই হতে পারল না৷১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনসএয়ারসে বসেছিল এই সম্মেলন৷

গত অক্টোবর মাসেই বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের সমীক্ষা দেখিয়েছিল দুনিয়ার প্রায়  ২০০ কোটির বেশি মানুষ পুরোপুরি তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য পান না৷ এর মধ্যে ৮০ কোটি চূড়ান্তভাবে ক্ষুধার্ত৷ গবেষকরা বলেছেন,  রাজনৈতিক ক্ষমতাই খাদ্যের অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ সমীক্ষার ফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল বিশ্ব জুড়ে খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসাকে নিজের মুঠোয় নিতে একচেটিয়া পুঁজির মালিক দৈত্যাকার বহুজাতিক সংস্থাগুলি নানা দেশের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে৷

এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশ কৃষিক্ষেত্রে যে ভরতুকি দেয় তার সিংহভাগটাই গিলে নেয় কৃষিপণ্য এবং খাদ্য ব্যবসায়ী একচেটিয়া পুঁজির রাক্ষুসে হাঁ৷ তারা আমেরিকা সহ উন্নত সাম্রাজ্যবাদী–পুঁজিবাদী দেশগুলির সরকারের কাছ থেকে তাদের বিশাল বিশাল খামার এবং কৃষিপণ্যের একচেটিয়া ব্যবসার জন্য বিপুল পরিমাণ ভরতুকি আদায় করে৷ যার ফলে তারা অপেক্ষাকৃত সস্তা কৃষিপণ্যের মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলির বাজার দখল করতে পারে৷ মনসেন্টো, কারগিল ইত্যাদি বহুজাতিক কোম্পানিদের স্বার্থে তাই ১৯৯৫ সাল থেকে ডব্লুটিও খাদ্য ও কৃষিপণ্যে ভরতুকি বন্ধ করার ফরমান জারি করে, যা ‘এগ্রিমেন্ট অন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’ বা ‘এওএ’  নামে পরিচিত৷

ভারতে তুলো, ধান, বেগুন, ইত্যাদির বন্ধ্যা জিএম (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) বীজের মাধ্যমে চাষিদের সর্বস্বান্ত করার জন্য কুখ্যাত কোম্পানি কারগিলের নাম অনেকেই জানেন৷ সেই কারগিল কোম্পানির পূর্বতন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডান আমস্টুটজ ১৯৯৫ সালে এই ‘এওএ’–র প্রথম রূপরেখা তৈরি করেন৷ তার আগে ডব্লুটিও শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মাশুল নিয়েই মাথা ঘামাতো৷ বিশ্বায়ন–উদারিকরণের নীতি অনুসারে এই চুক্তিতে বলা হয়েছে ফসল উৎপাদনের মোট ব্যয়ের ১০ শতাংশের বেশি কোনও সদস্য দেশ ভরতুকি হিসাবে দিতে পারবে না৷ বলা হয়েছে কোনও দেশের সরকার যদি চাষিকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে চায় তা দিতে হবে ১৯৮৬–৮৭ সালের দামের ভিত্তিতে৷ এর থেকে বেশি দরে কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য ঠিক করলে সেটা আপত্তিকর ভরতুকি৷ অর্থাৎ তিরিশ বছর আগেকার দামের বেশি চাষিকে দেওয়া যাবে না৷ ডব্লুটিও–র নীতি ভঙ্গ করে কোনও দেশ এর থেকে বেশি ভরতুকি দিলে তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে৷ এওএ নীতি অনুসারে আমেরিকা, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ভরতুকি দিলেও তা নাকি বাণিজ্যের পক্ষে হানিকর নয়৷ আর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, চীন এই দেশগুলির খাদ্য ও কৃষি নীতি বাণিজ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷

কত ভরতুকি কোন দেশ দেয় দেখা যাক, একটি হিসাব বলছে প্রতি ১০০ ডলার উৎপাদন খরচে আমেরিকা ধানে ভরতুকি দেয় ৮০ ডলার, তৈলবীজে ৬০ ডলার৷ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া সমস্ত কৃষি পণ্যে গড়ে ৫০ ডলার ভরতুকি দেয়৷ নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড দেয় ৬০ ডলার করে৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ধানে ৬৫ ডলার, অলিভ অয়েলে ৭৫ ডলার এবং চিনিতে ১১০ ডলার ভরতুকি দেয়৷ একটি মার্কিন কৃষি ফার্ম বছরে গড়ে ৬০ হাজার ডলার ভরতুকি পায়৷ সেখানে একজন ভারতীয় চাষি পায় ২৫০ ডলার৷ (টাইমস অফ ইন্ডিয়া ১৪/১২/১৭)

উন্নত দেশগুলি তাদের বড় বড় কৃষিখামারের মালিক বৃহৎ পুঁজিপতিদের নগদ ভরতুকি দিলে তা বাণিজ্যিক দিক থেকে ক্ষতিকর নয়৷ কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চাষিকে দিলেই তা বাণিজ্য হানিকর এই নিয়ম অনুযায়ী কোনও দেশের সরকার যত সামান্য ফসলই সহায়ক মূল্যে কিনুক ডব্লুটিও ধরবে যে সম্পূর্ণ ফসলেই এই ভরতুকি দেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে ভরতুকি দাতা দেশের উপর নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাপতে পারে৷ তাদের সাথে অন্যদের ব্যবসা–বানিজ্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷

এই সর্বনাশা নীতির ফলে ভারতের মতো দেশের ক্ষুদ্র বা মাঝারি চাষি ভরতুকি না পেয়ে চাষ থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে৷ অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলি সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলির সহায়তায় ভরতুকি পেয়ে বিশ্বজুড়ে কৃষিপণ্যের ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ করেছে৷ বিশ্বায়নের নীতি অনুযায়ী কোনও দেশ অন্য দেশের পণ্য তার বাজারে ঢোকার ক্ষেত্রে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে না৷ ফলে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি তাদের উৎপাদিত কৃষিফসল এবং খাদ্য অপেক্ষাকৃত সস্তা দরে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশগুলির বাজারে বেচতে পারে৷ অনুন্নত দেশগুলির মাঝারি ও ক্ষুদ্র চাষিদের সর্বনাশ হয়৷ কারণ তাদের উৎপাদন খরচ যা, তা নিয়ে কোনও মতেই এই বহুজাতিকদের সাথে লড়াই সম্ভব নয়৷ ডব্লুটিও–র এই নীতির ফলে সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষিযন্ত্রপাতি, সেচের জল, সেচের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বা ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানির উপর কম–উন্নত দেশগুলির সরকারি ভরতুকি কমতে কমতে প্রায় শূন্যতে ঠেকেছে৷ এর উপর বেশিরভাগ ফসলের ক্ষেত্রেই সরকার কোনও রকম সহায়ক মূল্য দেয় না৷ ভারতের মতো দেশগুলিতে এর ফলে চাষির কাছে কৃষিকার্য ক্রমাগত অলাভজনক হয়ে পড়ছে৷ ফসলের খরচটুকুও তুলতে না পেরে চাষিদের আত্মহত্যার মিছিল চলে প্রতিবছর৷ এই নীতির ফলে একদা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর বহু দেশকে আমদানি নির্ভর হতে বাধ্য করছে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি৷ অলাভজনক কৃষির অজুহাত দেখিয়ে দুর্বল দেশগুলির চাষিদের তারা বাধ্য করছে খাদ্য ফসলের বদলে অর্থকরী নানা ফসল, ফল ইত্যাদির চাষে বেশি জোর দিতে৷ সেই ফসল বহুজাতিক কোম্পানিগুলি নিজেদের মর্জিমাফিক দামে কিনে নেয়৷ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে তারা বিপুল বিনিয়োগ করে ও নানা প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের বিরাট বাজার তৈরি করে৷ অন্য দিকে দুর্বল দেশগুলি খাদ্যের জন্য ক্রমাগত আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ে ও সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির শর্তের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়৷ খাদ্যপণ্যের দাম এই একচেটিয়া মালিকরা প্রথমে কিছুটা কম রাখলেও দেশীয় উৎপাদন পুরোপুরি ধ্বংস করার পর চড়া দাম দিতে মানুষকে বাধ্য করে৷ আফ্রিকার নানা দেশের দুর্ভিক্ষ, এশিয়ার বহু দেশে খাদ্যাভাবের কারণ এই সর্বনাশা নীতি৷ ভারতে দেশীয় একচেটিয়া পুঁজি নিজেরাই সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র অর্জন করেছে৷ তারাও এই বিশাল খাদ্যব্যবসার শরিক৷ ফলে ভারত সরকার ডব্লুটিও–নীতি এখানেও প্রয়োগ করছে যাতে দেশি–বিদেশি বড় পুঁজিমালিকদের স্বার্থ রক্ষা হয়৷

সরকারের এই নীতির ফলেই চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে মশলাপাতির ক্ষেত্রে ক্রমাগত বড় বড় কোম্পানির প্যাকেটজাত কৃষিপণ্য বাজার দখল করছে৷ বহুজাতিক পুঁজির স্বার্থে ভারত সরকার ক্রমাগত কৃষক বিরোধী কৃষি নীতি নিচ্ছে যার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকরা স্বাধীন চাষের বদলে বেশি বেশি করে বহুজাতিক কোম্পানির দাদন নেওয়া চুক্তি শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে৷ খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরো ব্যবসাতেও বহুজাতিক পুঁজিকে অবাধ ছাড়পত্র দেওয়ার নীতি নিয়ে চলছে ভারত সরকার৷ এক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানি পেপসিকো, মনসেন্টো বা কারগিলের সাথে ভারতীয় মালিক আদানিদের ফরচুন ব্র্যান্ড, টাটা, ইত্যাদি বহুজাতিকের নানা ব্র্যান্ড বা আধ্যাত্মিকতার ভড়ংয়ের আড়ালে থাকা পতঞ্জলি ব্র্যান্ড ইত্যাদি নানা কোম্পানি কৃষি ও খাদ্য পণ্যের বাজার দখল করেছে৷ কৃষিপণ্যের খুচরো ব্যবসায় বহুজাতিক মেট্রো করপোরেশনের মতোই ভারতীয় স্পেনসার, রিলায়েন্স ফ্রেশ, ফরচুন গোষ্ঠীর বিগবাজার, নীলগিরি ইত্যাদি কোম্পানি বেশ অনেকটা জায়গাই দখল করেছে৷ পেপসিকো ভারতীয় খাদ্যবাজার ৬৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে (দ্য হিন্দু, ১ জানুয়ারি, ২০১৮)৷

ভারত সরকার বুয়েনসএয়ারসের সম্মেলনে যে আমেরিকা সমর্থিত খাদ্য নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছে তার কারণ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা নয়৷ সে কথাটা স্পষ্ট করে বলেও দিয়েছেন ডব্লুটিওতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জে এস দীপক৷ তিনি ডব্লুটিওতে সওয়াল করেছেন, চালে ভারত সরকার উৎপাদন ব্যয়ের মাত্র ৭ শতাংশ সহায়ক মূল্য দেয়৷ গমে সেটুকুও নেই– ফলে ভারত সরকারও ডব্লুটিও–র খাদ্য নীতির বিরোধী নয়৷ তারা শুধু সহায়ক মূল্যে খাদ্য কিনে ‘বাফার স্টক’ তৈরির অধিকার চেয়েছে, আর ভোটের দিকে তাকিয়ে খাদ্য সুরক্ষার নামে যে ছিটেফোঁটা পরিমাণ চাল–গম সরকার দেয় সেটুকু তারা বজায় রাখতে চেয়েছে৷ সরকার যে গণবন্টন অর্থাৎ রেশন ব্যবস্থাকে প্রায় তুলেই দিয়েছে সেটা উল্লেখ করতে ভারতীয় প্রতিনিধিরা ভোলেননি৷

গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সের তথ্যের সাথে ভারত সরকারের আচরণ মিলিয়ে দেখলেই বোঝা যায় সরকার আসলে কী চেয়েছে৷ একদিকে উঠতি সুপারপাওয়ার হিসাবে মাথা তুলতে চাওয়া ভারতীয় বৃহৎ পুঁজিমালিকদের আকাঙক্ষা৷ পরিপূরক হিসাবে বিভিন্ন দেশের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নিজের প্রভাবাধীন গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে ভারত আমেরিকার সাথে কিছুটা দরকষাকষি করতে চেয়েছে৷ অন্যদিকে নিজের দেশের বড় পুঁজির জন্য আন্তর্জাতিক খাদ্যবাজারের দরজা খুলতে চেয়েছে৷ ভারত সরকারের খাদ্য নীতি অনুযায়ী গণবন্টন ব্যবস্থার বদলে মানুষকে ক্রমাগত ঠেলে দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট রেশন কার্ড ইত্যাদির দিকে৷ যার সাহায্যে বাজারদরেই কিনতে হবে খাদ্য পণ্য৷ সরকার গ্রহীতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরে ভরতুকি দিয়ে দেবে৷ সেই বাজারদর নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না৷ কিন্তু ওই খাদ্যশস্যের জন্য চাষি কী দাম পেয়েছিল? প্রতিবছরই ধান, আলু পোঁয়াজ, ডাল, সরষে যাই হোক না কেন ফসল ওঠার সময় চাষি দাম পায় নামমাত্র৷ সহায়ক মূল্য তো স্বপ্নের বিষয়৷ সরকার নিজেই বলেছে সহায়ক মূল্যে সরকারের অবদান মাত্র ৭ শতাংশ৷ অথচ বাজারদর তার থেকে বহুগুণ বেশি৷ সরকার সহায়ক মূল্যে খাদ্য শস্য কিনে যে মজুত তৈরি করবে তার থেকে বড় পুঁজির মালিকরা কমদামে খাদ্য শস্য পাবে৷ তারা তা রিটেল চেন বা দোকানে বেচবে, বিপিএল তালিকায় থাকা মানুষও সেখান থেকেই যাতে ভবিষ্যতে খাদ্য কিনতে বাধ্য হয় তা সরকার নিশ্চিত করতে চাইছে৷ ভরতুকি ব্যাঙ্কে পড়বার আগেই খাদ্য ব্যবসার মালিকরা বিপুল লাভ ঘরে তুলে নিতে পারবে৷ এই পথেই খাদ্যে ভরতুকি, খাদ্য সুরক্ষার বড় বড় কথার আড়ালে বৃহৎ পুঁজি মালিকদেরই খাদ্য ব্যবসায় আকাশ ছোঁয়া মুনাফা লোটার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে৷

ডব্লুটিও–র এই সম্মেলন দেখিয়ে দিল বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের খাদ্য নিয়েও কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে সাম্রাজ্যবাদীরা৷ এই নিষ্ঠুর সাম্রাজ্যবাদী–পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষকেই রুখে দাঁড়াতে হবে, এমনকী বেঁচে থাকার মতো খাদ্যটুকু পেতেও এ ছাড়া উপায় নেই৷