বিদ্যুৎ শিল্পকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা, প্রতিবাদে সামিল হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক

বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর উপর সংশোধনী এনে কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যকীয় একটি পরিষেবাকে পুরোপুরি বেসরকারি হাতে বেচে দিতে চাইছে। এর প্রতিবাদে এবং লক ডাউন চলাকালীন সমস্ত গ্রাহকদের ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সম্পূর্ণ মকুব করা, কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গ্রাহকদের লকডাউনের মধ্যের সময়ে বিল পুরোপুরি মকুব করা, লক ডাউনের পরেও অন্তত তিনমাস কোনও লাইন না কাটা ও বিল আদায় স্থগিত রাখা ইত্যাদি দাবিতে বিদ্যুৎগ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার পক্ষ থেকে ৬ মে সারা বাংলা দাবি দিবস পালন করা হয়। কলকাতার সিইএসসি সহ রাজ্য জুড়ে স্থানীয় এবং জেলা স্তরের বিদ্যুৎদপ্তরে লক ডাউনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকরা। এ ছাড়াও নিজেদের বাড়ি থেকেও সোস্যাল মিডিয়াতে দাবি সংবলিত পোস্টার তুলে ধরে বিক্ষোভে সামিল হন কয়েক হাজার গ্রাহক।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোত চৌধুরী ১১ মে এক বিবৃতিতে বলেন, বিদ্যুৎ আইন ২০০৩ (সংশোধনী-২০২০ বিলের মাধ্যমে বিদ্যুতকে একচটিয়া মালিকদের যথেচ্ছ মুনাফালোটার ক্ষেত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে ক্ষুদ্র গ্রাহকদের মাশুল ব্যাপক হারে বাড়বে আর বৃহৎ মালিকদের মাশুল কমবে। একই সাথে প্রিপেইড মিটারের দৌলতে বহু মিটার রিডিং কর্মীর চাকরি যাবে। ‘ইলেক্ট্রিসিটি কন্ট্রাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি’ গঠন ও ফ্র্যঞ্চাইজিদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বন্টিত হওয়ায় একদিকে গ্রাহকদের লুঠ করার ব্যবস্থা হবে, একই সাথে বিদ্যুৎ কর্মীদের স্বার্থও বিপন্ন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তালিকায় থাকলেও এই বিল বিদ্যুতেরক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা কেড়েনেবে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে ৭মে পাঠানো স্মারকলিপিতে এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অ্যাবেকা।