Breaking News

নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর (১৮) — রামকৃষ্ণ–বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগর

নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর

ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷

(১৮)

রামকৃষ্ণ–বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগর

নানা কৃতিত্ব এবং চরিত্রের গুণাবলি শুনে বিদ্যাসাগরের দেখা পাওয়ার জন্য রামকৃষ্ণ বেশ কিছু দিন ধরে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন৷ তাঁর এক শিষ্য মহেন্দ্র গুপ্ত (শ্রীম)–র সূত্রে ১৮৮২ সালের ৫ আগস্ট তিন শিষ্যকে সঙ্গে নিয়ে বাদুড়বাগানে বিদ্যাসাগরের বাড়িতে এলেন রামকৃষ্ণ৷ বিদ্যাসাগরের বয়স তখন ৬২ আর রামকৃষ্ণের ৪৬৷ এই সাক্ষাতের বিস্তৃত বর্ণনা আছে শ্রীম–র ‘কথামৃত’ বইতে৷

প্রবেশের পর বাড়িটির পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতায় মুগ্ধ হলেন রামকৃষ্ণ৷ আর দেখলেন বাড়িতে কোথাও বিলাসিতার কোনও চিহ্ন নেই৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এ বাড়িতে যিনি থাকেন বিলাসিতাকে তিনি অত্যন্ত অপছন্দ করেন৷ সমস্ত ঘরে, আলমারি–তাকে অসংখ্য বইপত্র সুন্দর ভাবে সাজানো৷ টেবিল–ভর্তি চিঠি, নানা জন নানা ধরনের সাহায্য চেয়ে বিদ্যাসাগরকে লিখেছেন৷ সেদিন প্রায় পাঁচ ঘন্টা বিদ্যাসাগরের বাড়িতে ছিলেন রামকৃষ্ণ৷ পুরো সময়টা তিনিই নানা বিষয়ে কথা বলেছেন, গান গেয়েছেন, বিদ্যাসাগরের দেওয়া নানা রকমের মিষ্টি পেটভরে খেয়েছেন৷ বিদ্যাসাগরের জ্ঞান, করুণার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ বিদ্যাসাগর তাঁর সমস্ত কথা শান্তভাবে শুনেছেন, তাঁর হাসি–মস্করার সূত্রে দু–একটা সরস কথা বলেছেন৷ যাওয়ার সময় রামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিদ্যাসাগরকে বলেছেন, ‘‘একবার বাগান দেখতে যাবেন৷ রাসমণির বাগান৷ ভারি চমৎকার জায়গা৷’’

রামকৃষ্ণ জানতেন, বিদ্যাসাগর ধর্ম মানেন না, পূজার্চনা করেন না৷ তাই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে তাঁকে যেতে বলেননি৷ কিন্তু বিদ্যাসাগর যে সেখানে একদমই যাবেন না, সম্ভবত রামকৃষ্ণ তা ভাবতে পারেননি এবং সেজন্য কিছুটা দুঃখও পেয়েছেন৷ দুঃখ থেকে মহেন্দ্র মাস্টারকে বলেছেন, ‘‘বিদ্যাসাগর সত্য কয় না কেন? … সেদিন বললে, এখানে আসবে৷ কিন্তু এল না৷’’ বিদ্যাসাগর মিথ্যা বলেছেন তা নয়৷ আমন্ত্রণের উত্তরে সৌজন্যবশতই বিদ্যাসাগর যাবেন বলেছিলেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যাননি৷ ব্যক্তিগত জীবনে এই আচরণের একটা দিক আছে– কোনও ধর্মস্থানেই তিনি যাবেন না৷ জীবনে কখনও কোনও ধর্মস্থানেই তিনি যাননি৷ বিদ্যাসাগর এরকমই নীতিনিষ্ঠ ছিলেন৷ জীবনের কর্মব্যস্ত দিনেই শুধু নয়, রোগাক্রান্ত পীড়িত অবস্থাতেও এ ব্যাপারে এতটুকু দুর্বলতার পরিচয় দেননি৷ কলকাতার বাড়িতে কঠিন রোগে আক্রান্ত বিদ্যাসাগরের রোগমুক্তির কামনায় তাঁর ঈশ্বরবিশ্বাসী কন্যা হোমের আয়োজন করায় তিনি বাধা দেননি৷ কিন্তু নিজে দোতলার ঘর থেকে নেমে একতলায় হোমের ঘরটিতে পদার্পণ করেননি৷ কন্যার বহু পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত ঘরের দোরগোড়া পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়ে থেকে বলেছিলেন, ‘‘মা, এইখানেও বড় ধোঁয়া আসছে,  মনে দুঃখ করিস না৷’’ এই ‘বড় ধোঁয়া’ কথাটি ইঙ্গিতপূর্ণ৷ অর্থাৎ সবটাই ধোঁয়া৷ আর কিছু নেই৷ যখন কাশীতে গিয়েছিলেন বাবা–মার সাথে দেখা করতে, পাণ্ডারা ঘিরে ধরেছিলেন মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য৷ তিনি তাঁদের বলেছেন, ‘আমি বিশ্বনাথ দর্শন করতে এখানে আসিনি৷ এসেছি বাবা–মা’কে দেখতে৷ তাঁরাই আমার ঈশ্বর৷’

সে যুগে শিক্ষিত যুক্তিবাদী বলে পরিচিত বহু মানুষ রামকৃষ্ণের দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয়েছিলেন৷ রামকৃষ্ণ বিদ্যাসাগরকেও কাছে পেতে চেয়েছিলেন৷ না পেয়ে অভিমান করেছিলেন৷ কিন্তু বিদ্যাসাগরের মহত্ত্ব তিনি বুঝেছিলেন৷ তিনি তাঁর মতো করে মানুষ চিনতে পারতেন৷ তিনি নিছক সংস্কারাচ্ছন্ন প্রাচীনপন্থী পুরোহিত ছিলেন না৷ তাঁর মধ্যেও মানবতাবাদের ছাপ ছিল, তবে তার সঙ্গে মিশে ছিল প্রবল অধ্যাত্মবাদ৷ আর বিদ্যাসাগর ছিলেন এর সম্পূর্ণ বিপরীত, সেকুলার হিডম্যানিস্ট৷ মানবতাবাদী পরিমণ্ডলের মধ্যে দুজনের জীবনদৃষ্টিতে গুণগত প্রভেদ ছিল৷ তাই অনেককে প্রভাবিত করলেও বিদ্যাসাগরকে রামকৃষ্ণ প্রভাবিত করতে পারেনি৷ বিদ্যাসাগরকে তিনি তাঁর ঢঙে ‘সিদ্ধপুরুষ’ বলেছিলেন৷ বিদ্যাসাগর হেসে বললেন, ‘আমি সিদ্ধপুরুষ?’ রামকৃষ্ণ বললেন, ‘আলু–পটল সিদ্ধ হলে নরম হয়৷ তোমার মনটাও তো নরম৷ তাই তুমি সিদ্ধপুরুষ৷’

শ্রীম একদিন রামকৃষ্ণকে বলেছেন, ‘‘বিদ্যাসাগর বলেন, চেঙ্গিস খাঁ লুঠপাট করল, এক লক্ষ বন্দিকে কেটে ফেলল৷ এই হত্যাকাণ্ড তো ঈশ্বর দেখলেন? কই একটু নিবারণ তো করলেন না’’ ডত্তরে রামকৃষ্ণ বললেন, ‘‘ঈশ্বরের কার্য কী বোঝা যায়, … তিনি কেন সংহার করেন আমরা কি বুঝতে পারি? আমি বলি, মা আমার বোঝবারও দরকার নেই, তোমার পাদপদ্মে ভক্তি দিও৷’’ বলবাহুল্য, এ হল ভক্তিমার্গ, যুক্তিমার্গ নয়৷

রামকৃষ্ণ যখন বললেন, ব্রহ্ম কী, তা জানা যায় না৷ তাই ব্রহ্ম হল অনুচ্ছিষ্ট৷ বিদ্যাসাগর এ নিয়ে তাঁকে কিছুই বলেননি, সম্ভবত আহত হতে পারেন ভেবে৷ শুধু বলেছিলেন, ‘অনুচ্ছিষ্ট? বাঃ আজ একটা নতুন কথা শিখলাম৷’ কিন্তু পরে শ্রীম যখন তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, ‘ঈশ্বর সম্পর্কে আপনার মত কী? বিদ্যাসাগর বলেছেন, ‘তাঁকে জানাই যখন যায় না তখন আমাদের কর্তব্য কী? আমাদের কর্তব্য হল সমাজের উন্নতির জন্য এমন কাজ শুরু করা, যাতে ক্রমে এই পৃথিবীটাই স্বর্গ হয়ে যায়৷ তাই প্রত্যেকের কর্তব্য হল সমাজকল্যাণের জন্য কাজ করা৷’

রামকৃষ্ণ–বিবেকানন্দ যে সময়কালে বলেছেন, দেশের লোক ধর্মানুগত, তাই তাদের শিক্ষা দিতে হবে ধর্মের পথে এবং তাদের শেখাতে হবে ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’ করতে, তার অনেক আগেই, আধুনিক নবজাগ্রত চিন্তার ভিত্তিতে বিদ্যাসাগর বলেছেন, ‘‘ধর্ম যে কী, তাহা মনুষ্যের বর্তমান অবস্থায় জ্ঞানের অতীত এবং ইহা জানিবারও কোনও প্রয়োজন নাই৷ … আমার বোধ হয় যে, পৃথিবীর প্রারম্ভ হইতে এরূপ তর্ক চলিতেছে ও যাবৎ কাল পৃথিবী থাকিবে, তাবৎ এ তর্ক থাকিবে, কস্মিনকালেও ইহার মীমাংসা হইবে না৷’’ (শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন , বিদ্যাসাগরের জীবনচরিত ও ভ্রমনিরাশ, পৃ. ২৩১–২৩২)৷ তাই, বিদ্যাসাগর বলেছেন, ‘‘বিদ্যা দ্বারা ধর্মাধর্মে ও সদসৎ কর্মে প্রবৃত্তি–নিবৃত্তি বিচার জন্মে এবং বিবেকশক্তির প্রাখর্য বৃদ্ধি হয়৷’’ (‘বাল্যবিবাহের দোষ’, ১৮৫০)৷ আর এই বিদ্যার্জনের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ‘‘শিক্ষার্থীদের ধর্মের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোনও অনধিকার চর্চা করা শিক্ষকদের পক্ষে বিশেষ ভাবে নিষিদ্ধ৷’’ (বেথুন স্কুলের সম্পাদক থাকাকালীন সরকারের সচিব এ. ইন্ডেনের কাছে দেওয়া ২২ দফা প্রস্তাবের ১৬ নং প্রস্তাব৷ ১৫ ডিসেম্বর ১৮৬২)৷ অর্থাৎ, ধর্ম ব্যাপারটাকে বিদ্যাসাগর সম্পূর্ণ রূপে ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছেন এবং ধর্মীয় ভাবধারা থেকে মুক্ত যুক্তি, পরীক্ষিত সত্য এবং বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই চলতে চেষ্টা করেছেন৷ দেখাতে চেয়েছেন, অতিপ্রাকৃত সত্তা আছে কি নেই, সে প্রশ্নের মীমাংসার প্রচেষ্টার খুব প্রয়োজন নেই৷ পার্থিব মানবতাবাদী চিন্তা প্রসারের জন্যই তিনি আজীবন আপসহীন সংগ্রাম করেছেন৷

‘মন ভোগবাসনা–মুক্ত হলে আর কোনও দুঃখ–দুর্দশা–শান্তি থাকবে না’– রামকৃষ্ণের সংস্পর্শে এসে যুগ–যুগান্তের এই ধর্মীয় বিশ্বাস বিবেকানন্দকে প্রভাবিত করেছিল৷ কিন্তু বিবেকানন্দ সারা দেশ ঘুরেছেন৷ দেশের কোটি কোটি মানুষকে অভুক্ত–র্ধভুক্ত দেখে, ধর্মের নামে তাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার দেখে বিবেকানন্দের চোখ থেকে জল পড়ত৷ গভীর যন্ত্রণায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘হিন্দুধর্ম যেমন পৈশাচিকভাবে গরিব ও পতিতের গলায় পা দেয়, জগতে আর কোনও ধর্ম এরূপ করে না৷’’ (সূত্র , বিবেকানন্দ স্মৃতি, ক্যালকাটা বুক হাউস)৷ তাই তিনি ধর্মের সংস্কার চেয়েছিলেন এবং ধর্মীয় সমন্বয় সাধনের চেষ্টাই বরাবর করে গেছেন৷ ‘আমি বেদের ততটুকুই মানি যতটুকু যুক্তিসম্মত’– বিবেকানন্দ এমন কথা বললেও সমাজসত্য সম্পর্কে সামগ্রিক অর্থে তিনি বিজ্ঞাননির্ভর যুক্তিবাদ গ্রহণে সক্ষম হননি৷ কিন্তু যেহেতু তাঁর চরিত্রে ছিল সংস্কারমুক্ত প্রবণতা এবং গভীর মানবদরদ তাই বিদ্যাসাগরের প্রভাব সম্ভবত তিনি ভোরের আলোর উষ্ণতার মতো অনুভব করেছিলেন৷ শেষজীবনে বিবেকানন্দ এও বলেছিলেন, ‘‘এখন ভারতে আধুনিক যুগ৷ কীভাবে জনগণের মধ্যে সেকুলার জ্ঞানের বিস্তার হয়, সেটাই গুরুতর প্রশ্ন৷’’ (জনগণের অধিকার, পৃ. ৬২)৷ আজীবন অদ্বৈত বেদান্তবাদী থাকা সত্ত্বেও বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবেকানন্দের এহেন উপলব্ধির পিছনে সে যুগে বিদ্যাসাগরের মতো মানুষের  প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাই সর্বাধিক৷

প্রথম জীবনে বিবেকানন্দ বিদ্যাসাগরকে চিনতে পারেননি ঠিকই কিন্তু, ঘটনাক্রমে মনে হয়, দেশের সমাজ–পরিস্থিতির রূঢ় বাস্তবের সংস্পর্শে এসে বিদ্যাসাগরকে তিনি নিজের হৃদয়ের অন্যতম শিক্ষক করে নিয়েছিলেন৷ সম্ভবত সেই কারণেই আলমোড়ায় মৃত্যুর আগের দিন ভগিনী নিবেদিতাকে বলেছেন, ‘রামকৃষ্ণের পর বিদ্যাসাগরকেই আমি অনুসরণ করেছি৷’ বিবেকানন্দ এ–ও বলেছেন, ‘উত্তর ভারতে আমাদের সময়কার এমন কোনও যুবক নেই যার উপর বিদ্যাসাগরের প্রভাব পড়েনি৷’ বিদ্যাসাগরের এই প্রভাবে বিবেকানন্দের পরবর্তী জীবনবোধ প্রবলভাবে আন্দোলিত হয়েছিল, একথা বলায় আর কোনও বাধা থাকে না৷ সেইজন্যই তিনি বলতে পেরেছেন, ‘‘এটা খুবই স্বাভাবিক যে একই সময়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং নির্বিরোধে আমার ছেলে বৌদ্ধ, আমার স্ত্রী খ্রিস্টান এবং আমি নিজে মুসলমান হতে পারি৷’’ (বাণী ও রচনা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৭২)৷ এছাড়াও, ধর্মসাধনার যে প্রধান কথা, মোক্ষলাভ, সে প্রসঙ্গে বিবেকানন্দ শিষ্যদের বলেছেন, ‘‘নিজের সুখ ও মোক্ষলাভের কথা না ভেবে সমগ্র জাতির কথা ভাবো৷ সকলের মুক্তি না হলে নিজের মুক্তি চাওয়া স্বার্থপরতা৷’’ (সূত্র , বিবেকানন্দ স্মৃতি, ক্যালকাটা বুক হাউস)৷ এই যে বিরাট কথা বিবেকানন্দ বললেন, এই শিক্ষাই তো বিদ্যাসাগর দিয়েছেন৷ নিজের সারাটা জীবন অন্যের জন্য উজাড় করে দিয়ে বিদ্যাসাগরই তো বলেছিলেন, ‘‘যে ব্যক্তি যে দেশে জন্মগ্রহণ করেন, সে দেশের হিতসাধনে সাধ্যানুসারে সচেষ্ট ও যত্নবান হওয়া তাহার পরম ধর্ম ও তাহার জীবনের সর্বপ্রধান কর্ম৷’’ বলেছিলেন, ‘‘চোখের সামনে মানুষ অনাহারে মরবে, ব্যাধি, জরা, মহামারীতে উজাড় হয়ে যাবে, আর দেশের মানুষ চোখ বুজে ‘ভগবান–ভগবান’ করবে– এমন ভগবৎপ্রেম আমার নেই৷ আমার ভগবান আছে মাটির পৃথিবীতে, স্বর্গ চাই না, মোক্ষ চাই না…৷ (চলবে)

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ১৭ সংখ্যা)