পাশ–ফেল চালুর বিরুদ্ধে সব কুযুক্তি গণআন্দোলনের ময়দানে পরাস্ত হয়েছে

গত ২২ ডিসেম্বর বিকাশ ভবনে শিক্ষায় ‘পাশ–ফেল’ পুনঃপ্রবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পৌরোহিত্যে এবং শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠনের প্রধান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল এমন বিষয়ে সর্বপ্রথম৷ দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত সকলেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে এক বাক্যে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন৷ এস ইউ সি আই (সি)–র ডাকা গত ১৭ জুলাইয়ের সাধারণ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে ‘পাশ–ফেল’ পুনঃপ্রবর্তন করবেন৷ ফলশ্রুতিতে ধর্মঘট প্রত্যাহূত হয়েছিল৷ বিধানসভার গত অধিবেশনেও মন্ত্রী একই কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ বিকাশ ভবনের উক্ত বৈঠক তাই রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চলেছে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে৷ বৈঠকের বিষয়বস্তুতে ঢোকার আগে ‘পাশ–ফেল’ পুনঃপ্রবর্তনের যথার্থতা নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করা প্রয়োজন৷শিক্ষার দাবিতে একদিন রাস্তার পাশে পডু়য়ারা সভা করছিলেন৷ সভা থেকে সমবেত কণ্ঠে গানের কয়েকটা লাইন ভেসে এল– ‘শিক্ষা নিয়ে সরকারের নতুন খেল নতুন খেল/সবাই পাশ তার মানে সবাই ফেল সবাই ফেল…’৷কথাটা সহজ সরল কিন্তু তার যৌক্তিকতাকে অস্বীকার করার উপায় কোথায়? বিদ্যালয়ে সারা বছর প্রায় না পড়িয়ে, নাম কে–ওয়াস্তে পরীক্ষা নিয়ে, কী শিখল তার যথাযথ মূল্যায়ন না করে যদি ঘোষণা করা হয় সবাই পাশ তা হলে অবস্থাটা কী দাঁডায়? সত্যিই কি সবাই পাশ হয়ে যায়? শেখাটা সাঙ্গ হল কি না তা বুঝে নেওয়ার কোনও উপায় শিক্ষাব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে থাকবে না? আর যদি কোনও শ্রেণির পাঠ কোনও পডুয়ার সম্পূর্ণ না হয়, অন্তত একটা ন্যূনতম মান যদি সে অর্জন না করতে পারে তাহলে পরবর্তী শ্রেণিতে ওই পডুয়াকে উত্তীর্ণ করে দিলে তার ওই অসম্পূর্ণ পাঠটি সম্পূর্ণ হবে কী করে? শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯–এর প্রণেতারা এ ব্যাপারে নীরব রইলেন কেন? উল্লেখ্য, এই ২০০৯–এর আইন বলেই বিদ্যালয় স্তরে ‘পাশ–ফেল’ অবলুপ্ত হয়েছে৷ আবার এটাও স্বাভাবিক যে পূর্ববর্তী শ্রেণির পাঠ্যবস্তু কোনও পডুয়ার রপ্ত না হলে পরবর্তী উচ্চতর শ্রেণির পাঠ্যবস্তু শিখে নেওয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁডায়৷ এই অসম্পূর্ণ ধারণা বা নিম্নমান নিয়ে যদি কোনও পডুয়া ক্রমাগত উচ্চতর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে থাকে তাহলে বর্তমান নিয়মের জোরে বিদ্যালয় পাশ সে করবে, কিন্তু ভবিষ্যৎ জীবনযুদ্ধে পাশ করবে কি? সমবেত সঙ্গীতটির পরবর্তী লাইনগুলো ছিল– ‘জনগণের অজ্ঞতাই সরকারের ক্ষমতা/বুঝে নাও শিক্ষানীতির আসল বারতা/শিক্ষা শুধু সান্ত্বনা, চাকরি–বাকরি মিলবে না/জীবনযুদ্ধে তুমি হবে ডাহা ফেল ডাহা ফেল’৷ লাইনগুলির তাৎপর্য তাই গভীর৷

‘পাশ–ফেল’ পুনঃপ্রবর্তনের দাবি সমাজ মননে দীর্ঘদিন ধরে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে কোনও কোনও মহল ফেল করানোর ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন৷ আর এই ষড়যন্ত্র নাকি করা হচ্ছে সমাজের প্রান্তিক মানুষ, সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি, জনজাতি প্রমুখ মানুষের বিরুদ্ধে৷ যাঁরা এমন ভাবছেন তাঁদের প্রজ্ঞা ও একই সঙ্গে অজ্ঞতায় বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না৷ তাঁরা কি জানেন, পাশ–ফেল সহ যথাযথ মূল্যায়নের ন্যূনতম সুযোগটুকু যাতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আবার ফিরে আসে তার জন্য সব থেকে সরব ওই প্রান্তিক স্তরের মানুষজন? কারণ এই মানুষদের উপায় নেই সন্তান–সন্ততিদের রুগ্ন, জীর্ণ, আলো–বাতাসহীন, পরিকাঠামোহীনতা ও শিক্ষকের অপ্রতুলতা দীর্ণ সরকার পোষিত স্কুল ব্যবস্থার বাইরে ঝাঁ–চকচকে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করতে অথবা আকাশ ছোঁয়া বেতনের কোচিং সেন্টারের খাতায় নাম লেখাতে৷ সমাজের উচ্চকোটির মানুষদের জন্যই সে সবের ব্যবস্থা৷

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, কোনও শ্রেণিতে ফেল করলে নাকি পডুয়া নিজের উপর আস্থা হারাবে৷ এ তো অদ্ভুত যুক্তি প্রায় কিছু না–পড়ে, না–শিখে, না জেনে একের পর এক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে তাদের মনে যে আস্থা(?) তৈরি হচ্ছে তার মূল্য এই ব্যক্তিদের কাছে এত? হাল আমলের এই বাধ্যতামূলক ফাঁকির(?) জন্য চাকরির বাজারে বা ভবিষ্যৎ জীবনযুদ্ধে যখন এই পডুয়াদের উচিত–মূল্য দিতে হবে, তখন তাদের পাশে কে দাঁড়াবে? অপর একটি প্রশ্ন এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ৷ পাশ আছে মানে তো ফেল থাকবেই, নতুবা পাশ কথাটার আলাদা কী তাৎপর্য থাকে? শিক্ষার বুনিয়াদি স্তরে পাশ ও ফেল দুটি শব্দই কি তাহলে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে?

ঠিকই, আলোচ্য শিক্ষা আইনের ধারায় উল্লেখ ছিল যে প্রচলিত বাৎসরিক পরীক্ষার পরিবর্তে নিরবচ্ছিন্ন সার্বিক মূল্যায়ন হবে৷ এই রাজ্য সমেত দেশের সিংহভাগ বুনিয়াদি বিদ্যালয়গুলিতে যেখানে ন্যূনতম পরিকাঠামোটুকুর অভাব সেখানে হবে নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ন এমন মূল্যায়ন সুনিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক–ছাত্র অনুপাত অন্তত ১:১০ এর আশপাশে থাকা দরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকা দরকার এছাডাও অন্যান্য শিক্ষণ–পরিকাঠামো প্রয়োজন৷ এই পরিকাঠামো কখনওই আমাদের দেশে ছিল না, এখনও নেই৷ আমাদের রাজ্যে বামফ্রন্ট রাজত্বেও ছিল না, এই সরকারের সময়ও নেই৷ পরিকাঠামোর এত অপ্রতুলতার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়ন সুনিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল না, হয়ওনি৷ আসলে, সংসদে বা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে আইন যাঁরা প্রণয়ন করেন, বিশেষ করে শিক্ষা সংক্রান্ত আইন, তাঁরা কখনও ভাবেন না যে শিক্ষা একটি বিশেষ বিষয়, অন্য যে কোনও বিষয়ের থেকে তা স্বতন্ত্র এবং তা করার আগে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ যাঁরা অর্থাৎ শিক্ষক–শিক্ষাবিদদের মতামত নেওয়া উচিত৷ তা করার প্রয়োজন কি তাঁরা এ ক্ষেত্রে বোধ করেছিলেন? আসলে এর সঙ্গে শিক্ষার স্বাধিকারের ধারণাটি যুক্ত যা এদেশে কখনওই মান্যতা পায়নি৷ যদিও এই আলোচনার সুযোগ এখানে নেই৷

বিদ্যালয় স্তরে স্কুলছুটের সংখ্যা হ্রাসের মহৎ উদ্দেশ্যের কথা বলে পাশ–ফেল অবলুপ্তির আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল৷ দেখা যাক সত্যিই স্কুলছুট হ্রাস পেয়েছিল কি না৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার ১৯৮১ সালে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি অবলুপ্তির সাথে পাশ–ফেল–ও বিদায় দিয়েছিল৷ সরকারের নীতি নির্ধারকদের তখন অন্যতম দাবি ছিল ‘এই নীতি চালু হলে স্কুলছুটের সংখ্যা কমবে’৷ তাঁদের দাবির সমর্থনে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ওই সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রকে চেয়ারম্যান করে একটি শিক্ষা কমিশন সরকার গডেছিল৷ ১৯৯২ সালে পেশ করা তার রিপোর্টই বস্তুত সরকারের কাছে ব্যুমেরাং হয়৷ রিপোর্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিল, ‘‘এর (পাশ–ফেল প্রথা তুলে দেওয়ার) ফলে প্রাথমিকের শিশুদের যতটুকু শেখা উচিত ছিল তা হচ্ছে না৷ স্কুল–ছুটের সংখ্যা বাডছে৷ তাই অভিভাবকরাও ভাবছেন স্কুলে পাঠানো সময় নষ্ট করা ছাডা আর কিছু নয়’’৷ (অশোক মিত্র কমিশন অন এডুকেশন, আগস্ট, ১৯৯২)৷ ২০০৯ সালের পর কেন্দ্রীয়ভাবে যতগুলো সমীক্ষা এই বিষয়ে হয়েছে তার সমস্ত রিপোর্টই মিত্র কমিশনের সঙ্গে একই সুরে কথা বলেছে৷ অর্থাৎ স্কুলছুট হ্রাসের পরিবর্তে আরও অবাধ হয়েছে৷

যাঁরা দাবি করছেন, বর্তমান শিক্ষা আইন চালুর ফলে শিক্ষার আরও প্রসার হয়েছে, তাঁরা কীসের ভিত্তিতে তা করছেন তার কোনও উল্লেখ নেই৷ অথচ এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসাবে স্কুল শিক্ষার দশা কোথায় পৌঁছেছে তা জাতীয় স্তরে সাম্প্রতিক নানা সমীক্ষা থেকে পরিষ্কার হয়েছে৷ তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী কপিল সিববাল প্রকাশ করেছিলেন অ্যানুয়াল স্টেটাস রিপোর্ট (রুরাল) ২০০৯, যাতে এই রাজ্য সম্পর্কে বলা হয়েছিল, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র–ছাত্রীদের ৫৪ শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণির মাতৃভাষা পডতে পারে না, অষ্টম শ্রেণির ৭৫ শতাংশর বেশি পডুয়া সহজ ইংরেজি বাক্য পড়তে পারে না৷ যত দিন গিয়েছে এই অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে৷ জুলাই ২০১৫ সংখ্যার ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স স্টাডির রিপোর্ট বলছে, ‘৯০ শতাংশ স্কুলেই লেখাপড়ার পাট উঠে গিয়েছে, পড়ুয়ারা মিড ডে–মিল খেয়েই ফিরে যায়৷ তৃতীয় শ্রেণির পডুয়ারা মাতৃভাষার অক্ষর চেনে না, পঞ্চম শ্রেণির পডুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণির মাতৃভাষার গদ্য পড়তে পারে না, এমনকী ১–২–৩ গুনতে পারে না’৷ এই রূঢ় বাস্তবকে অস্বীকার করে যাঁরা এখনও পাশ–ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছেন না তাঁদের কি শিক্ষার গুণমান নিয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার আছে?

বলা হচ্ছে, পাশ–ফেল চালু হলে গৃহশিক্ষকের উপর পড়ুয়ারা আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, অর্থাৎ গৃহশিক্ষক প্রথার আরও রমরমা হবে৷ এটা অর্ধসত্য ছাড়া আর কিছু নয়৷ বিদ্যালয় শিক্ষার মান দীর্ঘদিন ধরেই নিম্নগামী হওয়ার কারণে, বিশেষ করে পাশ–ফেল অবলুপ্তির পর এই মানের আরও অবনমনের ফলে অভিভাবকরা সন্তান–সন্ততিদের ন্যূনতম শিক্ষার স্বার্থে বহুদিন ধরেই গৃহশিক্ষকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পডেছেন৷ এই গৃহশিক্ষক নির্ভরতা জাতীয় হারের তুলনায় এই রাজ্যে অনেক বেশি৷ জাতীয় গড় হিসাবে যেখানে মোট পডুয়ার ৩৭.৮ শতাংশ গৃহশিক্ষক নির্ভরশীল, সেখানে এই রাজ্যে তা প্রাথমিক স্তরে ৭১ শতাংশ, উচ্চ প্রাথমিকে ৮০ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৮৯ শতাংশ (কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রক কর্তৃক প্রস্তুত ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে রিপোর্ট, ২০১৫)৷ স্বাভাবিকভাবেই ২০১৭ সাল পর্যন্ত তা আরও বেডেছে৷ ফলে পাশ–ফেল চালু হলে এই হার আর নতুন করে কী বাড়বে?

এই পরিপ্রেক্ষিতে বিকাশ ভবনের ওই সভায় প্রত্যাশিত ছিল উপস্থিত সকল পক্ষ শিক্ষার স্বার্থে প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ–ফেল পুনঃপ্রবর্তনের দাবির পক্ষে মত দেবেন৷ কিন্তু দুঃখের সঙ্গে হলেও সত্য যে, তা ঘটেনি৷ পূর্বতন শাসক ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠন, রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষাবিদ যাঁরা হাজির ছিলেন তাঁরা নানা বাকচাতুর্যের আড়ালে শিক্ষার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ওই দাবির বিরোধিতা করলেন৷ অদ্ভুত যুক্তি উত্থাপন করে তাঁরা বলেছেন যে পাশ–ফেল চালু হলে নাকি পড়ুয়ারা লাইন দিয়ে আরএসএস পরিচালিত স্কুলে ভর্তি হবে, কারণ ওই স্কুলে নাকি পাশ–ফেল নেই৷ অর্থাৎ তাঁরা বিজেপি জুজু দেখাচ্ছেন৷ বালখিল্যতা ছাড়া এই যুক্তিতে আর কী থাকতে পারে? কিন্তু আশার কথা হল, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সমেত অবশিষ্ট সকল শিক্ষক নেতৃত্ব ও উপস্থিত শিক্ষাবিদদের প্রায় সকলেই ওই দাবির পক্ষে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মত দিয়েছেন৷

পরিশেষে বলা প্রয়োজন, কেবল পাশ–ফেল চালু হলেই দেশ তথা রাজ্যের শিক্ষার হাল ফিরবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ প্রয়োজন হল বিদ্যালয়গুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক সংখ্যা সুনিশ্চিত করা, তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া, শিক্ষণের উপকরণ সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা এবং সর্বোপরি পঠন–পাঠনের উপযোগী পরিবেশ ফিরিয়ে আনা৷ কিন্তু প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল চালু করার শর্তটি প্রথম এবং তা অবিলম্বে পূরণ করা প্রয়োজন৷ আশা করব, রাজ্য সরকার এই বিষয়টি অনুধাবন করে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সংশোধিত শিক্ষানীতি চালু করবে৷

(যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির সহসভাপতি  তরুণ নস্করের এই লেখাটি ২৬ ডিসেম্বর বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়৷ লেখাটি পুনর্মুদ্রিত হল৷)