বর্তমান রাশিয়া একটি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রই

বিশ্বশান্তির অতন্দ্র প্রহরী সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রতিবিপ্লবের পর সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রের অধঃপতিত রাশিয়া এখন পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নেরই অঙ্গরাজ্য ইউক্রেন আক্রমণ করে নির্বিচার হত্যা এবং ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে যেভাবে রাশিয়া তার সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠনের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ইউক্রেনকে শ্মশানে পরিণত করছে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তানে মারণযজ্ঞ চালানোর সঙ্গে তার কোনও পার্থক্য নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মতো এশিয়া আফ্রিকার সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে অকুণ্ঠ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং একই সঙ্গে নিজেদের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের অন্ন বস্ত্র শিক্ষা চিকিৎসার সুব্যবস্থা করে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য-খেলাধূলা প্রভৃতির অকল্পনীয় উন্নতির মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নকে সবদিক থেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। যার ফলে বিশ্বজুড়ে মাক্সর্বাদ-লেনিনবাদে আস্থাশীল বামপন্থী মানুষরা তো বটেই, গোটা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীমণ্ডলী সহ সর্বশ্রেণির শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সাধারণ মানুষ সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার কর্ণধার মহান স্ট্যালিনের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করতেন। সাম্রাজ্যবাদে অধঃপতিত পুতিন জমানার বর্তমান রাশিয়ার এই যুদ্ধবাজ মার্কিনি মূর্তি দেখে বিশ্ব জুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রকামী মানুষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধিক্কারে মুখর হয়েছেন। রাশিয়ার অভ্যন্তরেও ফ্যাসিস্ট পুতিনের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শে বিশ্বাসী মানুষেরা রক্তপতাকা হাতে নিয়ে নিজ দেশের শাসক শ্রেণির এই যুদ্ধবাজ ভূমিকার প্রতিবাদ করছেন। এই অবস্থায় রাশিয়ার জনসাধারণ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সমাজতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পুতিন গোষ্ঠী এক নতুন শয়তানি প্রচার শুরু করেছে যে, পুতিন নাকি আবার সোভিয়েত ইউনিয়ন পুনর্গঠন করে তার গৌরবময় অতীতকে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন। তারা এমনকি ‘কমরেড পুতিন জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগানও দিচ্ছে।

ইতিহাস জানে যে, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হওয়ার পর সৈন্য পাঠিয়ে গায়ের জোরে ইউক্রেন, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বেলারুশ প্রভৃতি দখল করে লেনিন-স্ট্যালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন করেছিলেন এমন নয়। এই মিথ্যা আমেরিকা নেতৃত্বাধীন বনেদি সাম্রাজ্যবাদীরা প্রচার করেছিল। প্রকৃত ইতিহাস হল এই সব দেশগুলো ছিল মধ্যযুগীয় অন্ধ কুসংস্কারচ্ছন্ন, দরিদ্র, মূলত যাযাবর শ্রেণির জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ছোটো বড়ো উপজাতীয় সর্দার, সুলতান প্রভৃতি শাসিত দেশ। জার আমলে শক্তিশালী রাশিয়া এদের ওপর যথেচ্ছ দখলদারি এবং অত্যাচার চালাত। রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং তার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বেরই মুক্তিকামী মানুষ নিজ নিজ দেশে শোষণহীন নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এবং মুক্তি সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার জন্য এইসব দেশেও দ্রুত রাজা-রাজড়া বা উপজাতীয় সর্দারদের শাসনের অবসান হয়ে সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। মহান স্ট্যালিনের উদ্যোগে ১৯২২ সালে একটি সম্মেলনে মিলিত হয়ে এইসব ছোট রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমাজতান্ত্রিক যুক্তরাষ্ট্র গঠন করে এবং যুক্ত রাষ্ট্রটির নামে রাশিয়া বা কোনও বিশেষ দেশের নাম না রেখে রাখা হয় ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোস্যালিস্ট রিপাবলিক বা ইউএসএসআর। যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধানে সবকটি অঙ্গরাজ্যকেই ইচ্ছেমতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে সৈন্য পাঠিয়ে একটি পার্শ্ববর্তী দুর্বল দেশে ধ্বংস ও হত্যালীলা চালিয়ে তাকে পদানত করার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের কোনও সম্পর্ক নেই। সোভিয়েতে প্রতিবিপ্লবের পর গর্বাচেভ-ইয়েলেৎসিন চক্রের সমর্থন নিয়ে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ প্রভৃতিরা এইসব রিপাবলিকগুলোর ভিতরের ক্ষমতালিপ্সু গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙে দেয় যাতে ছোট ছোট দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে নিজের প্রভাবাধীনে আনতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সুবিধে হয়। আজকে তিরিশ বছর বাদে পুঁজিবাদী রাশিয়া শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে সম্পূর্ণ নিজের সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠনের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ইউক্রেন আক্রমণ করেছে।

পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নে, প্রতিবিপ্লব সম্পন্ন হওয়ার আগে রাষ্ট্রের উৎপাদন ব্যবস্থা ছিল সমাজতান্ত্রিক। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কলকারখানা, জমি, খনি প্রভৃতি সমস্ত উৎপাদন ক্ষেত্রেরই একমাত্র মালিক রাষ্ট্র। কোনও ব্যক্তি মালিকের মালিকানার অধিকার সমাজতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রতিটি নাগরিককেই সেখানে নিজ যোগ্যতা ক্ষমতা অনুযায়ী কোনও না কোনও কাজ করতে হয় এবং সকলের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা সহ জীবনের প্রতিটি প্রয়োজনের সুব্যবস্থা করা হয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়। কিন্তু প্রতিবিপ্লব সম্পন্ন হওয়ার পরে সেখানে নানা শক্তিশালী পুঁজিপতির উদ্ভব হয়েছে যাদের সম্পদের পরিমাণ আমেরিকা ইউরোপের ধনকুবেরদের থেকে কিছু কম নয়।

ফোর্বস সংস্থার তালিকা অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ একচেটিয়া পুঁজিপতিদের মধ্যে গ্যাজপ্রোম, লুকোইল, রোজনেফট, স্বেরব্যাংক প্রভৃতি ২৮টি রাশিয়ান কোম্পানি রয়েছে। ২০০৬ সালে রাশিয়ার জিডিপির ২৮.৯ শতাংশেরই মালিক ছিল মাত্র দশটি বৃহত্তম রুশ একচেটিয়া পুঁজি। বর্তমানে বিদ্যুৎ, কারিগরি শিল্প, পরিবহণ এমনকি খাদ্যোৎপাদন সহ রুশ অর্থনীতির অধিকাংশই একচেটিয়া পুঁজিপতিদের করায়ত্ত। অর্থাৎ পুঁজিবাদী রাশিয়া এখন একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত একচেটিয়া পুঁজিশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। লেনিন দেখিয়েছেন যে, একচেটিয়া পুঁজি তার সর্বোন্নত স্তরে ব্যাঙ্ক পুঁজি এবং শিল্প পুঁজির মিশ্রণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক একাধিপত্যের (ফিনানসিয়াল অলিগর্কির) জন্ম দেয় এবং নিজ দেশের ভৌগোলিক সীমার বাইরে পুঁজি রপ্তানি করে। এইভাবেই সে সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়। লেনিনীয় এই বিশ্লেষণকে অভ্রান্ত প্রমাণ করে সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাঙ্কগুলি যেমন স্বেরব্যাঙ্ক, ভিটিবি ব্যাঙ্ক, আলফা ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক র্যাফেইনিজ প্রভৃতি বাস্তবে একচেটিয়া পুঁজিপতিদের প্রত্যক্ষ মালিকানাধীন অথবা তাদের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পুঁজি পশ্চিম ইউরোপের ব্যাঙ্কগুলোতে রাশিয়া থেকে রপ্তানি হতে শুরু করেছে। এফ ডি আই বা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অর্থাৎ বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরাসরি রুশ পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণও এই সময়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০১ সালে রাশিয়া থেকে ৪৪.২ বিলিয়ন ডলার বিদেশে বিনিয়োগ হয়েছিল। ২০১২ সালে সেই বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০৬.২ বিলিয়ন ডলার। রুশ একচেটিয়া পুঁজি, ব্যাঙ্ক পুঁজি এবং শিল্পপুঁজির মিশ্রণের মাধ্যমে ফিনান্সিয়াল অলিগার্কিরও জন্ম দিয়েছে। বৃহত্তম ভদকা উৎপাদক কোম্পানি, খনি ও পরিবহণ কোম্পানি এবং রিয়েল এস্টেটের দৈত্যাকার পুঁজিপতিরাই রাশিয়ার ব্যাঙ্কিং এবং অন্যান্য আর্থিক ক্ষেত্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারত প্রভৃতি একচেটিয়া পুঁজিশাসিত দেশের মতো বর্তমান রাশিয়াতেও এইসব ধনকুবেরদের বেশিরভাগই রুশ কেন্দ্রীয় আইনসভা ডুমার সদস্য এবং রুশ বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল ও সরকারি কর্তাব্যক্তিদের তারাই প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।

২০০১ থেকে ২০১০-এর মধ্যে রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। সেটাই ২০১১ সালে একলাফে তিনগুণ বৃদ্ধি পায়। গত তিন বছরের মধ্যে রুশ পুঁজিপতিরা তাদের বিদেশি সম্পদের পরিমাণ আগের চেয়ে দ্বিগুণ বাড়িয়ে নিয়েছে এবং তাদের মুনাফা বেড়েছে আড়াই গুণ। গ্যাজপ্রোম, সেভারস্টাল, রাসাল প্রভৃতি রুশ কোম্পানিগুলো ২০১২ সালে ১৩৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ৪২৭টি বিদেশি কোম্পানি কিনে নিয়েছে। রুশ আলফা ব্যাঙ্ক আমস্টারডাম ট্রেড ব্যাঙ্ককে কিনে নিয়েছে। আর একটি বড় রুশ ব্যাঙ্ক ভিটিবি ইউক্রেন, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া প্রভৃতি দেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ভারত, চিন, ভিয়েতনাম, অ্যাঙ্গোলা সহ পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে তাদের পুঁজি বিনিয়োগ করছে।

একবিংশ শতকের রাশিয়া যে, পুঁজি রপ্তানি করা ও অর্থনৈতিক একাধিপত্যের জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র অর্জন করেছে শুধু তাইই নয়, চিন, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় আমেরিকার সঙ্গে টক্কর নিচ্ছে। তবে মহান স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আন্তর্জাতিক শান্তি স্থাপনের সময় এশিয়া আফ্রিকার সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশগুলোর স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন প্রবর্তনের মাধ্যমে ঔপনিবেশিকতার অবসান ঘটিয়ে, বিশ্বশান্তির অতন্দ্র প্রহরী রূপে কাজ করত, এমনকি স্ট্যালিনোত্তর যুগেও বেশ কিছুকাল তার সামরিক শক্তি নিয়ে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের হাত থেকে এশিয়া আফ্রিকার দুর্বল দেশগুলোকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসত, তাদের অর্থনৈতিক ও নানারকম সাহায্য দিয়ে উন্নয়নে সহায়তা করত, বর্তমান রাশিয়ার শক্তিবৃদ্ধিতে কিন্তু সেরকম কোনও আশ্বাসের কারণ নেই। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যখন ইরাক, লিবিয়া প্রভৃতি দেশগুলোকে আক্রমণ করে সেগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে নির্বাচিত রাষ্ট্রনায়কদের হত্যা করে নিজেদের পুতুল সরকার বসিয়েছে, সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়া কিন্তু তখন প্রতিবাদে একটা কথাও উচ্চারণ করেনি। স্পষ্টতই ঠিক একই কারণে রাশিয়ার বর্তমান ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়েও মুখে কিছু প্রতিবাদ করলেও যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে বাধ্য করার গরজ আমেরিকা, চিন বা অন্যান্য সাবেক সাম্রাজ্যবাদীদের নেই। সকলেরই একই স্বার্থ– নিজ নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী দুর্বলতর দেশগুলোকে ভাগবাঁটোয়ারা করে লুটেপুটে খাওয়া। পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক শিবিরের মতো মহান লেনিন স্ট্যালিনের প্রদর্শিত সর্বহারা আন্তর্জাতিকতাবাদের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক কোনও যথার্থ সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলাই পৃথিবী জুড়ে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রান্তকে রুখে দেওয়ার একমাত্র গ্যারান্টি হতে পারে। এছাড়া যুদ্ধ বন্ধের দ্বিতীয় কোনও পথ নেই।

(এমিলিয়ানো সার্ভি ও সালভাতোরে ভিকারিও-র লেখা নিবন্ধ ‘নেচার অফ দি ক্যাপিটালিস্ট ইকনমিক স্ট্রাকচার অফ রাশিয়া’ থেকে)