নবজাগরণের পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর (১০)

ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বি–শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান মানবতাবাদীর জীবন ও সংগ্রাম পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে৷

(১০)

ভাষা, সাহিত্য ও বিদ্যাসাগর

ভাষা হল ভাব প্রকাশের মাধ্যম, চিন্তা ও মননশীলতার বাহক৷ অক্ষরনির্ভর ভাষাকে ভিত্তি করে ইতিহাসের বিশেষ পর্যায়ে জন্ম নিয়েছে লিখিত সাহিত্য, যা মানুষকে গভীর ভাবে দেখতে শেখায়, চিনতে শেখায় তার পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে৷ তার অগ্রযাত্রাকে করে তরান্বিত৷ মননকে করে তোলে আরও ক্ষুরধার৷ সেই তীক্ষ্ণ মনন আবার ভাষাকে প্রভাবিত করে সমৃদ্ধ করে৷ নতুন সমৃদ্ধ ভাষা ফের সাহিত্যকে আরও ধারালো ও শক্তিশালী করে৷ এই হল ভাষা ও সাহিত্যের পরস্পরের পরিপূরক দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক এবং সামগ্রিক সমাজের সাথে তার ওতপ্রোত যোগ৷ তাই যুগে যুগে সমাজের জন্য যাঁরা লড়াই করেন, আপামর জনজীবনের লাঞ্ছনা–বঞ্চনার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভাবে দাঁড়িয়ে কঠিন সংগ্রাম করে সমাজকে বন্ধ্যাদশা থেকে মুক্ত করেন, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই কোনও–না–কোনও ভাবে নির্দিষ্ট ভাষা ও সাহিত্যকে গড়ে দিয়ে যান, সমৃদ্ধতর করে দিয়ে যান৷

বিদ্যাসাগরের ক্ষেত্রেও তা অবিস্মরণীয় ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ঘটেছে৷ যুগোপযোগী ভাষানির্মাণ, গদ্যে সহজবোধ্যতার সৃষ্টি, অনুবাদ শিল্প, আধুনিক কাব্যবৈশিষ্ট্য আলোচনা, তুলনামূলক সাহিত্য আলোচনা, ক্ষুরধার সরস বিতর্ক–সাহিত্য রচনা, যথার্থ আত্মজীবনীর আঙ্গিক নির্মাণ, বিষয়োপযোগী ভাষা ব্যবহারে দক্ষতা, বিশেষত বিতণ্ডাবাদীদের কুযুক্তিগুলিকে ব্যঙ্গ–বিদ্রূপের দ্বারা ছত্রখান করা–  ইত্যাদি সহ ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কিত বহু কিছুর ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন বিদ্যাসাগরই৷ সামাজিক অন্যায়–ত্যাচারের প্রতিবাদে যে নিবন্ধ–প্রবন্ধ–প্রস্তাব ইত্যাদি তিনি লিখেছেন, সে সবের ভাষা এবং বাক্যবন্ধ যুক্তি–তর্কের আপাত নিরসতাকে অবলীলায় অতিক্রম করে পাঠকের হৃদয়ে তুমুল আলোড়ন তুলেছে৷

বর্বর সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে রামমোহন যে বিতর্ক–সাহিত্যের সূচনা করেছিলেন, তাকে ভিত্তি করে এই বিশেষ আঙ্গিকটির খোলনলচে বদলে দিয়েছেন বিদ্যাসাগর৷ সেখানে শুধুই ব্যঙ্গ–বিদ্রূপ আর তথ্য–তর্ক–ব্যাখ্যা নেই৷ সে সব গৌণ করে মুখ্য হয়ে উঠেছে সমাজ অগ্রগতির স্বার্থে তাঁর হৃদয়মথিত আকুল আবেদন৷ বিধবাবিবাহ সমর্থক এক নিবন্ধে তিনি লেখেন, ‘‘হায়, কী পরিতাপের বিষয় যে দেশের পুরুষজাতির দয়া নাই, ধর্ম নাই, ন্যায়–ন্যায় বিচার নাই, হিতাহিতবোধ নাই, সদ্বিবেচনা নাই, কেবল লৌকিক রক্ষাই প্রধান কর্ম ও পরম ধর্ম, আর যেন সে দেশে হতভাগা অবলাজাতি জন্মগ্রহণ না করে৷’’ শব্দ–বাক্যের এই দ্যোতনা অসংখ্য ঘুমন্ত বিবেক জাগিয়ে তুলেছিল৷ নারীজীবনের এই হাহাকার যথার্থ সমাজশিল্পীর মতো মানুষের মরমে প্রবেশ করিয়েছিলেন তিনি৷ সে যুগে আর কে পেরেছেন এই কাজ?  তাঁর সমান সাহিত্যিক আর কোথায়? শুধু তাঁর এই প্রেরণা নিয়েই পরবর্তী কালে বাংলায় অসংখ্য কাব্য–কাহিনী নির্মিত হয়েছে৷ নিঃসন্দেহে সেই ধারা সার্থকতম ভাবে সঞ্চারিত হয়েছে অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের অনুপম শৈলীতে৷ বেদনার বিষয়, এগুলিকে সংশ্লিষ্ট করে বিদ্যাসাগর–চর্চা বহুকাল অবহেলিত থেকেছে৷ এমনকি আজও বিশেষ গভীরে গিয়ে তার আলোচনা হয় না৷ যার ফলে সামগ্রিক ভাবে মানবসমাজে মহাসাগর সদৃশ বিদ্যাসাগরের বিশাল অবদান অনেকেই জানেন না৷ যদিও বিদ্যাসাগর নিছক সাহিত্যিক হওয়ার জন্য কখনই কলম ধরেননি৷ এদেশের মাটিতে জরাগ্রস্ত সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোকে ধাক্কা দিতে মানবতাবাদী প্রগতিশীল ধ্যান–ধারণা প্রসারের জন্যই তিনি লিখতে শুরু করেছিলেন৷

ভাষা, সাহিত্যে বিদ্যাসাগরের ঐতিহাসিক অবদান প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘‘বিদ্যাসাগর বাংলাভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন৷ তৎপূর্বে বাংলায় গদ্যসাহিত্যের সূচনা হইয়াছিল, কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথমে বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন৷ ভাষা যে কেবল ভাবের একটা আধারমাত্র নহে, তাহার মধ্যে যেন–তেন–প্রকারেণ কতকগুলা বক্তব্য বিষয় পুরিয়া দিলেই যে কর্তব্যসমাপন হয় না, বিদ্যাসাগর দৃষ্টান্ত দ্বারা তাহাই প্রমাণ করিয়াছিলেন৷ তিনি দেখাইয়াছিলেন যে যতটুকু বক্তব্য তাহা সরল করিয়া, সুন্দর করিয়া এবং সুশৃঙ্খল করিয়া ব্যক্ত করিতে হইবে৷… একটি অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত রক্ষা করিয়া সৌম্য ও সরল শব্দগুলি নির্বাচন করিয়া বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা দান করিয়াছেন৷’’ এই অসাধারণ মন্তব্যের অন্তর্নিহিত রহস্য আবশ্যিক ভাবে প্রত্যেক দেশবাসীর জানা দরকার৷

বিদ্যাসাগরের জন্ম–শতকের একেবারে শুরু থেকে বাংলা গদ্যের নির্মাণকর্ম শুরু হয়েছিল৷ ১৮০০ সালে কলকাতায় ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে সাহেব কর্মচারীদের বাংলা ভাষা শেখাবার জন্য বাংলা পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজন দেখা দেয়৷ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান উইলিয়াম কেরী সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেন৷ বেতন দিয়ে বাঙালি পণ্ডিতদের সাহায্য চান তিনি৷ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, রামরাম বসু প্রমুখ বাংলা গদ্য রচনায় সচেষ্ট হন৷ তারপর এলেন রামমোহন রায়৷ গদ্যের নমুনাগুলিতে তিনি দেখলেন নিয়মনীতির বিশৃঙ্খলা এবং সেই হেতু চলনে জড়তা ও পাঠকাঠিন্য৷ কারণ তেমন কোনও বাংলা ব্যাকরণের পূর্ণাঙ্গ বই নেই৷ তাই তিনি ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ (১৮৩৩) লিখলেন৷ তাতে আগের তুলনায় ভাষায় কিছুটা গতি এল৷ সে সময় অক্ষয়কুমার দত্তও গদ্যগঠনের এই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টায় সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন৷ কিন্তু সাহিত্যের ভাষা নির্মাণে তখনও অপেক্ষার অবকাশ রয়ে গেল৷

ধাপে ধাপে এই প্রচেষ্টাগুলির ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটিয়ে ১৮৪৭ সালে বিদ্যাসাগর প্রকাশ করলেন ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’৷ মার্জিত, পরিচ্ছন্ন, সাবলীল ভাষা৷ কোথাও কোনও বাগাড়ম্বর নেই, জড়তা–আড়ষ্টতা নেই৷ শিবনাথ শাস্ত্রীর ভাষায়, ‘‘বেতাল বঙ্গসাহিত্যে এক নবযুগের সূত্রপাত করিল৷’’ অনেকের মনে হতে পারে, বিদ্যাসাগর হঠাৎ বেতালকাহিনী লিখতে গেলেন কেন? সাহেবদের তাগিদে বাংলা পাঠ্যবই লিখতে হবে বলে কি তড়িঘড়ি যা হোক একটা কিছু লিখে দিলেন তিনি? বাস্তবে ব্যাপারটা কোনও ভাবেই সেরকম নয়৷ মূল সংসৃক্ত এবং তার থেকে হিন্দিরূপ ‘বেতাল পচ্চিশি’কে বিদ্যাসাগর বেছে নিয়েছিলেন তাঁর সামাজিক চিন্তা–ভাবনার সাথে সঙ্গতি রেখেই৷ নিছক একটা গ্রন্থরচনা বিদ্যাসাগরের উদ্দেশ্য নয়৷ মূলগ্রন্থের পাশে যদি বিদ্যাসাগরের বেতালকে রাখা যায় তো স্পষ্টই চোখে পড়ে, প্রাচীন সাহিত্যটির আদিরসাত্মক যাবতীয় বর্ণনা তিনি সযত্নে পরিহার করেছেন৷ দেবভাষায় লেখা বলে যা আছে সবই আমদানি করেননি৷ এবং এই পদ্ধতিতে তিনি অনুবাদ শিল্পের ভিত্তিও গড়ে তোলেন৷ এই গ্রন্থে তাঁর অত্যন্ত পরিশীলিত সাহিত্যবোধের অসামান্য প্রমাণ মেলে৷ তাই এই বই সেদিন বাঙালি পাঠকের হৃদয় জয় করে নিয়েছিল৷ রমেশচন্দ্র দত্তের ভাষায়, বিদ্যাসাগর ‘‘নূতন বাঙ্গলা ভাষায় সেই গল্প সেই ভাব প্রকাশ করিলেন, নিজের হৃদয়গুণে, নিজের প্রতিভাবলে সেই গল্পগুলি মনোহর ও হৃদয়গ্রাহী করিয়া তুলিয়া বঙ্গ–সাহিত্য–ভাণ্ডারের উচ্চতম স্থানে স্থাপন করিলেন৷’’ একই সাথে তিনি বললেন, ‘‘ঈশ্বরচন্দ্রের একটি সঙ্কল্প সাধিত হইল– নির্মল সুমার্জিত বাঙ্গলা গদ্যের সৃষ্টি হইল৷’’

পরের বছর তিনি প্রকাশ করলেন ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’৷ বাংলা ভাষা ও গদ্যের সমৃদ্ধিতে এই বইও মাইল ফলকের ভূমিকা নিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বাংলা ভাষায় ইতিহাস রচনাতেও এই বই অগ্রদূত৷ বিদ্যাসাগর এক সময় বলেছিলেন, ‘‘ভারতবর্ষের একখানি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখিবার সমস্ত সংগ্রহ করিয়া রাখিয়াছি’’৷ তিনি দেখেছিলেন, কলহনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ ছাড়া লিখিত ইতিহাস প্রায় নেই৷ আবার, তাঁর সুতীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী মনন এও দেখেছিল যে, ‘রাজতরঙ্গিনী’ বইটি ‘সর্বসাধারণ–লোকসংক্রান্ত’ নয়৷ এখানে তাঁর যথার্থ ইতিহাস চেতনাও স্পষ্ট ভাবে প্রকাশিত হয়েছে৷ ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’ মার্শম্যান সাহেবের ‘আউটলাইন্স অফ হিস্ট্রি অফ বেঙ্গল’–এর কয়েকটি অধ্যায় অবলম্বনে লিখিত হলেও যথারীতি এখানেও বিদ্যাসাগরের স্বাতন্ত্র্য অত্যন্ত উজ্জ্বল৷ তিনি শুধু ওই রচনার উপর নির্ভর করার পক্ষপাতী ছিলেন না৷ তাই অন্যান্য বহু সূত্র থেকে তথ্যাদি সংগ্রহ করেছিলেন৷ সে কারণেই সিরাজদ্দৌলাকে অত্যাচারী বললেও, অন্ধকূপ–হত্যা যে তিনি ঘটাননি, তা বিদ্যাসাগর লিখেছেন৷ নন্দকুমারকে মার্শম্যান দুরাচার বলেছেন৷ বিদ্যাসাগর তার সাথে যোগ করেছেন অত্যাচারী ইংরেজ শাসকদেরও৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘নন্দকুমার দুরাচার ছিলেন বটে, কিন্তু ইম্পে ও হেস্টিংস তাহা অপেক্ষা অধিক দুরাচার, তাহাতে সন্দেহ নাই৷’’ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বে দাঁড়িয়ে আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে এই দৃঢ় মানসিকতা শুধু তৎকালীন সমাজকেই আন্দোলিত করেনি, ভাষার ঋজুতাকেও প্রতিষ্ঠিত করেছে৷ বিষয়বস্তু (কন্টেন্ট) সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাই আঙ্গিক (ফর্ম)–কে শক্তিশালী করতে পারে, যদি কোনও হীন কারণে লেখক আপস না করেন৷ বিদ্যাসাগর নানা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে, বারবার যাচাইয়ের মাধ্যমে নিজের ধারণাকে স্বচ্ছ করে তুলেছিলেন এবং বলিষ্ঠ ভাবে তাকে প্রকাশ করতেও বিন্দুমাত্র আপস করেননি৷ তাই বিদ্যাসাগরের হাত ধরে এদেশে যথার্থ ইতিহাস চেতনা এবং বাংলা ভাষা ও গদ্য এক অভূতপূর্ব তেজোদ্দীপ্ত সৌন্দর্য লাভ করতে শুরু করল৷

১৮৪৯ সালে বিদ্যাসাগর প্রকাশ করলেন ‘জীবনচরিত’৷ রবার্ট ও উইলিয়ামস চেম্বার্স–এর ‘বায়োগ্রাফিজ’–এ বিশ্বের নানা ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত জীবনী সংকলিত হয়েছিল৷ বিদ্যাসাগর সেখান থেকে কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন প্রমুখ বিশেষ কয়েকজনকে বেছে নিয়েছেন৷ এঁদের জীবন এবং কর্মকাণ্ডকে বর্ণনা করতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই নতুন শব্দ ও পরিভাষার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে৷ সে কাজে বহু পরিশ্রম করে, নানা জনের সাথে একাধিকবার পরামর্শ করে যথাসম্ভব সুবোধ্য শব্দ ও পরিভাষা নির্মাণ করেছেন বিদ্যাসাগর৷ যদিও গ্রন্থের ভূমিকায় (বিজ্ঞাপনে) তিনি লিখেছিলেন যে, এত চেষ্টাতেও তিনি তৃপ্ত নন৷ বোঝা যায় সমাজে শিক্ষাবিস্তারের জন্য কী গভীর ভাবে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন৷ এবং সে জন্য যা যা প্রয়োজন, উপযুক্ত সহজ–সরল–সুবোধ্য্ ভাষা, সুন্দর–সাবলীল গদ্য, সব তিনি প্রায় একা হাতেই সংগঠিত করে গেছেন৷ কোন কোন ব্যক্তিত্বের জীবনসংগ্রামের কথা জানলে বাংলার ছেলেমেয়েরা জড়তা–ন্ধতা–কুসংস্কার ইত্যাদির নাগপাশ ছিন্ন করতে উৎসাহ পাবে, সেই কথা বিবেচনা করেই বিদ্যাসাগর এই গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছিলেন৷ জরাজীর্ণ সমাজকে ভাঙার উপযুক্ত চরিত্র–ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার প্রবল আকাঙক্ষা ছিল তাঁর৷ (চলবে)

(গণদাবী : ৭২ বর্ষ ৮ সংখ্যা)