প্রধানমন্ত্রীর ‘ইঞ্জিন’ ও শিল্পায়নের ভাঁওতা

‘ডবল ইঞ্জিন’ জুড়ে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই দলের সরকার (তাঁর ভাষায় ‘ডবল ইঞ্জিন’) না হলে উন্নয়ন হবে না। তাই রাজ্যের মানুষ উন্নয়ন চাইলে বিজেপিকেই জেতাতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মোদিজি অন্তত দুটি অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন– এক, তাঁর ৭ বছরের রাজত্বে ভারতের বেশিরভাগ অংশের উন্নয়ন হয়নি। কারণ, ভারতের ২৮টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আছে মাত্র ৯টিতে (এ ছাড়া ৩টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ধরে আছে, আর ৫টিতে অন্য দলের মুখ্যমন্ত্রীত্বে তারা সরকারের শরিক)। বাকি রাজ্যগুলির উন্নয়নের প্রশ্নে বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার কেমন আচরণ করে চলেছে প্রধানমন্ত্রীই তা বলে দিয়েছেন। দুই, বিজেপি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটিকে আদৌ পাত্তা দেয় না। বোঝা গেল, কখনও সংসদকে, কখনও সংবিধানকে প্রণাম করে গণতন্ত্রের পূজারি হওয়ার যে ভড়ং তিনি দেখান, সেটাও আসলে ভোটের জুমলা! প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটাকে তিনি বিজেপির সম্পত্তি হিসাবে না দেখলে এমন কথা বলতে পারতেন কি? এরপরেও তিনি রাজ্যে রাজ্যে ভোটের প্রচার করতে গিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার স্লোগান তুলবেন?

* তিন বছরে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার কারখানা বন্ধ হয়েছে। মোট কারখানার সংখ্যার দিক থেকে যা ৩৬.০৭ শতাংশ।
* গুজরাটে শুধু ২০১৯ সালের প্রথম অংশে বন্ধ হয়েছে ২ হাজারের বেশি কারখানা। ২০১৪ থেকে গুজরাটে রেজিস্টার্ড কারখানার মধ্যে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প লালবাতি জ্বেলেছে বলে সরকার স্বীকার করেছিল।
* অর্থনীতির গবেষকরা দেখাচ্ছেন, বাম্পার উৎপাদন হলেও একই সময়ে গ্রামাঞ্চলে ভোগপণ্য বিক্রি সংকুচিত হয়েছে ৬৬ শতাংশ।

 

প্রধানমন্ত্রী হলদিয়াতে দাঁড়িয়ে বাংলার শিল্পায়নে ‘ইঞ্জিন’ জোড়ার স্লোগান দিয়েছেন। যদিও বিরাট ঢাকঢোল পিটিয়ে তিনি হলদিয়ার মঞ্চে যেসব প্রকল্পের শিলান্যাস অথবা উদ্বোধন করেছেন সেগুলি হল, একটা গ্যাসের পাইপলাইন, একটা জেটি আর একটা ফ্লাইওভার। শিল্প দূরে থাক, এর কোনওটাই কোনও নতুন বড় প্রকল্প পর্যন্ত নয়। শিল্পের নামে ফ্লাইওভার কিংবা জেটি উদ্বোধনের জন্য যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ বিমানে উড়ে আসতে হয়, তাঁর রাজত্বে শিল্পের হাল কেমন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় কি? এ দিকে আবার বিজেপি নেত্রী এবং হুগলির সাংসদ, তাদের রাজ্য সভাপতি, এমনকি সদ্য তৃণমূলের জামা বদলে বিজেপি হওয়া নেতারা পর্যন্ত বলে চলেছেন, সিঙ্গুরে টাটাকে তাঁরা ফিরিয়ে আনবেন, নন্দীগ্রামে আবার কেমিক্যাল হাব করবেন তাঁরা। টাটা-ন্যানো গাড়ি কারখানার জন্য তাঁদের মহা হাহুতাশ! যদিও বাস্তব হল, সিঙ্গুর থেকে গুজরাটের সানন্দতে মোদিজির ডেকে নিয়ে যাওয়া সেই ন্যানো গাড়ির কারখানাতে এক বছরের বেশি উৎপাদন বন্ধ। ন্যানো গাড়ি উৎপাদন হোক আর না হোক, সানন্দকে ঘিরে সাতটি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কাজে কোনও ঢিলে দেয়নি বিজেপির রাজ্য সরকার। ওই এলাকার বিজেপি নেতারা জমির-ফ্ল্যাটের দালালি করে কোটিপতি হয়েছেন, দলের অফিসটি সাততলা হয়েছে। বিপরীতে ন্যানো কারখানায় এলাকার মানুষের কাজ তো জোটেইনি, নদীর জল ব্যবহারেও চেপেছে নিষেধাজ্ঞা। এমন শিল্পায়নের খোয়াব দেখিয়েই বিনামূল্যে জমি, জল, বিদ্যুৎ, দেশের মানুষের কষ্টের টাকা টাটাদের উপহার দিয়েছে বিজেপি সরকার। সিঙ্গুরে, নন্দীগ্রামে তেমন ‘উন্নয়নের’ নামে জমি লুঠের কারবারকে বুকের রক্ত ঢেলে রুখে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাই সারা ভারতের জমি রক্ষার আন্দোলনের আদর্শ হয়ে রয়েছে–সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম। ওড়িশার জগৎসিংপুরের পসকো বিরোধী আন্দোলনে জমি রক্ষা করতে গিয়ে কৃষকরা স্মরণ করেছেন, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের নাম। কর্নাটকের উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনেও উচ্চারিত হয়েছে এই দুটি সংগ্রামের প্রতীকের কথা। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় কার রেসিংয়ের জন্য চাষির জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছে এই নাম। আজ দিল্লির সীমান্ত ঘিরে বসে থাকা কৃষক আন্দোলন খোঁজে সেই একই নাম। কর্পোরেট মালিকদের উন্নয়নের ফর্মুলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে সারা ভারতে শুধু নয় বিশ্বের নানা প্রান্তেও কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষ স্মরণ করেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের শিক্ষাকে।

আজ একদিকে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে শিল্প না হওয়ার দায় চাপাচ্ছে প্রতিবাদী কৃষকদের উপর। অন্যদিকে সিপিএম নেতারাও ছাত্র-যুবদের নিয়ে কখনও সিঙ্গুরে কখনও বা শালবনিতে গিয়ে ‘স্বপ্নের শিলান্যাস’ করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন– তাঁরা সরকারে এলেই শিল্পায়নের বান ডাকবে বাংলায়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের চাষি-মজুর-মধ্যবিত্ত-খেটেখাওয়া মানুষের কাছে জমি রক্ষাটা ছিল বাঁচা-মরার প্রশ্ন। তাঁরা তাই বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, মা-বোনেরা শাসক দলের ভাড়াটে গুণ্ডা বাহিনীর দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তবু জমি ছাড়েননি। আর রাজ্যের বর্তমান শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীদের কাছে তা ছিল তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভকে ভোট বাক্সে বন্ধ করে আখের গোছানোর প্রশ্ন। কিন্তু তাঁরা জানতেন ভোটের আগে এই আন্দোলন থেকে পালাতে গেলেই তাদের মুখোশটা খুলে যাবে। যতদিন সিঙ্গুর নন্দীগ্রামকে দেখিয়ে ভোট কুড়ানোর সুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা তার নাম নিয়েছেন। সরকারের গদিটা পেয়েই একচেটিয়া কর্পোরেট পুঁজির প্রভুদের খুশি করতে যে কোনও আন্দোলনের বিরুদ্ধেই তৃণমূল কংগ্রেস আজ খড়গহস্ত। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই এখন তাঁদের চক্ষুশূল। তাই তাঁরা চান সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থাকুক দু’টাকা কেজি চালের উমেদার হয়ে। অধিকার বুঝে নেওয়ার লড়াইতে যেন আর না নামে তারা।

বিধানসভা ভোটের মুখে শিল্প করব, বেকারদের কাজ দেব বলে চলেছে সব ভোটবাজ দল। কেন আমরা বলছি এসব ভাঁওতা? এটা বুঝতে দেখা যাক ভারতে এই মুহূর্তে শিল্পের হালটা কেমন? গত নভেম্বরে শিল্পোৎপাদনের হার ছিল শূন্যের ১.৯ শতাংশ নিচে। হার ঋণাত্মক, অর্থাৎ শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি দূরে থাক তা ক্রমাগত কমেছে। নতুন শিল্প খোলা দূরে থাক, তা একের পর এক বন্ধ হয়েছে। এই সংকট কি কোভিড সংক্রমণের জন্য? তথ্য বলছে, না। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ০.৪ শতাংশ। তার থেকে সামান্য বেড়ে ২০২১-এর জানুয়ারিতে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। বৃদ্ধিটা কেমন? ২০২০-র এপ্রিলে বৃদ্ধির হার ছিল শূন্যের ৫৭.৩ শতাংশ নিচে (-৫৭.৩ শতাংশ) (সিইআইসিডাটা.কম)। সামান্য উৎপাদন শুরু হয়ে খাতা কলমে শূন্যের ১ শতাংশ উপরে ওঠায় সরকার ঢাক পেটাচ্ছে শিল্প এগোচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে মানুষ দেখছে দেশ জুড়ে হাজার হাজার কলকারখানার ঝাঁপ বন্ধ। যেটুকু চলছে সেখানেও অর্ধেক শ্রমিক, অর্ধেক বেতন নিয়ে কোনওক্রমে চলছে উৎপাদনের চাকা।

২০১৯ সালের ১ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় জানিয়েছিল তিন বছরে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার কারখানা বন্ধ হয়েছে। মোট কারখানার সংখ্যার দিক থেকে যা ৩৬.০৭ শতাংশ। এই বন্ধ কারখানার দেড় লক্ষই মহারাষ্ট্রের।(ইকনমিক টাইমস, ২ জুলাই ২০১৯) গুজরাটে শুধু ২০১৯ সালের প্রথম অংশে বন্ধ হয়েছে ২ হাজারের বেশি কারখানা। ২০১৪ থেকে গুজরাটে রেজিস্টার্ড কারখানার মধ্যে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প লালবাতি জ্বেলেছে বলে সরকার স্বীকার করেছিল। যদিও তারাই বলেছে, এই রাজ্যের ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র শিল্পই রেজিস্টার্ড নয়। ফলে তার খোলা বন্ধ নিয়ে সরকার তথ্য দেয় না। (ডিএনএ নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, আমেদাবাদ ২৭ মার্চ ২০১৪) সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে আন্দোলনের জন্য বাংলায় শিল্প হচ্ছে না, এই মিথ্যা প্রচারটাকেও যদি সত্যি বলে ধরে নেওয়া যায়– তাহলে, গুজারাটে তো বিজেপি সরকার কোনও আন্দোলনই করতে দেয় না। সেখানে শিল্পের এই নৈরাশ্যজনক পরিস্থিতি কেন?

শিল্প বন্ধ হয় কেন? বাজার নেই বলে। বাজার নেই কেন? মানুষের কেনার ক্ষমতা নেই বলে। এ সত্য অস্বীকার করবে কে? তাই বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদীদের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা আইএমএফকে পর্যন্ত বলতে হয়েছে, ভারতের বাজারের প্রধান সমস্যা হল তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা তৈরি না হওয়া। কেন? উত্তরটা সবার জানা, রিক্ত-নিঃস্ব জনগণ দুটো ভাত জোগাড় করতেই নাজেহাল, শিল্পপণ্য কিনবে কী করে? দেশের সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতা আজ কতটুকু তা সরকারের সমীক্ষাই দেখিয়েছে বারবার। গ্রামাঞ্চলে গত রবি এবং খরিফ মরসুমে বাম্পার উৎপাদনের কারণে কৃষি ক্ষেত্রে জিডিপি বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। অর্থনীতির গবেষকরা দেখাচ্ছেন, বাম্পার উৎপাদন হলেও একই সময়ে গ্রামাঞ্চলে ভোগপণ্য বিক্রি সংকুচিত হয়েছে ৬৬ শতাংশ। কৃষক পরিবারে ডাল-রাজমা, দুধ, মাছ, ফল ইত্যাদি পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবহার কমেছে ২০ শতাংশের বেশি (ডাউন টু আর্থ, ৩ এবং ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) । এইসব কৃষক পরিবার যারা দেশের অধিকাংশ, তারা কোন ভোগ্যপণ্যটি কিনতে পারবে?

এই সত্যকে ঢাকা দিতে শিল্পায়নের স্লোগান তুলে বিজেপি সরকার কর্পোরেট মালিকদের হাতে কোটি কোটি টাকার প্যাকেজ তুলে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষকে কার্যত লুঠের ব্যবস্থা করছে। যে কাজ একসময় করেছে কংগ্রেস। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকার সময় একই কাজ করতে চেয়েছে সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেসও প্রবল শিল্পদরদ দেখায়। কিন্তু তাদের নীতিও কোনও বুর্জোয়া সরকারের থেকে আলাদা কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গে সত্যিই শিল্প চাইলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের পাট শিল্পের অনুকূল নীতি নিত। আম্বানি-আদানিদের মতো পেট্রোকেমিক্যাল লবির প্লাস্টিক ব্যববসার স্বার্থে পাট শিল্পকে দুর্বল করত না। রাষ্ট্রায়ত্ত জেসপ, ব্রেথওয়েট, এম এ এম সি, অপথ্যালমিক গ্লাস কারখানা ইত্যাদিকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিত। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা, বার্নপুরের ইসকো, দুর্গাপুর স্টিল, ডিপিএল, হিন্দুস্তান কেবলসের মতো সংস্থাকে দুর্বল করার চেষ্টা করত না। বন্ধ ডানলপ, হিন্দুস্তান মোটরস ইত্যাদি খোলবার চেষ্টায় সাহায্য করত। খনিগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে ক্রমাগত রুগ্ন করত না।

বিজেপি যতই ইঞ্জিন জুড়ুক, সিপিএম যতই শিলা পোঁতার নাটক করুক, কংগ্রেস তৃণমূল যতই স্লোগানে গলা ফাটাক। তীব্র মন্দা কবলিত পুঁজিবাদী অর্থনীতিই শিল্পায়নের সামনে প্রধান বাধা। একটা দুটো শিল্প এখানে ওখানে হতে পারে, কিন্তু তাকে শিল্পায়ন বলে না। এর মধ্যেও যতটুকু শিল্প হচ্ছে তাকে পুরোপুরি পুঁজি নির্ভর করায় বাধা দিয়ে কিছু অন্তত কর্মসংস্থানের সুযোগ আদায় করতে হলে চাই তীব্র গণআন্দোলন। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বেচে দেওয়ার বিরুদ্ধেও চাই আন্দোলন। এ জন্য ভোটে সরকারের রঙ বদলের থেকেও জরুরি প্রয়োজন আন্দোলনের জোরে দাবি আদায়। ভোটের চমকে তা ভুললে চলবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ভাবতে হবে ধোঁকাবাজির স্লোগানে ভুলে গৌরবময় সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে দেবেন? তার মধ্য দিয়ে সমস্ত আন্দোলনের উপর সরকারের দমন পীড়নকে বৈধতা দেওয়ার রাস্তা করে দেবেন, আন্দোলনের শক্তির পাশে দাঁড়াবেন?