ফি–বৃদ্ধির প্রতিবাদে কাশীপুর কলেজে ডিএসও–র নেতৃত্বে বিক্ষোভ

ছাত্র আন্দোলন ভাঙতে অধ্যক্ষ নামছেন পোস্টার ছিঁড়তে এমন ঘটনাই ঘটল পুরুলিয়া জেলার কাশীপুর মহাবিদ্যালয়ে৷ ছাত্ররা অস্বাভাবিক ফি–বৃদ্ধির প্রতিবাদে পোস্টার লাগিয়েছিলেন৷

জেলার কলেজগুলিতে সিবিসিএস সেমেস্টারের নামে চলছে নানা মোড়কে ফি আদায়৷ ক্লাসে পাখা ঘুরবে, এজন্য দিতে হবে ইলেক্ট্রিক ফি৷  গরমকালে কলেজে আসবে, অথচ ছাত্ররা ‘হটওয়েদার চার্জ’ দেবে না, তা কী করে হয় উন্নয়নের জন্য ফি দিলেই হবে? ডেভলেপমেন্টের জন্য কি ফি দিতে হবে না? বছরে একবার ফি দিলেই কি হবে? প্রতি সেমেস্টারে দিতে হবে না? এ যেন নবাব–বাদশাদের আমলের মর্জিমাফিক কর আদায়ের ব্যবস্থা

কলেজগুলির এই ছাত্রশোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এ আই ডি এস ও৷ জেলার এ আই ডি এস ও নেতা কমরেড বিকাশরঞ্জন কুমার  বলেন, ফি–কমানোর দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষের কাছে ছাত্রছাত্রীরা গেলে আচমকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগত নেতারা তাদের  আক্রমণ করে৷ ছাত্রছাত্রীরা তা প্রতিরোধ করে৷ কলেজের বাইরে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ডি এস ও–র দুই কর্মীর উপর হামলা চালায়৷ ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা কাশীপুর রাজবাড়ি মোড়ে পথ অপরোধ করে৷ ১৯ ফেব্রুয়ারি কলেজে পালিত হয় সর্বাত্মক  ছাত্র ধর্মঘট, ছাত্ররা উদ্দীপ্ত প্রতিরোধের স্পৃহায় এ আই ডি এস ও–র আহ্বানে জেলা জুড়ে ধিক্কার দিবস পালন করে৷

(গণদাবী : ৭১ বর্ষ ২৯ সংখ্যা)